গ্লাইকোপাইরোনিয়াম ব্রোমাইড

নির্দেশনা

গ্লাইকোপাইরোনিয়াম ব্রোমাইড ৩ থেকে ১৬ বছর বয়সী রোগীদের স্নায়বিক কারনে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী গুরুতর মুখের লালা সংক্রান্ত সমস্যা (যেমন, সেরিব্রাল পালসি) কমাতে নির্দেশিত।

মাত্রা ও সেবনবিধি

গ্লাইকোপাইরোনিয়াম ব্রোমাইড ওড়াল দ্রবণ অবশ্যই একটি সঠিক পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করে সেবন করতে হবে। প্রতিদিন তিনবার ওড়ালি ০.০২ মিগ্রা/কেজি ডোজ দিয়ে শুরু করটে হবে এবং থেরাপিউটিক প্রতিক্রিয়া এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতি ৫-৭ দিনে ০.০২ মিগ্রা/কেজি টাইট্রেট করে বৃদ্ধি করতে হবে। সর্বাধিক প্রস্তাবিত ডোজ হল ০.১ মিগ্রা/কেজি প্রতিদিন তিনবার তবে ওজনের উপর ভিত্তি করে প্রতি ডোজ ১.৫-৩ মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিৎ নয়।

চার-সপ্তাহের টাইট্রেশন সময়কালে, অ্যান্টিকোলিনার্জিক প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া সহনীয় কিনা তা নিশ্চিত করে প্রস্তাবিত ডোজ টাইট্রেশন সময়সূচীর সাথে ডোজ বাড়ানো যেতে পারে। প্রতিটি ডোজ বৃদ্ধির আগে, রোগীর পরিচর্যাকারীর সাথে বর্তমান ডোজের সহনশীলতা পর্যালোচনা করুন।

গ্লাইকোপাইরোনিয়াম ব্রোমাইড ওড়াল দ্রবণের ডোজ খাওয়ার কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে বা দুই ঘন্টা পরে দেওয়া উচিত। যদি খাবারের কিছুক্ষণ পরে নেওয়া হয় তাহলে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের উপস্থিতি এই ঔষধের ওড়াল বায়োঅ্যাভেইলঅ্যাবিলিটি হ্রাস করে দেয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল: পেটের প্রসারণ, পেটে ব্যথা, পেটে অস্বস্তি, ফাটা ঠোঁট, পেট ফাঁপা, রিচিং, শুকনো জিহ্বা

সাধারণ ব্যাধি: বিরক্তি, ব্যথা

সংক্রমণ: নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিস, ট্র্যাকিওস্টোমি সংক্রমণ, উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, মূত্রনালীর সংক্রমণ

তদন্ত: হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি

বিপাক এবং পুষ্টি: ডিহাইড্রেশন

স্নায়ুতন্ত্র: মাথাব্যথা, খিঁচুনি, ডিসজিউসিয়া, নাইস্টাগমাস

মানসিক: উত্তেজনা, অস্থিরতা, অস্বাভাবিক আচরণ, আগ্রাসন, কান্না, আবেগ নিয়ন্ত্রণ ব্যাধি, হাহাকার, মেজাজ পরিবর্তিত

শ্বাসযন্ত্র: শ্বাসনালীর নিঃসরণের ঘনত্ব বৃদ্ধি, অনুনাসিক কনজেশন, অনুনাসিক শুষ্কতা

ত্বক: শুষ্ক ত্বক, প্রুরাইটাস, ফুসকুড়ি

থেরাপিউটিক ক্লাস

Anticholinergics (antimuscarinics)/ Anti-spasmodics

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names

Thanks for using MedEx!
How would you rate your experience so far?