এ্যালাইলস্ট্রেনল

নির্দেশনা

এ্যালাইলস্ট্রেনল নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • ইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রিটারডেশন
  • গর্ভপাতের আশংকা
  • স্বেচ্ছা গর্ভপাতের ইতিহাস থাকলে
  • অকালীন প্রসবের আশংকা

মাত্রা ও সেবনবিধি

ইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রিটারডেশন: দৈনিক ৩টি করে ট্যাবলেট ২ মাস। লক্ষণসমূহের উন্নতি হলে মাত্রা কমানো যেতে পারে।
গর্ভপাতের আশংকা: লক্ষণসমূহ মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত দৈনিক ৩টি ট্যাবলেট।
স্বেচ্ছা গর্ভপাতের ইতিহাস থাকলে: গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়া মাত্র দৈনিক ১-২টি ট্যাবলেট। আশংকাজনক সময় পার হওয়ার ১ মাস পর পর্যন্ত ওষুধ খেয়ে যাওয়া উচিত।
অকালীন প্রসবের আশংকা: ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। সাধারণত উচ্চমাত্রা (সর্বোচ্চ দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. পর্যন্ত) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রতিনির্দেশনা

অতিসংবেদনশীলতা, থ্রম্বোফেবাইটিস, অজানা কারণে যোনী হতে রক্তরণ, অসম্পূর্ণ গর্ভপাত, হরমোনজনিত কার্সিনোমা, সেরিব্রাল এপোপেক্সি, গর্ভ নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং যকৃতের তীব্র সমস্যা থাকলে এ ওষধু ব্যবহার করা উচিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

দীর্ঘ সময় ধরে এ্যালাইলস্ট্রেনল দিয়ে চিকিৎসা করলে পরিপাকতন্ত্রের কিছু সাধারণ সমস্যা হতে পারে। যেমন- বমি অথবা বমি বমিভাব এবং এপিগ্যাস্ট্রিক অস্বস্তি।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

এ্যালাইলস্ট্রেনল গর্ভকালীন সময়ে খাওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে নির্দেশিত। প্রসব পরবর্তী সময়ে এ ওষুধ পরিহার করা উচিত কারণ এটা মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয়ে নবজাতকের সামান্য হলেও ক্ষতি করতে পারে।

সতর্কতা

কোন রোগীর নিম্নলিখিত সমস্যা থাকলে এ ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত: হৃদরোগ, কনজেস্‌টিভ হার্ট ফেইলিউর, সিক সাইনাস সিন্ড্রোম, করোনারী আর্টারীতে কোন সমস্যা, মৃগীরোগ বা মৃগীরোগজনিত কাঁপুনি, মূত্রতন্ত্রের অকার্যকারিতা, মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা, শ্বাসতন্ত্রের কোন রোগ যেমন-অ্যাজমা, এম্ফাইসেমা, ক্রমিক ব্রংকাইটিস অথবা সিওপিডি এবং দুগ্ধদানকালে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ১৬ বছরের নিচে মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Female Sex hormones

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।