লিউটেন + জিয়াজেনথিন
নির্দেশনা
ইহা নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
- বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন
- চোখে ছানি পড়া
- রেটিনার প্রদাহ জনিত রঞ্জকের জমাট বাধা
ফার্মাকোলজি
লিউটেন ও জিয়াজেনথিন দুটি গুরত্বপূর্ণ সম্পূরক যা দেহের সুস্থ্য কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ফ্রি র্যাডিক্যাল এর ক্ষতিকর প্রভাব হতে রক্ষা করে। লিউটেন ও জিয়াজেনথিন দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেহের জন্য ক্ষতিকর আলো প্রতিরোধ করার বিশেষ বৈশিষ্ট রয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, গুরত্বপূর্ণ এই ক্যারটিনয়েড দুইটি চোখের রেটিনার রঞ্জক আবরণের প্রধান উপাদান যা ক্ষতিকর আলো প্রতিরোধ করে। লিউটেন ও জিয়াজেনথিন বিশেষত রেটিনার রডস্ কোষে থাকে, যা আলো সংবেদনশীল ও ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং অন্ধকারে সাদা ও কালো দেখতে সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিক তথ্যানুসারে পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত যে লিউটেন ও জিয়াজেনথিন উচ্চ শক্তিসম্পন্ন নীল রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেটিনাকে রক্ষা করে। চোখের কোষে সৃষ্ট অনিয়ন্ত্রিত ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং ক্ষতিকর আলোর প্রভাবের কারণে বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, চোখে ছানি পড়া এবং রেটিনার প্রদাহ জনিত রঞ্জকের জমাট বাধা ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। লিউটেন ও জিয়াজেনথিন ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং বয়স বৃদ্ধি জনিত সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রতিদিন ১টি করে ক্যাপসুল অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
কিছু কিছু ওষুধের সাথে ব্যবহারে লিউটেন ও জিয়াজেনথিন এর শোষণ কমে যায়, যেমন প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর ও লিপিড লোয়ারিং এজেন্ট।
প্রতিনির্দেশনা
সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা যায় ৪০ মিগ্রা লিউটেন ও জিয়াজেনথিন ২ মাস ব্যবহারে কোন প্রকার বিষক্রিয়া দেখা যায়নি।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য জানা যায়নি। এইমস্ পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে পরিশুদ্ধ লিউটেন ও জিয়াজেনথিন ব্যবহারে জিনগত পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
লিউটেন ও জিয়াজেনথিন গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন গবেষণা জানা যায়নি।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Herbal and Nutraceuticals
সংরক্ষণ
আলো এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।