ডেফলাজাকর্ট

নির্দেশনা

ডেফলাজাকর্ট নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • এ্যানাফাইলেক্সিস, হাঁপানি, তীব্র অতি প্রতিক্রিয়াশীলতা
  • বাত, শিশুদের তীব্র আর্থ্রাইটিক পলিমায়েলজিয়া রিউমেটিকা
  • অভ্যন্তরীন তীব্র ইরাইথেমেটাস, ডার্মাটোমায়োসাইটিস, শংকর সংযোগ টিস্যুর বিভিন্ন রোগ (অভ্যন্তরীন স্ক্লেরোসিস ব্যতীত), পলিআথ্রাইটিস নোডোসা, সারকয়ডোসিস
  • পেমফিগাস, বুলোস পেমফিগয়েড, পায়োডার্মা গ্যানগ্রিনোসাম
  • নেফ্রোটিক সিনড্রোমের সামান্য পরিবর্তন, সাময়িক ইন্টারস্টিশিয়াল নেফ্রাইটিস
  • বাতজনিত কার্ডাইটিস
  • আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রন'স ডিজিস
  • ইউভেটিস, অপটিক নিউরাইটিস
  • হিমোলাইটিক এনিমিয়া, ইডিওপেথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপুরা
  • সাময়িক লিম্ফোটিক লিউকেমিয়া, ম্যালিগনেন্ট লিম্ফোমা, মাল্টিপল মায়েলোমা
  • অঙ্গ পরিবর্তনকালীন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রশমন

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্ত বয়স্ক:
  • সাময়িক ব্যাধিতে: সর্বোচ্চ দৈনিক ১২০ মি.গ্রা. ডেফলাজাকর্ট দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিয়মিত দৈনিক মাত্রা ৩-১৮ মি.গ্রা. এর ভিতরে রাখতে হবে।
  • বাত/বাতজনিত ব্যথা: সাধারণত নিয়মিত মাত্রা হল দৈনিক ৩-১৮ মি.গ্রা.। সব সময় সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রা ব্যবহার করা উচিত এবং প্রয়োজনে মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
  • শ্বাসনালী সংক্রান্ত হাঁপানি: সাময়িক আক্রমণে দৈনিক উচ্চ মাত্রায় (৪৮-৭২মি.গ্রা.) প্রয়োগ করা যেতে পারে। তীব্রতা হ্রাস পাবার পর মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসায় মাত্রা পরিবর্তন করে সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রা ব্যবহার করতে হবে।
  • অন্যান্য ক্ষেত্রে: সর্বক্ষেত্রেই ডেফলাজাকর্ট সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রায় ক্রমান্বয়ে সমন্বয় করতে হবে। ডেফলাজাকর্ট এর প্রারম্ভিক মাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডেফলাজাকর্ট ৬ মি.গ্রা. আর প্রেডনিসোলন ৫ মি.গ্রা. সমতুলা ধরে হিসাব করতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে: শিশুদের ক্ষেত্রে ডেফলাজাকর্ট এর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সীমিত আকারে করা হয়েছে। শিশুদের এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডেফলাজাকর্ট এর নির্দেশনা একই রকমের। কিন্তু ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রাই ব্যবহার করা উচিত। প্রতি একদিন পরপর ব্যবহার এক্ষেত্রে উপযোগী হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের মাত্রা দৈনিক ০.২৫-১.৫ মি.গ্রা./কেজি।

সাধারণ নির্দেশনা নিম্নরূপ:
  • কিশোর বয়সের তীব্র বাতজনিত ব্যথায়: সাধারণ নিয়মিত মাত্রা দৈনিক ০.২৫ মি.গ্রা.-১ মি.গ্রা./কেজি এর ভেতর সীমাবদ্ধ।
  • নেফ্রোটিক সিনড্রোম: প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ১.৫ মি.গ্রা./কেজি। প্রয়োগ মাত্রা পরবর্তীতে হ্রাস করে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদান করতে হবে।
  • হাঁপানি: কার্যকারিতার মাত্রা তুলনা করে প্রারম্ভিক মাত্রা ০.২৫-১ মি.গ্রা/কেজি হিসেবে একদিন পরপর ব্যবহার করা উচিত।
ডেফলাজাকর্ট প্রত্যাহার: যেসব রোগী তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দৈহিক কর্টিকোস্টেরয়েড এর চেয়ে বেশি মাত্রায় ডেফলাজাকর্ট (দৈনিক ৯ মি.গ্রা.) নিচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে আকস্মিক চিকিৎসা বন্ধ করা সমীচীন নয়। মাত্রা হ্রাস করলে রোগ পুনরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা উপর ভিত্তি করে মাত্রা হ্রাস এর হার নির্ধারণ করতে হবে।

প্রতিনির্দেশনা

ডেফলাজাকর্ট ট্যাবলেটের যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা এবং যেসব রোগী বিভিন্ন টিকা নিচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ডেফলাজাকর্ট প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পাকস্থলীতে, মাংসপেশীতে, ক্ষুদ্রান্ত্রে, স্নায়ুতে, চোখে, ফ্লুইড এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য সাময়িক অসুবিধা পরিলক্ষিত হতে পারে। সংক্রমণের প্রতি সংবেদনশীলতা, দেরীতে আরোগ্য লাভ, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, স্টেরি, টেনালগিয়েকটেসিয়া, ব্রণ, সাম্প্রতিক MI এর পর হৃদযন্ত্রের ধমনী ছিড়ে যাওয়া, থ্রম্বোএম্বোলিজম দেখা যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায়: ডেফলাজাকর্ট প্লাসেন্টা অতিক্রম করে। তারপরও গর্ভকালীন সময়ে যখন অনেক দিন ধরে এবং বার বার কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করা হয় তখন ভ্রুণের বৃদ্ধি ব্যহত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। ক্ষতি এবং সুবিধার কথা বিবেচনা করে অন্যান্য ওষুধের মতই গর্ভকালীন সময়ে ডেফলাজাকর্ট ব্যবহার করা উচিত।

স্তন্যদানকালে: কর্টিকোস্টেরয়েড মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। যদিও ডেফলাজাকর্ট এর জন্য পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, দৈনিক ৫০মি.গ্রা. পর্যন্ত ডেফলাজাকর্ট এর ব্যবহার সাধারণত শিশুদের কোন ক্ষতি করে না। যেসব মায়েরা উচ্চ মাত্রায় ডেফলাজাকর্ট ব্যবহার করেন তাদের শিশুদের এড্রেনাল প্রশমন হতে পারে কিন্তু মায়ের দুগ্ধের গুনাবলী এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করে।

সতর্কতা

নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা এবং বিশেষভাবে রোগীর খেয়াল রাখা জরুরী
  • হৃদরোগ অথবা কনজেসটিভ হার্ট ফেইলর (বাতজ্বর ব্যতীত), উচ্চ রক্তচাপ, থ্রম্বোএম্বোলিক ব্যাধিতে
  • পাকস্থলীর/খাদ্যনালীর প্রদাহে, ডাইভার্টিকুলিটিস প্রদাহ, ফুটো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায়, ঘা অথবা পায়োজেনিক প্রদাহে, ক্ষুদ্রান্ত্রে নতুন এনাস্টোমোসিস, সক্রিয় অথবা সুপ্ত পাকস্থলীর ক্ষত
  • বহুমূত্র রোগী অথবা পারিবারিক ইতিহাস, হাড় ক্ষয় রোগ, মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিস, বৃক্কীয় অকার্যকারিতা
  • মানসিক অস্থিরতা অথবা ভারসাম্যহীনতার লক্ষণে, এপিলেপসি
  • পূর্ববর্তী কর্টিকোস্টেরয়েড দ্বারা ঘটিত মায়োপ্যাথিতে
  • যকৃতের অকার্যকারিতায়
  • হাইপোথাইরয়ডিজম এবং যকৃতের প্রদাহে যা গ্লুকোকটিকয়েড এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়
  • কর্ণিয়ার ছিদ্রতাজনিত চোখের হার্পিস সিমপ্লেক্স।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

যকৃতের অকার্যকারিতায়: যকৃতের অকার্যকারিতায় রক্তে ডেফলাজাকর্ট এর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এজন্য এসব ক্ষেত্রে ডেফলাজাকর্ট এর মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে কার্যকরী মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।

বৃক্কের অকার্যকারিতায়: বৃক্কের অকার্যকারিতায় আলাদা কোন সাবধানতার প্রয়োজন নেই।

বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে: বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণ সাবধানতা ব্যতীত অন্য কোন আলাদা সাবধানতা প্রয়োজন নেই। কর্টিকোস্টেরয়েড এর সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে আরো তীব্র আকারে প্রকাশিত হতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Glucocorticoids

সংরক্ষণ

আলো এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠান্ডা (২৫°সে. নীচে) স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে বাখুন।

Available Brand Names