বিসোপ্রোলল ফিউমারেট + হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড

নির্দেশনা

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই কম্বিনেশন নির্দেশিত।

মাত্রা ও সেবনবিধি

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর মাত্রা হলো বিসোপ্রলল এর ২.৫-৪০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার এবং হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড এর ১২.৫-৫০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার। বিসোপ্রলল ফিউমারেট এবং হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড কম্বিনেশনে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে এর যে কোন উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধিতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

প্রারম্ভিক চিকিৎসায় মাত্রা: ২.৫/৬.২৫ মি.গ্রা. ১টি ট্যাবলেট দিনে ১ বার দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রক্তচাপ যথাযথ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২ সপ্তাহ অন্তর মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে (সর্বোচ্চ মাত্রা হলো বিসোপ্রলল ফিউমারেট/হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড ২০/১২.৫ মি.গ্রা. দিনে ১ বার)।

পরিবর্তিত চিকিৎসায় মাত্রা: এই কম্বিনাশন ওষুধ বিসোপ্রলল বা হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড এর একক ব্যবহারের পরিবর্তে কম্বিনেশন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।

ক্লিনিক্যাল কার্যকারিতা প্রভাবিত মাত্রা: যাদের রক্তচাপ দৈনিক ২.৫-২০ মি.গ্রা. বিসোপ্রলল দ্বারা যথাযথ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না, তাদেরকে এই কম্বিনেশন দেয়া যেতে পারে। যাদের রক্তচাপ দৈনিক ৫০ মি.গ্রা. হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড দ্বারা যথাযথ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিন্তু পটাশিয়াম ঘাটতি দেখা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এই কম্বিনেশন দ্বারা চিকিৎসায় ইলেকট্রোলাইটের অসমতা ছাড়াই সমপরিমাণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

এই কম্বিনেশন ওষুধটি অন্যান্য উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারে। এটি অন্যান্য বিটা ব্লকারের সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়। যে সকল রোগী ক্যাটেকোলামিন ডিপিটিং ওষুধ, যেমন - রিসারপিন বা গুয়ানেথিডিন গ্রহণ করছেন, তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। যে সকল রোগী এই কম্বিনেশন ওষুধের সাথে কোনিডিন গ্রহণ করছেন এবং চিকিৎসা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন, তাদের ক্ষেত্রে কোনিডিন প্রত্যাহারের বেশ কয়েক দিন পূর্বেই এই কম্বিনেশন ওষুধটি প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রতিনির্দেশনা

কার্ডিওজেনিক শক্‌, ওভার্ট কার্ডিয়াক ফেইলিওর, ২য় বা ৩য় ডিগ্রীর এ-ভি বক, সাইনাস ব্র্যাডিকার্ডিয়া, অ্যানুরিয়া এবং এই ওষুধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এই কম্বিনেশন ওষুধটি প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণতঃ সুসহনীয়। বেশীরভাগ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াই মৃদু ও কদাচিৎ। কিছু সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলোঃ অবসাদ, ঝিঁমুনী, মাথা ব্যথা, ব্র্যাডিকার্ডিয়া, অ্যারিদমিয়া, পেরিফেরাল ইস্কিমিয়া, বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, ঠাণ্ডার ভাব, কডিকেশন, অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব, ডিসপেপসিয়া, রাইনাইটিস, ফেরিনজাইটিস ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-সি। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর উপর বিসোপ্রলল ফিউমারেট এবং হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড এর প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করে এই কম্বিনেশন ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। একক বা কম্বিনেশন হিসাবে বিসোপ্রলল স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত নয়। থায়াজাইড মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়।

সতর্কতা

থায়াজাইড সেবনকারী কিছু কিছু রোগীদের হাইপারইউরিসেমিয়া বা বাত হতে পারে। ফ্লুইড বা ইলেকট্রোলাইট অসমতার উপসর্গগুলো হলোঃ মুখ শুকিয়ে যাওয়া, তৃষ্ণা, দুর্বলতা, অবসাদ, ঝিঁমুনী, বিশ্রামহীনতা, মাংসপেশীর ব্যথা ও দুর্বলতা, নিম্ন রক্তচাপ, অলিগুরিয়া, ট্যাকিকার্ডিয়া, বমি বমি ভাব, বমি ইত্যাদি। হাইপোক্যালেমিয়া হতে পারে। এই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা প্রত্যাহার করতে হলে ধীরে ধীরে ২ সপ্তাহের বেশী সময় ধরে ওষুধের মাত্রা কমাতে হবে এবং রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Combined antihypertensive preparations

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০° ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names