ইবান্ড্রোনিক এসিড এবং ক্যালসিয়াম ওরোটেট

নির্দেশনা

পুরুষ এবং মহিলাদের (বিশেষত রজবন্ধের পর) হাড় ক্ষয়ের চিকিৎসায় নির্দেশিত। এটা হাড়ে খনিজ পদার্থের ঘনত্ব বাড়ায় এবং মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার প্রবণতা কমায়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

১৫০ মি.গ্রা. ইবানড্রোনিক এসিড মাসে একটি করে খেতে হয়। ইবানড্রোনিক এসিডের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা পেতে হলে দিনে দুইটি ক্যালসিয়াম ওরোটেট ট্যাবলেট খেতে হবে।

সর্বোচ্চ কার্যকারিতার জন্য খাদ্য ও ঔষধ যেমন ক্যালসিয়াম, এন্টাসিড ও ভিটামিন খাওয়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা পূর্বে ইরানড্রোনিক এসিড খেতে হবে।

সঠিকভাবে পেটে পৌছানো ও খাদ্যনালীর জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য ইবানট্রোনিক এসিড ট্যাবলেট এক গ্লাস (২৫০ মি.লি.) সাধারন খাবার পানি দিয়ে খেতে হবে। ইবানড্রোনিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে শোয়া যাবে না।

ইবানড্রোনিক এসিড প্রতি মাসে একই দিনে খাওয়া উচিত।

কোন মাসের ডোজ বাদ পড়লে পরবর্তী ট্যাবলেট খাওয়ার দিনটি যদি অন্তত ৭ দিন পরে থাকে তবে মনে পড়ার পরের দিন সকালেই ইবানড্রোনিক এসিড ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট খেতে হবে।

পরবর্তী ট্যাবলেট খাওয়ার দিনটি যদি ৭ দিনের মধ্যে হয় তবে ভুলে যাওয়া ডোজটি না খেয়ে পরবর্তী নির্ধারিত দিনেই ট্যাবলেট খেতে হবে।

কোন ভাবেই এক সপ্তাহে দুইটি ইবানড্রোনিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না।

ইবানড্রোনিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার পরের দিন থেকে ক্যালসিয়াম ওরোটেট ট্যাবলেট খেতে হবে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ইবানড্রোনিক এসিড: ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রণ যে সকল ঔষধে রয়েছে সে সব ঔষধ খেলে ইবানড্রোনিক এসিড এর শোষণে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই এ সকল ঔষধ খাওয়ার কমপক্ষে ৬০ মিনিট পূর্বে ইবানড্রোনিক এসিড খেতে হবে। এসপিরিন, এনএসএআইডি এবং বিসফসফোনেট ড্রাগ সতর্কতার সাথে নিতে হবে।

ক্যালসিয়াম ওরোটেট: ক্যালসিয়াম অন্যান্য ঔষধ যেমন বিসফসফোনেট (অ্যালানড্রোনেট রিসেড্রনেট) টেট্রাসাইক্লিন এন্টিবায়োটিক (ডক্সিসাইক্লিন, মিনোসাইক্লিন), কুইনোলোন এন্টিবায়োটিক (সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লিভোফ্লক্সাসিন) এর শোষণ কমিয়ে দিতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

ইবানট্রোনিক এসিড: ইবানড্রোনিক এসিড খাদ্যনালীর জ্বালাপোড়া, হাইপোক্যালসেমিয়া এবং ইবানড্রোনিক এসিড বা এর যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের জন্য প্রতিনির্দেশিত।

ক্যালসিয়াম ওরোটেট: ঔষধের যে কোন উপাদানের প্রতি এলার্জি, কিডনির রোগ এবং হাইপোক্যালসেমিয়ায় প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ইবানড্রোনিক এসিড: ইবানড্রোনিক এসিড এর সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে উচ্চরক্তচাপ বদহজম, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, পিছনে ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, পেশীর ব্যথা, পেশী টান, ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসনালীর প্রদাহ, মূত্রনালীর সংক্রমণ, ঊর্ধ্ব শ্বাসনালীর সংক্রমণ, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোড়ানো, চামড়ার ফুসকুড়ি, অনিদ্রা।

ক্যালসিয়াম ওরোটেট: ক্যালসিয়াম ওরোটেট এর প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তলপেটে ফুলে যাওয়া, মাঝে মাঝে ক্ষুদামন্দা, কোষ্টকাঠিন্য, বমি বমি ভাব, বমি, অস্বাভাবিক ওজন কমা, মাথা ব্যথা, তৃষ্ণা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রস্রাব, কিডনীতে পাথর হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় এই কিট ব্যবহারে কোন উপযুক্ত ডাটা পাওয়া যায় নি। যদি ক্ষতির তুলনায় উপকার বেশী হয় তবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কিট এর উপাদান মায়ের দুধের সাথে বের হয় কিনা জানা যায়নি। তবে সেক্ষেত্রে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

সতর্কতা

ইবানড্রোনিক এসিড:
  • ইবানড্রোনিক এসিড সেবনে খাদ্যনালীতে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহন করা ঠিক নয়।
  • মাঝে মাঝে হাড়, হাড়ের জোড়া এবং মাংসপেশীতে ব্যথা হতে পারে।
  • মূত্রাশয়ে যাদের অনেক বেশী সমস্যা তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার ঠিক নয়।
ক্যালসিয়াম ওরোটেট: রোগীর যদি ক্যালসিয়াম ওরোটেট এর প্রতি এলার্জি থাকে তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খাবারের সাথে ক্যালসিয়াম গ্রহন না করলে কিডনিতে পাথর হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অতএব ক্যালসিয়াম ওরোটেট খাবারের সাথে গ্রহন করা উচিত।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

শিশুদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহারের কোন ডাটা পাওয়া যায়নি।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Minerals in bone formation, Specific mineral preparations

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।