Sodium Chloride (Tablet)

নির্দেশনা

সোডিয়াম ক্লোরাইডের অভাব প্রতিরোধে এবং এর স্বল্পতার চিকিৎসায় নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

সোডিয়াম ক্লোরাইড এক ধরনের লবণ যা কোষ এবং টিস্যুর অসমোটিক টেনশনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, অসমোটিক টেনশন কোষের টিস্যুতে Fluid এবং লবণের প্রবাহকে প্রভাবিত করে সোডিয়াম ক্লোরাইড ট্যাবলেট যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেখানে সোডিয়ামের সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত করে পরিপাকতন্ত্র থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড সহজেই শোষিত হয় এটি শরীরের সকল ধরনের Fluid বিশেষ করে এক্সট্রা সেলুলার Fluid উপস্থিত থাকে ঘামের মাধ্যমে হারানো সোডিয়ামের পরিমাণ সাধারণত কম হয়ে থাকে শরীরের অসমোটিক ভারসাম্য বজায় থাকে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত পরিমান নির্গমনের মাধ্যমে

মাত্রা ও সেবনবিধি

ট্যাবলেট খাবার সময় পানি দিয়ে গিলে ফেলতে হবে (প্রতি ট্যাবলেট খাবার সময় প্রায় ৭০ মিলি পানি পান করতে হবে যেন কিডনীর কার্যকারিতা ঠিক থাকে এবং হাইপারনেট্রিমিয়া না হয়) এবং চিবিয়ে খাওয়া যাবে না।

প্রাপ্তবয়স্ক: ঔষধের মাত্রা ব্যক্তি বিশেষে পৃথকভাবে সমন্বয় করা উচিত। দৈনিক ৮-১৬ টি ট্যাবলেট খেতে হবে। অত্যাধিক লবণের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০ টি ট্যাবলেট ব্যক্তি বিশেষে খাওয়া যেতে পারে। মাংসপেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রণের জন্য হেমোডায়ালাইসিসের সময় সাধারণত প্রতি ডায়ালাইসিসে ২০-৩২ টি ট্যাবলেট খেতে হয়। দীর্ঘস্থায়ী রেচনতন্ত্রের লবণ অপচয় প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি ৪০ টি ট্যাবলেটের প্রয়োজন হতে পারে।

শিশু: ঔষধের ডোজ প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় করা উচিত।

বৃদ্ধ: কোন প্রকার ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অকার্যকর রেচন ক্রিয়ায় আক্রান্ত উচ্চরক্তচাপ সম্পন্ন ক্রনিক রেনাল ফেইলুর রোগীর ক্ষেত্রে সোডিয়াম ক্লোরাইড ট্যাবলেট ব্যবহারের ফলে উচ্চরক্তচাপ বিরোধী ঔষধের কার্যকারিতার ব্যাঘাত ঘটে।

প্রতিনির্দেশনা

যে সকল ক্ষেত্রে শরীরে অতিরিক্ত লবণের আধিক্য অপ্রত্যাশিত (যেমনঃ ইডেমা, হৃদরোগ, কার্ডিয়াক ডিকমপেনসেশান, প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি অ্যালডোস্টেরনিজম); অথবা যে সকল ক্ষেত্রে শরীর থেকে লবণ এবং পানি হ্রাস করার জন্য চিকিৎসায় দেওয়া হয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

নির্দেশিত মাত্রায় সোডিয়াম ক্লোরাইড ট্যাবলেট ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার: অতিরিক্ত কোনও সতর্কতার প্রয়োজন নেই।

সতর্কতা

বিশেষ সতর্কতা এবং ব্যবহার বিশেষ কোন সতর্কতার প্রয়োজন নেই।

মাত্রাধিক্যতা

লক্ষণ ও উপসর্গ: অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণের ফলে হাইপারনেট্রেমিয়া হতে পারে। হাইপারনেট্রেমিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অস্থিরতা, দুর্বলতা, তৃষ্ণা, লালা এবং চোখের পানি কমে যাওয়া, ফোলা জিহ্বা, ত্বকের ফ্লাশিং, জ্বর, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, অল্প অল্প প্রশ্রাব হওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ট্যাকিকার্ডিয়া, প্রলাপ, দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া এবং শ্বাস প্রশ্বাসের বাঁধা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

চিকিৎসা: চিকিৎসার জন্য সোডিয়াম- মুক্ত তরল ব্যবহার এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ বন্ধ করা প্রয়োজন। উল্লেখযোগ্য পরিমাণের সিরামের ক্ষেত্রে সোডিয়াম মাত্রার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মূল্যায়ন করা উচিত এবং কোনও অস্বাভাবিকতা সংশোধন করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহারের পর সিরামে সোডিয়ামের মাত্রার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরীক্ষা করা উচিত এবং কোন অস্বাভাবিকতা থাকলে সংশোধন করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। গুরুতর হাইপারনেট্রেমিয়ার ক্ষেত্রে লুপ ডাইয়ুরেটিকের (প্রয়োজনীয় পরিমাণের পটাসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সাথে) ব্যবহার যথাযথ হতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Oral electrolytes preparations

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে, ৩০° সেঃ তাপমাত্রার নিচে শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।