মিথাইলপ্রেডনিসােলন

নির্দেশনা

এন্ডোক্রাইন ডিস্অ‌র্ডার: প্রাইমারী অথবা সেকেন্ডারী এন্ড্রেনােকার্টক্যাল ইনসাফিসিয়েন্সি, কনজেনিটাল এড্রেনাল হাইপারপ্লাসিয়া, নন্‌-সাপুরেটিভ থাইরয়েডাইটিস, ক্যান্সারজনিত হাইপারক্যালসেমিয়া। 

রিউমাটিক ডিস্অর্ডা‌র: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এ্যানকাইলােজিং স্পন্ডাইলাইটিস, এ্যাকিউট এবং সাব-এ্যাকিউট বার্সাইটিস, অস্টিওআরথ্রাইটিস জনিত সাইনােভাইটিস,  এ্যাকিউট নন্‌-স্পেরিক টেনােসাইনােভাইটিস, আখাতপরবর্তী অস্টিওআরথ্রাইটিস, সোরিয়াটিক আরথ্রাইটিস, এপিন্ডাইলাইটিস, তাব্র গেঁটেবাতজনিত আরথ্রাইটিস।

কোলাজেন ডিজিস: সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস, সিস্টেমিক ডার্মাটোমায়োসাইটিস, একিউট রিউম্যাটিক কার্ডাইটিস।

চর্মরােগ: বুলাস ডার্মাটাইটিস হারপেটিফরমিস, মারাত্মক এরাইথিমা মাল্টিফর্মি (ষ্টিভেন-জনসন সিন্ড্রোম), মারাত্মক সিবোরিক ডার্মাটাইটিস, এক্সফোলিয়েটিভ ডার্মাটাইটিস, মাইকোসিস ফাংগোয়েড্‌স, পেমফিগাস , মারাত্মক সােরিয়াসিস।

এলার্জি: সিজোনাল এবং পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস, ঔষুধের প্রতি সংবেদনশীলতা, সেরাম সিক্নে‌স, কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস, ব্রংকিয়াল এ্যাজমা, এ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস।

চোখের রােগ: এলার্জিক কর্নিয়াল আলসার, হার্পিস জোস্টার অফথ্যালমিকাস, এন্টোরিওর সেগমেন্ট প্রদাহ, সিমপ্যাথেটিক অফথ্যালমিয়া, কেরাটাইটিস, অপটিক নিউরাইটিস, এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস, কোরিওরেটিনাইটিস, আইরাইটিস এবং আইরিডোসাইক্লাইটিস।

শ্বাসনতন্ত্রে যােগ: সারকোয়েডোসিস, লােয়েফ্লা‌র সিনড্রোম, বেরিলিওসিস, এসপিরেশন নিউমােনিয়া।

হেমাটোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার: বয়স্কদের ইডিওপ্যাথিক থ্রোম্বোসাইটোপেনিক পারপুরা, বস্কদের সেকেন্ডারী থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া, এ্যাকুয়ার্ড (অটো-ইমিউন) হিমােলাইটিক এনিমিয়া, ইরাইথ্রোবাস্টোপেনিয়া, কনজেনিটাল (ইরাইথ্রোয়েড) হাইপােপ্লাসটিক এনিমিয়া।

নিওপ্লাসটিক ডিজিস: প্রশমনকারী হিসেবে বয়স্কদের লিউকেমিয়া ও লিম্ফোমা, শিশুদের এ্যাকিউট লিউকেমিয়া ব্যবস্থাপনায়

ইডেমাজনিত অবস্থা: ইরাইথেমেটোসাস অধবা নেফ্রোটিক সিন্ড্রোমজনিত প্রােটিনিউরিয়ার ক্ষেত্রে ডাইইউরেসিস করতে।

গ্যাস্ট্রো-ইস্টেস্টিনাল ডিজিস: আলসারেটিভ কোলাইটিস ও রিজিওনাল এন্টারাইটিস।

স্নায়ুতন্ত্রের রােগ: মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এর লক্ষণসমূহ তীব্র হলে।

অন্যান্য: টিউবারকুলার মেনিনজাইটিস, স্নায়ুতন্ত্র অথবা হৃদপিন্ডের সাথে সম্পৃক্ত ট্রাইকিনােসিস।

বিবরণ

মিথাইলপ্রেডনিসােলন হচ্ছে কার্যকরী একটি ব্যথানাশক স্টেরয়েড। প্রেডনিসােলনের চেয়ে এর কার্যকারিতা বেশী, এমনকি প্রেডনিসােলনের চেয়ে এটির সােডিয়াম ও পানি ধরে রাখার প্রবণতা কম। হাইড্রোকর্টিসন এর চেয়ে চার-এক অনুপাতে এটি বেশী কার্যকরী।

ফার্মাকোলজি

ফার্মাকােডিনামিক বিশ্লেষণ: মিথাইলপ্রেডনিসােলন একটি কার্যকরী ব্যথানাশক যা উল্লেখযােগ্যভাবে ইমিউন সিস্টেম প্রতিরােধ ক্ষমতা সম্পন্ন। মিথাইলপ্রেডনিসােলন প্রাথমিকভাবে অন্তঃকোষীয় গ্লুকোকর্টিকয়েভ রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত হয়ে তাদেরকে সক্রিয় করে। তারপর এই সক্রিয় গ্লুকোকর্টিকয়েভ রিসেপ্টর গুলি ডিএনএ-এর প্রােমােটার অঞ্চল (যা ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়াকে সচল বা দমিয়ে রাখে) এর সাথে যুক্ত হয়ে ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর (যা হিস্টোনের জিএসিলাইশনের মাধ্যমে জিনকে নিষ্কৃয় করে দেয়)-কে সকৃয় করে। মিথাইলপ্রেডনিসােলন কিডনী, ফ্লুইড ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য, লিপিড, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট বিপাক, মাংশপেশী, হৃদ-সংবহনতন্ত্র, ইমিউন সিস্টেম, স্নায়ুতন্ত্র ও এন্ডেক্রাইন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে।

ফার্মাকোকাইনেটিক বিশ্লেষণ: মুখে সেবনে মিথাইলপ্রেডনিসােলনের প্রকৃত বায়ােএভেইলএবিসিটি সাধারণত বেশী (৮২%-৮৯%) এবং দ্রুতই এটি শোষিত হয় এবং মুখে সেবনে স্বাভাবিক বয়স্ক মানবদেহে ১.৫-২.৩ ঘন্টার মধ্যেই এর সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব অর্জিত হয়। মিথাইলপ্রেডনিসােলন টিস্যুতে বিস্তৃতভাবে বণ্টিত হয় এবং এর বন্টন আয়তন ৪১-৬১.৫ লি.। এটি ব্লাড-ব্রেইন-বেরীয়ার ও প্লাসেন্টাল বেরীয়ার অতিক্রম করে এবং দুধের সাথে নিঃসৃত এয়। মানবদেহে মিথাইলপ্রেডনিসােলনের প্লাজমা-প্রোটিন বাইন্ডিং ৭৭ ভাগের কাছাকাছি। লিভারে মিথাইলপ্রেডনিসােলন নিষ্কৃয়  মেটাবােলাইটটে বিপাক হয়। রেনাল ফেইলিউরের রোগীর ক্ষেত্রে এর মাত্রা সম্বয়ের প্রয়ােজন হয় না। মিথাইলপ্রেডনিসােলন হিমােডায়ালাইজ করা যায়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

রোগের ধরনের উপর ভিত্তি করে মিথাইলপ্রেডনিসােলন  প্রতিদিন ২ মি.গ্রা. থেকে ৮ মি.গ্রা. বিভাজিত মাত্রায় সেব্য।

প্রদাহরােধী/ইমিউনােসাপ্রেসিভ হিসেবে প্রারম্ভিক মাত্রা: প্রদাহরােধী/ইমিউনােসাপ্রেসিভ হিসেবে, রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে মিথাইলপ্রেডনিসােলন  প্রতিদিন ৪-৪৮ মি.গ্রা. বিভাজিত মাত্রায় সেব্য।

তুলনামূলক কম তীব্র অবস্থায় নিম্ন মাত্রা যথেষ্ট, তবে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে শুরুতে উচ্চমাত্রার প্রয়ােজন হতে পারে। আশানুরুপ ক্লিনিকাল উপকারীতা না পাওয়া পর্যন্ত প্রাবম্ভিক মাত্র চালিয়ে যেতে হবে অথবা সমন্বয় করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর সন্তোষজনক রেস্‌পন্স পাওয়া না গেলে মিথাইলপ্রেডনিসােলন বন্ধ করে দিয়ে রোগীকে অন্য কোন কার্যকরী থেরাপী দেয়া উচিৎ। মনে রাখতে হবে যে, মিথাইলপ্রেডনিসােলনের মাত্র ভিন্ন হতে পারে এবং চিকিৎসাধীন রােগ এবং রোগীর রেসপন্স-এর ওপর ভিত্তি করে এটা ঠিক করতে হবে।

প্রদাহরােধী/ইমিউনােসাপ্রেসিভ হিসেবে চলমান মাত্রা: অনুকূল ফল পাবার পর সময়ের সাথে ক্রমান্বয়ে মাত্রা কমিয়ে সর্বনিম্ন সঠিক চলমান মাত্রা ঠিক করতে হবে। মনে রাখা দরকার, ঔষধটির মাত্রার ব্যাপারে অনবরত দেখভাল করতে হবে। লম্বা সময় ধরে ব্যবহারের পর ঔষধটির সেবন বন্ধ করার দরকার হলে, আকস্মিকভাবে তা না কত্রে ধীরে ধীরে করতে হয়।

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস: মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের একিউট এক্সাসারবেশন চিকিৎসায় এক সপ্তাহ যাবৎ প্রতিদিন ১৬০ মি.গ্রা. মিথাইলপ্রেডনিসােলন, এবং এরপর একমাস যাবৎ ৬৪ মি.গ্রা. এক দিন পরপর সেবন কার্যকরী।

মিথাইলপ্রেডনিসােলন ৪ মি.গ্রা. ট্যাবলেট তীব্র এ্যালার্জি এবং চর্মরােগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধে নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পায়ে (এতে স্টেরয়ডের উইদড্রয়াল সিন্ড্রোমের ঝুঁকি থাকে না)।
  • ১ম দিন: ২ টি ট্যাবলেট (সকালের নাস্তার পূর্বে) +১ টি ট্যাবলেট (দুপুরের খাবারের পর) + ১ টি ট্যাবলেট (রাতের খাবারের পর) + ২ টি ট্যাবলেট (শােবার সময়)।
  • ২য় দিন: ১ টি ট্যাবলেট (সকালে নাস্তার পূর্বে) + ১ টি ট্যাবলেট (দুপুরের খাবারের পর) + ১ টি ট্যাবলেট (রাতের খাবারের পর) + ২ টি ট্যাবলেট (শােবার সময়)।
  • ৩য় দিন: ১ টি ট্যাবলেট (সকালের নাস্তার পূর্বে) + ১ টি ট্যাবলেট (দুপুরের খাবারের পর) + ১ টি ট্যাবলেট (রাতের খাবারে পর) +১ টি ট্যাবলেট (শােবার সময়)।
  • ৪র্থ দিন: ১ টি ট্যাবলেট (সকালের নাস্তার পূর্বে) + ১ টি ট্যাবলেট (দুপুরের খাবারের পর) + ১ টি ট্যাবলেট (শােবার সময়)।
  • ৫ম দিন: ১ টি ট্যাবলেট (সকালের নাস্তার পূর্বে) + ১ টি ট্যাবলেট (শােবার সময়)।
  • ৬ষ্ঠ দিন: ১ টি ট্যাবলেট (সকালের নাস্তার পূর্বে)।
অল্টারনেট-ডে থেরাপী: অল্টারনেট-ডে থেরাপী হচ্ছে কর্টিকোস্টেরয়েডের এমন মাত্রা যেখানে প্রতিদিনকার সাধারণ মাত্রার দ্বিগুণ মাত্র প্রতি একদিন পরপর সকালে সেব্য। এই ধরনের চিকিৎসা ব্যাবস্থার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে ধরনের রোগীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী স্টেরয়েড খাওয়ানাের প্রয়ােজন, কিছু উল্লেখযােগ্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া (যেমন পিটুইটারী-এড্রেনাল সাপ্রেশন, কুশিঙ্গয়েড অবস্থা, কর্টিকয়েড উইথড্রয়াল সিন্ড্রোম এবাং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি-প্রতিবন্ধকতা) ছাড়াই তারা যাতা স্টেরয়েডের উপকারিতা ও কার্যকারিতা পেতে পারেন।

অল্টারনেট-ডে থেরাপী বিবেচনাকালে মনে রাখতে হবে-
  • কর্টিকোস্টেরয়েড থেরাপীর মূলনীতি ও নির্দেশনা বিবেচনা করা হচ্ছে কিনা।
  • অন্টারনেট-ডে থেরাপী হচ্ছে একটি থেরাপিউটিক কৌশল প্রাথমিকভাবে যেটি দীর্ঘমেয়াদে কর্টিকয়েড থেরাপী দরকার এমন রােগীদের জন্য প্রযােজ্য।
  • কর্টিকয়েড থেরাপী দরকার এমন স্বল্প তীব্রতার রােগের ক্ষেত্রে এই উপায়ে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। বেশী তীব্রতার রোগের ক্ষেত্র প্রাথমিক চিকিৎসায় উচ্চমাত্রা বিভাজিত মাত্রায় প্রযােজ্য। প্রাবম্ভিক সাপ্রেসিভ মাত্রা আশানুরুপ ক্লিনিক্যাল রেসপন্স না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে, এ্যালার্জি ও কোলাজেন রােগের ক্ষেত্রে সাধারণত ৪.১০ দিন যাবৎ চলবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ইরাইথ্রোমাইসিন, ক্লারিথ্রোমাইসিন, ফেলােবার্বিটাল, ফিনাইটয়িন, রিফারমপিন এবং কিটোকোনাজোল মিথাইলপ্রেডনিসােলন-এর বিপাকে বাধা দেয়। ইস্ট্রোজেন যেমন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল মিথাইলপ্রেডনিসােলন এর কার্যকারিতা ৫০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। সাইক্লোস্পোরিন এবং মিথাইলপ্রেডনিসােলন একটি অপরটির বিপাক কমিয়ে দেয়। মিথাইলপ্রেডনিসােলন ব্লাড থিনারস্‌ (যেমন, ওয়ারফারিন) এর কার্যকারিতা কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে দেয়। এসব কারণে, মিথাইলপ্রেডনিসােলন এর মাত্রা কমানাের দরকার হয়।

প্রতিনির্দেশনা

ছত্রাক সংক্রমণ ও অতি সংবেদনশীলতা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

স্বল্প মেয়াদে মিথাইলপ্রেডনিসােলন বাবহার সাধারণত সহনীয়, তবে মৃদু কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখ, দিতে পার়ে। লম্বা সময় ধরে উচ্চমাত্রায় মিথাইলপ্রেডনিসােলন ব্যবহারের ফলে মারাত্বক কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধের জন্য যখনই সম্ভব সর্বনিম্ন মেয়াদে সর্বনিম্ন মাত্রায় মিথাইলপ্রেডনিসােলন ব্যবহার করা উচিত। অল্টারনেট-ডে থেরাপী পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কমাতে সহায়ক। মিথাইলপ্রেডনিসােলন ব্যবহারে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মৃদু থেকে মারাত্মক এমনকি শরীরের অঙ্গ হন্তারকও হতে পারে। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফ্লুইড রিটেনশন, অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, পটাশিয়াম বেরিয়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা, পেশি দূর্বলতা, মুখে চুল গজানাে, গ্লুকোমা, ক্যাটারাক্টাস্‌, পেপটিক আলসার, শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত, খিঁচুনি এবং মানসিক সমস্যা যেমন দুশ্চিন্তা, চঞ্চলতা, অনিদ্রা ইত্যাদি। দীর্ঘমেয়াদে মিথাইলপ্রেডনিসােলন ব্যবহারের ফলে এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিকোস্টেরয়েড নিঃসরণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। আকস্মিক ভাবে মিথাইলপ্রেডনিসােলন ব্যবহায় বন্ধ করলে রােগীর কর্টিকোস্টেরয়েড ইনসাফিসিয়েন্সি, সাথে বমিবমিভাব ও বমি এমনকি শক্ও‌ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগনেন্সী ক্যাটাগরি সি। অধিক গুরুত্ব বিবেচনা ব্যতীত এ সকল ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। তবে যে সকল মায়েরা গর্ভাবস্থায় কর্টিকোস্টেরয়েড গ্রহন করছেন তাদের হাইপােএড্রেনালিজমের লক্ষণ সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে খাদ্যে লবণ পরিহার এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সম্পূরক পথ্য দেয়া যেতে পরে। সমস্ত কর্টিকোস্টেরয়েড দেহ থেকে ক্যালসিয়ামের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। কর্টিকোস্টেরয়েড সমূহ মাতৃদুগ্ধে স্বল্প পরিমাণে নিঃসৃত হয়। দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে মিথাইলপ্রেডনিসােলন- এর যথার্থ ব্যবহার হয়নি।

সতর্কতা

থেরাপী বন্ধ করার পরও মাসের পর মাস এড্রেনােকর্টিক্যাল ইনসাফিসিয়েন্সিতে রােগী ভুগতে পারে, কাজেই যে কোন পরিস্থিতিতে হরমােন থেরাপী শুরু করা উচিৎ। যেহেতু মিথাইলপ্রেডনিসােলন সেবনে মিনারেলােকর্টিকয়েড নিঃসরণ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে, সেহেতু একই সাথে সল্ট এবং অথবা একটি মিনারেলােকর্টিকয়েড খাওয়ানাে উচিত। হাইপােথাইরয়েডিজম এবং সিরােসিস-এ আক্রান্ত রােগীয় উপর কর্টিকোস্টেরয়েডের একটি বর্ধীত কার্যকারিতা দেখা যায়। অকুলার হারপিস সিমপ্লেক্স-এর রােগীদের ক্ষেত্রে কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার সাবধানে করা উচিত। হাইপােপ্রোথ্রোম্বিনেমিয়ার রােগীদের ক্ষেত্রে একই সাথে কর্টিকোস্টেরয়েড ও অ্যাসপিরিন ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে লম্বামেয়াদে কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করার সময় তাদের দৈহিক বৃদ্ধির প্রতি খেরাল রাখতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

গ্লুকোকর্টিকয়েড অতিমাত্রায় ব্যবহারে মারাত্মক বিষক্রিয়া বা মৃত্যু ঘটে না। নির্দিষ্ট কোন অ্যান্টিডোট নাই, তাই চিকিৎসা হবে সহকারী ও লক্ষণভিত্তিক। রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিৎ।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Glucocorticoids

সংরক্ষণ

আলাে থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুকনা স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names