অ্যালজি ক্যালসিয়াম + ভিটামিন ডি৩

নির্দেশনা

অ্যালজি ক্যালসিয়াম + ভিটামিন ডি৩ নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • অস্টিওপোরোসিস, রিকেটস, অস্টিওম্যালেসিয়া, টিটেনি এবং হাইপোপ্যারাথাইরয়েডিজম এর চিকিৎসায়
  • গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে
  • বৃক্কীয় রোগসমূহে ও অগ্ন্যাশয় প্রদাহে
  • খিচুনী রোধী ওষুধ গ্রহণকালে
  • ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাব প্রতিরোধ বা চিকিৎসায়

উপাদান

প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে-
  • ১২৫০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (অ্যালজি উৎস) বিপি যা মৌলিক ক্যালসিয়াম ৫০০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য
  • ভিটামিন ডি ২০০ আই ইউ কোলেক্যালসিফেরল ইউএসপি হিসাবে

ফার্মাকোলজি

ইহা একটি ক্যালসিয়াম (অ্যালজি উৎস) এবং ভিটামিন ডি এর সংমিশ্রণ। ক্যালসিয়াম (অ্যালজি উৎস) একটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা শরীর গঠনে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। এটি হাড় গঠনের মাধ্যমে শরীরের কাঠামো মজবুত রাখে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা যায় অস্টিওপোরোসিস এবং সংশ্লিষ্ট অস্থিজনিত ফ্র্যাকচার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ক্যালসিয়াম উপকারী। যেহেতু ভিটামিন ডি পরিপাকনালী থেকে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে তাই এটি অস্থির কাঠামো রক্ষায় প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি এটি অস্থি গঠনের উদ্দীপক। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা যায় ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি৩ সম্মিলিতভাবে অস্থির বৃদ্ধি ঘটায় এবং অস্টিওপোরোসিস ও ফ্র্যাকচার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রাঃ ১ টি ট্যাবলেট সকালে এবং ১ টি ট্যাবলেট রাতে। ট্যাবলেট মুখে দিয়ে গ্রহণ করতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অন্য ওষুধের সাথে-
  • বিসফসফোনেটস, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, ফ্লোরাইডস, আয়রন, লেভোথাইরক্সিন, টেট্রাসাইক্লিন এবং জিংক এর শোষণ ক্যালসিয়াম লবণের কারণে কমে যেতে পারে
  • ক্যালসিয়াম লবণের শোষণ করটিকোস্টেরয়েডের কারণে কমে যেতে পারে
  • থায়াজাইড ও সংশ্লিষ্ট মূত্রবর্ধক এর সাথে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি দিলে হাইপারক্যালসেমিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে
খাবার বা অন্য কিছুর সাথে- কোন খাবারের সাথে এই ওষুধের আন্তঃক্রিয়া এখনও নথিভুক্ত নেই।

প্রতিনির্দেশনা

  • হাইপোক্যালসেমিয়া এবং হাইপারক্যালসিইউরিয়া
  • মেটাস্ট্যাটিক ক্যালসিফিকেশন
  • ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি৩ এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণঃ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ হল- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, বমি বমি ভাব, মুখের শুষ্কতা, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, মুখে ধাতব স্বাদ, সাংসপেশী ও হাড়ে ব্যথা এবং ঝিমুনি। বিরলঃ রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে: সুবিধা ও ঝুঁকির তুলনামূলক পর্যালোচনায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি ব্যবহার করা উচিত।

সতর্কতা

যে সমস্ত রোগীর বৃক্কের অকার্যকারিতা, সারকোয়ডোসিস, হাইপারক্যালসেমিয়া এবং হাইপারক্যালসিইউরিয়া সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা অনুচিত।

মাত্রাধিক্যতা

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে বমি বমি ভাব, বমি, ঝিমুনি, ক্ষুধামন্দা, পেট কামড়ানো, মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি হতে পারে। চিকিৎসা হিসাবে সেবন বন্ধ এবং অতিমাত্রায় তরল গ্রহণ করতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Specific mineral & vitamin combined preparations

সংরক্ষণ

৩০° সে. তাপমাত্রার নিচে এবং আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names