ফসফোমাইসিন ট্রোমেটামল

নির্দেশনা

সংবেদনশীল ইসেরিচিয়া কোলাই এবং এন্টারোকোকাস ফিকালিস জাতের জীবাণুঘটিত, মহিলাদের অজটিল মূত্রনালীর প্রদাহ (একিউট সিস্টাইটিস) এর চিকিৎসায় এটি নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

ফসফোমাইসিন মূত্রনালীর সংক্রমণের সাথে সম্পর্কিত গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ এরোবিক জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে বিস্তৃত পরিসরে ইন-ভিট্রো ক্রিয়াকলাপ আছে। ফসফোমাইসিন ট্রোমেটামল একটি ফসফোনিক এসিডের উপজাত। এটি মুখে সেবন করার একটি সিনথেটিক, বিস্তৃত বর্ণালীর ব্যাকটেরিয়ানাশক। ফসফোমাইসিন ব্যাকটেরিয়ার এনোলপাইরুভাইল ট্রান্সফারেজ নামক এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ানাশক কার্যক্রিয়া প্রদর্শন করে, এরপরে ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর সংশ্লেষণের প্রথম ধাপগুলির একটি ইউরিডিন ডাইফসফেট এন-এসিটাইলগুকোসামিনের ঘনত্বকে পি-এনোলপাইরুভেটের সাথে অপরিবর্তনীয়ভাবে অবরুদ্ধ করে কার্যপদ্ধতি সম্পন্ন করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের একিউট সিস্টাইটিসের ক্ষেত্রে একটি মনোফোসিন স্যাশে একক মাত্রায় নির্দেশিত। বাচ্চাদের জন্য এটি নির্দেশিত নয়।

প্রস্তুতপ্রণালী: প্রথমে ১০০ মিলি পরিশোধিত পানি একটি গ্লাসে ঢালুন। তারপর একটি স্যাশে থেকে সবটুকু উপাদান পরিশোধিত পানির সাথে যোগ করে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। তৈরির পর সাথে সাথে সম্পূর্ণ মিশ্রণ পান করুন।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ফসফোমাইসিন এর সাথে মেটোক্লোপ্রামাইড ব্যবহার করলে, যা গ্যাস্ট্রিক মোটিলিটি বাড়িয়ে দেয়, এটি ফসফোমাইসিনের সেরাম ঘন মাত্রা এবং মূত্রের মাধ্যমে এর নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। যে সকল ওষুধ গ্যাস্ট্রিক মোটিলিটি বাড়িয়ে দেয়, তারাও ফসফোমাইসিন-এর সাথে একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

ফসফোমাইসিনের প্রতি অতিসংবেদনশীল, বৃক্কের তীব্র অকার্যকারিতা এবং হিমোডায়ালাইসিসের রোগীর ক্ষেত্রে ফসফোমাইসিন প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ক্লিনিকাল পরীক্ষায় ১% এর বেশি রোগীর ক্ষেত্রে যে সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তার মধ্যে ডায়রিয়া ১০.৪%, মাথাব্যথা ১০.৩%, ভ্যাজাইনাইটিস ৭.৬%, বমি বমি ভাব ৫.২%, রাইনাইটিস ৪.৫%, পিঠব্যথা ৩%, ডিসমেনোরিয়া ২.৬%, ফ্যারিংজাইটিস ২.৫%, ডিজিনেস ২.৩%, পেটব্যথা ২.২%, ব্যথা ২.২%, বদহজম ১.৮%, এসথেনিয়া ১.৭% এবং র্যাশ ১.৪%। ক্লিনিকাল পরীক্ষায় ১% এর কম রোগীর ক্ষেত্রে যে সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তার মধ্যে অস্বাভাবিক মল, এনোরেক্সিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ডাইসুরিয়া, কানের অসুবিধা, জ্বর, পেটফাঁপা, ফ্লু সিনড্রোম, হেমাটুরিয়া, প্রদাহ, অনিদ্রা, লিম্ফাডেনোপ্যাথি, মাসিকের সমস্যা, মাইগ্রেন, মায়ালজিয়া, নার্ভাস লাগা, প্যারেসথেসিয়া, প্রুরাইটিস, এসজিপিটি এর লেভেল বেড়ে যাওয়া, চর্ম সমস্যা, সমনোলেন্স এবং বমি।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

ফসফোমাইসিন প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি বি। সুফলের তুলনায় ঝুঁকি বেশি বলে প্রতীয়মান হলে, গর্ভাবস্থায় ফসফোমাইসিন ব্যবহার করা যাবে না। গুরুত্ব বিবেচনা করে, ফসফোমাইসিনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে, স্তন্যদানকালে স্তন্যদানে বিরতি অথবা ফসফোমাইসিন সেবন না করা, এর মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সতর্কতা

ফসফোমাইসিনসহ প্রায় সব ধরনের ব্যাকটেরিয়ারোধী ওষুধের ক্ষেত্রে ক্লসট্রিডিয়াম ডিফিসাইলজনিত ডায়রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। ব্যাকটেরিয়ারোধী ওষুধের ব্যবহার কোলনের স্বাভাবিক উপকারী ব্যাকটেরিয়াকূলের মাঝে পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্লক্সট্রিডিয়াম ডিফিসাইল-এর অতি বৃদ্ধি ঘটায়। একবার সিস্টাইটিসের চিকিৎসায় একটির বেশি ফসফোমাইসিন স্যাশে ব্যবহার করা যাবে না। একের অধিক স্যাশে একদিনে সেবন, একটি স্যাশে সেবনের তুলনায় ক্লিনিকাল সাফল্যের হার বাড়ায় না, উপরন্তু প্রতিকূলতা বাড়িয়ে তোলে।

মাত্রাধিক্যতা

ফসফোমাইসিন মাত্রাধিক্য পরিমাণে নেয়া রোগীদের মধ্যে ভেস্টিবুলার লস, কানে কম শোনা, ধাতব স্বাদ এবং সাধারণ স্বাদ উপলব্ধি হ্রাস লক্ষ করা গিয়েছে। অতিমাত্রার ক্ষেত্রে রোগীদের সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Intracellular antibiotic

সংরক্ষণ

শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। আলো থেকে দূরে, ২৫°সে. তাপমাত্রার নিচে এবং শুষ্ক স্থানে রাখুন।