ডায়াজোক্সাইড
নির্দেশনা
ডায়াজোক্সাইড হাইপোগ্লাইসেমিয়াতে ব্যবহার করা হয়। ডায়াজোক্সাইড লবণ ও পানি রিটেনশনেও কাজ করে।
ফার্মাকোলজি
এটি ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে। ডায়াজোক্সাইড ক্লোরাইড পুনঃশোষণকে ইনহিবিট করে সোডিয়াম ক্লোরাইড কোট্রান্সপোর্টারের মাধ্যমে। যার ফলে সোডিয়াম, ক্লোরাইড ও পানির নিঃসরণ বেড়ে যায়। এন্টিহাইপোগ্লাইসেমিক হিসেবে পটাশিয়াম চ্যানেল খোলার মাধ্যমে ডায়াজোক্সাইড অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ ইনহিবিট করে।
ডায়াজোক্সাইড বেনজোথায়াডায়াজিন গ্রুপের যা ২ এইচ-১,২,৪ বেনজোথায়াডায়াজিন এর একটি এস, এস-ডাইঅক্সাইড, যার ৩ নং অবস্থানে মিথাইল গ্রুপ এবং ৭নং অবস্থানে ক্লোরিন আছে। এটি একটি পেরিফেরাল ভ্যাসোডায়ালেটার, ইহা প্লাজমার গ্লুকোজ ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
ডায়াজোক্সাইড বেনজোথায়াডায়াজিন গ্রুপের যা ২ এইচ-১,২,৪ বেনজোথায়াডায়াজিন এর একটি এস, এস-ডাইঅক্সাইড, যার ৩ নং অবস্থানে মিথাইল গ্রুপ এবং ৭নং অবস্থানে ক্লোরিন আছে। এটি একটি পেরিফেরাল ভ্যাসোডায়ালেটার, ইহা প্লাজমার গ্লুকোজ ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিশুর জন্য: শুরুতে সেবনমাত্রা ৫ মিগ্রা/কেজি যা ২ বা ৩ টি সমান ডোজে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করে দিতে হবে। সাধারণত মেইনটেনেন্স ডোজ ৩-৮ মিগ্রা/কেজি/দিন ২ বা ৩ টি সমান ভাগে ভাগ করে দিতে হবে।
বৃক্কীয় অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে: নির্দেশিত মাত্রা কমাতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে: লিউসিন সেন্সিটিভ হাইপোগ্লাইসেমিয়াতে ডোজ ১৫-২০ মিগ্রা/কেজি/দিন।
বৃক্কীয় অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে: নির্দেশিত মাত্রা কমাতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে: লিউসিন সেন্সিটিভ হাইপোগ্লাইসেমিয়াতে ডোজ ১৫-২০ মিগ্রা/কেজি/দিন।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
ডায়াজোক্সাইডের সাথে করটিকোস্টেরয়েড অথবা কম্বিনেশন সেবন করলে হাইপারগ্লাইসেমিয়ার রিস্ক রয়েছে।
প্রতিনির্দেশনা
ডায়াজোক্সাইড এবং যে কোনো উপাদান এর প্রতি সংবেদনশীলতা।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, প্যানক্রিয়াটাইটিস, নিম্ন রক্তচাপ, ডায়রিয়া, ডারমাটাইটিস, হৃদযন্ত্রের অকার্যকারিতা।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
ডায়াজোক্সাইড তখনই ব্যবহার করা যাবে যখন নির্দেশিত অবস্থাকে গর্ভবতী মায়ের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হবে। গর্ভাবস্থায় দীর্ঘদিন ডায়াজোক্সাইড ব্যবহারের ফলে নবজাতকের এলোপেসিয়া হতে পারে। ডায়াজোক্সাইড স্তনদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয় কিনা সে ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায় নি।
সতর্কতা
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার চিকিৎসায় নিয়মিতভাবে রক্ত চাপ মনিটর করা জরুরী।
গুরুতর বৃক্কীয় অকার্যরিতার ক্ষেত্রে ডাইইউরেটিক থেরাপি নিয়ন্ত্রণ করতে হাইপোক্যালেমিয়া পরিহার করার জন্য পটাশিয়াম রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে।
হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াজোক্সাইড খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে কেননা কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলর এর ক্ষেত্রে লবণ ও পানি রিটেনশন বিপদজনক হতে পারে। ইহার সরাসরি প্রভাব রয়েছে মায়োকার্ডিয়াম এবং কার্ডিয়াক কার্যকারী তার উপর ।
সেরেব্রাল সারকুলেশান, এওরটিক কোয়ারকটেশান, এওরটিক স্টেনসিস অথবা অন্যান্য হৃদরোগের জন্য ডায়াজোক্সাইড সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
যদি ডায়াজোক্সাইড অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হয় নিয়মিত হেমাটলজিকাল পরীক্ষা করাতে হবে কেননা ডায়াজোক্সাইড অনেক দিন ধরে ব্যবহার করার ফলে শ্বেত রক্ত কনিকা এবং অনুচক্রিকার পরিমান পরিবর্তন হতে পারে।
গুরুতর বৃক্কীয় অকার্যরিতার ক্ষেত্রে ডাইইউরেটিক থেরাপি নিয়ন্ত্রণ করতে হাইপোক্যালেমিয়া পরিহার করার জন্য পটাশিয়াম রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে।
হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াজোক্সাইড খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে কেননা কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলর এর ক্ষেত্রে লবণ ও পানি রিটেনশন বিপদজনক হতে পারে। ইহার সরাসরি প্রভাব রয়েছে মায়োকার্ডিয়াম এবং কার্ডিয়াক কার্যকারী তার উপর ।
সেরেব্রাল সারকুলেশান, এওরটিক কোয়ারকটেশান, এওরটিক স্টেনসিস অথবা অন্যান্য হৃদরোগের জন্য ডায়াজোক্সাইড সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
যদি ডায়াজোক্সাইড অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা হয় নিয়মিত হেমাটলজিকাল পরীক্ষা করাতে হবে কেননা ডায়াজোক্সাইড অনেক দিন ধরে ব্যবহার করার ফলে শ্বেত রক্ত কনিকা এবং অনুচক্রিকার পরিমান পরিবর্তন হতে পারে।
মাত্রাধিক্যতা
ডায়াজোক্সাইড অতিমাত্রায় সেবনের ফলে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Combination Oral hypoglycemic preparations
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে ও ৩০° সে এর নিচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।