ডিগোক্সিন

নির্দেশনা

ডিগোক্সিন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • হার্ট ফেইলিওর।
  • অ্যার্টিয়াল ফাইব্রিলেশন-এর সাথে মস্তিষ্কে বা হৃদপিন্ডে অনিয়ন্ত্রিত রক্তসঞ্চালন।
  • মারাত্মক বামঅলিন্দের নিষ্ক্রিয়তা।
  • বাম অলিন্দের স্থায়ী অক্ষমতা এবং রক্তসঞ্চয়জনিত হৃদযন্ত্রের অক্ষমতা বিশেষতঃ উচ্চরক্তচাপ, কপাটিকার সমস্যা অথবা অক্সিজেনের অভাবজনিত হৃদরোগ।

ফার্মাকোলজি

ডিগোক্সিন এক প্রকার কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড যা অ্যার্টিয়াল ফাইব্রিলেশন এবং হার্ট ফেইলিওর এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডিগোক্সিন প্রধানত মায়োকার্ডিয়াল কন্ট্রাকশন বাড়ানো (পজিটিভ আয়োনেট্রপিক কার্যক্ষমতা) এবং অ্যাট্রিওভেন্ট্রিকুলার নোডের সাহায্যে হার্টের কনডাকটিভিটি কমানোর মাধ্যমে কাজ করে। ডিগোক্সিনের ভাসকুলার মসৃন পেশীর উপর প্রত্যক্ষভাবে এবং অটোনামিক স্নায়ুকোষের উপর পরোক্ষভাবে কাজ করার এবং ভেগাল নার্ভের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

মুখে সেব্য:
  • দ্রুত কার্যকর মাত্রা: ১-১.৫ মিঃগ্রাঃ বিভিন্ন মাত্রায় ২৪ ঘন্টা ব্যাপী।
  • তুলনামূলক কম জরুরী ক্ষেত্রে সেবন মাত্রা: দৈনিক ২৫০-৫০০ মাইক্রোগ্রাম (উচ্চমাত্রায় ভাগ করে দেওয়া যেতে পারে)।
  • নিয়ন্ত্রিত মাত্রা: বৃক্কের ফাংশন এবং অ্যার্টিয়াল ফাইব্রিলেশন-এ হৃদস্পন্দনের মাত্রার উপর ভিত্তি করে সেবনমাত্রা দৈনিক ৬২.৫-৫০০ মাইক্রোগ্রাম (উচ্চমাত্রায় ভাগ করে দেওয়া যেতে পারে)।
  • সাধারণ সেবনমাত্রা: দৈনিক ১২৫-২৫০ মাইক্রোগ্রাম (উচ্চমাত্রায় ভাগকরে দেওয়া যেতে পারে)।
  • সাধারণ সেবনমাত্রা: দৈনিক ১২৫-২৫০ মাইক্রোগ্রাম (বয়স্কদের ক্ষেত্রে কম মাত্রা প্রযোজ্য)।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

পটাসিয়াম হ্রাসকারী ডাই-ইউরেটিকস ডিজিটালিসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ক্যালসিয়াম বিশেষত অন্তঃশিরায় দ্রুত প্রয়োগে ডিজিটালিস সেবনকারী রোগীদের মারাত্মক অ্যারিথমিয়া দেখা দিতে পারে। কুইনিডিন, ভেরাপ্রামিল এমিওডারোন, প্রোপাফেনন, ইনডোমিথাসিন, ইট্রাকোনাজল এলপ্রাজোলাম, স্পাইরোনোল্যাকটোন, ইরাইথ্রোমাইসিন, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন (এবং অন্যান্য ম্যাক্রোলাইড এন্টিবায়োটিক) এবং টেট্রাসাইক্লিন সিরামে ডিগোক্সিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এছাড়া এন্টাসিড, কোলিন-পেকটিন, সালফাসেলাজিন, নিওমাইসিন, পেনিসিলামিন, ক্যালেসটিপল, মেটোক্লোপ্রামাইড, রিফামপিন অন্ত্রে ডিগোক্সিনের শোষণ বিঘ্নিত করতে পারে যা সিরামে ডিগোক্সিনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

  • ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন।
  • ডিগোক্সিন অথবা ডিজিটালিস প্রিপারেশন সমূহের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত উচ্চমাত্রায় প্রয়োগে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারে যেমন, ক্ষুধামন্দা, বমিবমিভাব, বমি, ডায়ারিয়া, পেটেব্যথা, দৃষ্টিভ্রম, মাথাব্যথা, বিষাদ, ঝিমুনিভাব, মানসিকবিভ্রম, অস্থিরতা, হেলুসিনেশন, বিষন্নতা, হার্টব্লক, ক্ষুদান্ত্রের রক্তস্বল্পতা, গাইনোকোম্যাসটিয়া যা দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে হতে পারে এবং থ্রমবোসাইটোপেনিয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

ডিগোক্সিন গর্ভাবস্থায় নিরাপদে ব্যবহার করা যায়। মায়ের দুধে ডিগোক্সিন নিঃসৃত হয় কিন্তু প্লাজমার যে মাত্রায় পাওয়া যায় তার থেকে মায়ের দুধে মাত্রা কম হওয়ার কারণে ডিগোক্সিন ব্যবহারে দুগ্ধদানকারী শিশুর ক্ষেত্রে কোনরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

নবজাতক: নবজাতকের ক্ষেত্রে ডিগোক্সিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিশু: শিশুদের ক্ষেত্রে ডিগোক্সিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে: আংশিকভাবে কিডনীর কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া এবং বয়স্কদের টিস্যু, ডিজিটালিসের কার্যকারিতার প্রতি সংবেদনশীল বলে বয়স্কদের জন্য নিয়ন্ত্রিত মাত্রা যুবকদের চেয়ে কম হওয়া প্রয়োজন।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Positive Inotropic drugs

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।