এগশেল ক্যালসিয়াম + ভিটামিন ডি৩

নির্দেশনা

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি৩ নিম্নলিখিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়-
  • হাড়ের ক্ষয় (অস্টিওপােরােসিস)
  • দুর্বল হাড় (অস্টিওম্যালাসিয়া, অস্টিওপেনিয়া)
  • রিকেটস
  • প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়াকলাপ হ্রাস (হাইপােপ্যারাথাইরয়ডিজম)
  • প্রচ্ছন্ন টিটেনি (নির্দিষ্ট পেশী রোগ)
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি৩ নিশ্চিত করতে, এটি কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন-
  • গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদান
  • মেনােপােজাল অস্টিওপােরােসিস
  • সিনাইল অস্টিওপােরোসিস
  • ঔষধ যেমন- ফেনাইটোইন, ফেনােরবিটাল বা প্রেভনিসােলন জাতীয় ঔষধ অস্টিওপােরােসিস প্ররোচিত করে।

উপাদান

৫০০ মিগ্রা ও ২০০ আইইউ ট্যাবলেট: প্রতিটি ফিল্ম-কোটেড ট্যাবলেটে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বিপি (এগশেল থেকে তৈরি) ১২৫০ মিগ্রা যা ৫০০ মিগ্রা মৌলিক ক্যালসিয়ামের সমতুল্য এবং কোলেক্যালসিফেরল (ভিটামিন ডি৩) বিপি ২০০ আইইউ।

৬০০ মিগ্রা ও ৪০০ আইইউ ট্যাবলেট: প্রতিটি ফিল্ম-কোটে ট্যাবলেটে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বিপি (এগশেল থেকে তৈরি) ১৫০০ মিগ্রা যা ৬০০ মিগ্রা মৌলিক ক্যালসিয়ামের সমতুল্য এবং কোলেক্যালসিফেরল (ভিটামিন ডি৩) বিপি ৪০০ আইইউ।

বিবরণ

এই প্রিপারেশনটি হল ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ও ভিটামিন ডি৩ এর সমম্বয়ে তৈরি যেখানে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ইউরােপিয়ান এগশেল থেকে তৈরি। ইহাতে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ছাড়াও স্বল্প পরিমাণে প্রয়ােজনীয় লবন, খনিজ পদার্থ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও স্ট্রনশিয়াম থাকে। যা ১০০ ভাগ প্রাকৃতিক, অত্যন্ত হজমসহনীয় (৯৮%), অধিক শােষণকৃত, পরিবেশ বান্ধব ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে এটা হাড়ের উপাদান সমূহকে বৃদ্ধি করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এটা দ্রবণীয় পরিবহনকৃত প্রােটিন বহন করে ক্যালসিয়ামের সর্বোচ্চ পরিমাণ শােষণ নিশ্চিত করে যা অন্যান্য ক্যালসিয়াম উৎস থেকে বেশি। এলজি, কোরাল অথবা রক বেইজ ক্যালসিয়ামের চেয়ে এর শোষণ অধিকতর ভালাে।

ফার্মাকোলজি

ক্যালসিয়াম শরীরে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হাড়, স্নায়ু কোষ, পেশী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং শরীরের নিয়ন্ত্রক সিস্টেমের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়ােজনীয়। যদি রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে তবে শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম নিয়ে নেয়, ফলে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের হাড়ের ব্যাধি ঘটায়। ভিটামিন ডি৩, শরীরকে ক্যালসিয়াম শােষণে সহায়তা করে। শক্তিশালী হাড় এবং সুস্থ পেশী তৈরি এবং মজবুত রাখার জন্য ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি৩, এর সঠিক পরিমাণ থাকা শুরুত্বপূর্ণ।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রয়ােগের পথ: মুখে সেব্য। সকালে একটি ট্যাবলেট এবং রাতে একটি ট্যাবলেট অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। শিশু এবং কিশােরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ঔষধের সাথে: ডিগক্সিন, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত এন্টাসিড, অন্যান্য ক্যালসিয়াম সাপ্লিম্যান্ট, ক্যালসিট্রায়ােল, টেট্রাসাইক্লিন, ডক্সিসাইক্লিন, এমাইনােসাইক্লিন, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইত্যাদি। তাই উপরোক্ত ঔষধের সাথে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবনের সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

খাবার ও অন্যান্যের সাথে
: কিছু কিছু খাবার (যেমন শাক, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার) এর সাথে ক্যালসিয়াম খেলে অন্ত্র থেকে ক্যালসিয়ামের শােষণ কমে যায়।

প্রতিনির্দেশনা

  • হইপারক্যালসেমিয়া এবং হাইপারপ্যারাথাইরয়ডিজম
  • হাইপারক্যালসিরিয়া এবং নেফ্রোপিখিয়াসিস
  • অতিসংবেদনশীলতা
  • বৃক্কের অকার্যকারিতা
  • ডিগক্সিন এর সাথে ব্যবহার (রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হয়)

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: সাধারণত মুখে সেব্য ক্যালসিয়াম কার্বোনেট গ্রহণে অন্ত্রে অস্বত্তি অনুভূত হতে পাবে, কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে তবে এগশেল ক্যালসিয়াম দীর্ঘদিন সেবনে নিরাপদ যা অন্ত্রে অস্বত্তি বা কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করেনা। বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: কিডনিতে পাথর, হাইপারক্যালসেমিয়া, আলকালােসিস, ক্ষুধামন্দা।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ইহার ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করে উচিত।

সতর্কতা

হাইপারক্যালসেমিয়া হলে মাত্রা বন্ধ করতে হবে। যে সরল রােগীর ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথর সৃষ্টির ইতিহাস জানা গিয়েছে তাদেরকে বেশি তরল খাদ্য গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেয়া উচিত।

মাত্রাধিক্যতা

বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া, মুখ শুষ্ক হওয়া, ক্ষুধামন্দা, ধাতব স্বাদ, ডায়রিয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যাথা, বিরক্তি অথবা মাথা ঝিম কিম করা ইত্যাদি।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Specific mineral & vitamin combined preparations

সংরক্ষণ

আলাে থেকে দুরে, ঠান্ডা (৩০° সেলসিয়াস এর নিচে) ও শুকনাে স্থানে রাখুন । সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।