পটাশিয়াম সাইট্রেট + সাইট্রিক এসিড

নির্দেশনা

এই প্রিপারেশনটি নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • মূত্রনালীর প্রদাহজনিত জ্বালাপোড়া উপশমে
  • বৃক্কে পাথর তৈরী প্রতিরোধে
  • ইউরিকোসুরিক ওষুধের সাথে বাত প্রতিরোধে
  • বৃক্কীয় সমস্যার কারণে এসিডোসিস হলে

ফার্মাকোলজি

পটাশিয়াম সাইট্রেট এবং সাইট্রিক এসিড স্থিতিশীল এবং সুগন্ধ যুক্ত ওরাল সিস্টেমিক অ্যালকালাইজার পটাশিয়াম সাইট্রেট শোষণের পর বিপাক ক্রিয়ার ফলে পটাশিয়াম বাইকার্বনেটে রুপান্তরিত হয় যা সিস্টেমিক অ্যালকালাইজার হিসাবে কাজ করে এই ওষুধটির নির্দেশিত মাত্রা সিস্টেমিক অ্যালকালোসিস না করে ইউরিনকে অ্যালকালাইজ করে ইহা খুবই রুচিকর, সুগন্ধযুক্ত এবং অনেক দিন সেবন করার পরেও সহনীয় পটাশিয়াম সাইট্রেট পাকস্থলির পাচক রসকে প্রশমন বা বিপাকে বিঘ্ন ঘটায় না।

মাত্রা ও সেবনবিধি

মূত্রনালীর প্রদাহজনিত জ্বালাপোড়া উপশমে-
  • পূর্ণবয়স্ক ও শিশু (৬ বছরের অধিক): ১০ মি.লি. দিনে ৩ বার ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে গ্রহণ করতে হবে। 
  • শিশু (১-৬ বছর): ৫ মি.লি. দিনে ৩ বার ½ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে গ্রহণ করতে হবে। 
বৃক্কে পাথর তৈরি প্রতিরোধে, ইউরিকোসুরিক ওষুধের সাথে বাতের ব্যথা প্রতিরোধে এবং বৃক্কীয় সমস্যার কারণে এসিডোসিস হলে-
  • পূর্ণবয়স্ক: ১০-১৫ মি.লি. দিনে ৪ বার; অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। ইহা ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে গ্রহণ করতে হবে।
  • পেডিয়াট্রিক: ৫-১০ মি.লি. দিনে ৪ বার; অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। ইহা ½ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে গ্রহণ করতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

পটাশিয়াম থাকে এমন ওষুধ, পটাশিয়াম স্প্যায়ারিং ডাইইউরেটিক, এনজিওটেনসিন কনভারটিং এনজাইম (এসিই) ইনহিবিটরস, কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড্স এগুলোর সঙ্গে একই সাথে সেবনে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

মারাত্মক বৃক্কীয় সমস্যা এর সাথে অলিগুরিয়া বা অ্যাজোটেমিয়া, এডিসন রোগ চিকিৎসা না করা হলে, হঠাৎ তীব্র ডিহাইড্রেশন, মারাত্মক হৃদপেশীর ক্ষতি এবং কোন কারণে হাইপারক্যালেমিয়া হলে ওষুধটি প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

নরমাল রেনাল ফাংশন এবং ইউরিনারী আউটপুট বিশিষ্ট রোগীগণকে যখন সলিউশনটি নির্দেশিত সেবনমাত্রায় দেওয়া হয় তখন কোন রকম অপ্রীতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওষুধটি সাধারণত সহনশীল। যে কোন অ্যালকালাইজিং এজেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবশ্যই নিতে হবে যাদের অস্বাভাবিক রেনাল ম্যাকানিজম ঘটে যাতে হাইপারক্যালেমিয়া বা অ্যালকালোসিস না ঘটে। পটাশিয়াম ইনটক্সিকেশনের কারণে অনীহা, দূর্বলতা, মানসিক বিভ্রান্তি, হাত পা শির শির করা এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা যেতে পারে যা রক্তে পটাশিয়ামের উচ্চ মাত্রার সাথে সম্পর্কিত।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহারের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সতর্কতা

কম ইউরিনেশন বিশিষ্ট রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানতার সঙ্গে সলিউশনটি ব্যবহার করতে হবে। ইহাকে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিতে হবে যাতে পাকস্থলীর ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়, যাহা পটাশিয়াম লবণ গলধঃকরণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং খাওয়ার পরে সেবন যুক্তিযুক্ত। মাত্রাধিক সেবন হাইপারক্যালেমিয়া এবং অ্যালকালোসিস ঘটাতে পারে বিশেষ করে যাদের বৃক্কের রোগ আছে।

মাত্রাধিক্যতা

নরমাল এক্সক্রিটরি ম্যাকানিজম এর ক্ষেত্রে ওরাল পটাশিয়াম লবণ সেবনে মারাত্মক হাইপারক্যালেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যদি বৃক্কীয় রোগ থাকে তাহলে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। হাইপারক্যালেমিয়া হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে কারণ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মারাত্মক লেভেল এ পৌছায়। যদি হাইপারক্যালেমিয়া হয় তাহলে নিচের ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে: (১) পটাশিয়ামযুক্ত ওষুধ বা খাবার বের করে ফেলতে হবে। (২) শিরা পথের মাধ্যমে ৩০০-৫০০ মি.লি./ঘন্টা ডেক্সট্রোজ সলিউশন (১০-১৫%) গ্রহণ করতে হবে যাহাতে প্রতি ইউনিট ইনসুলিনে ২০ গ্রাম ডেক্সট্রোজ থাকে। (৩) বিনিময়যোগ্য রেজিন ব্যবহার, হিমোডায়ালাইসিস বা পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস করতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Prevention of repeated kidney stone formation, Urinary Alkalinizing Agent

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names