ডমপেরিডন ম্যালিয়েট

নির্দেশনা

ডিসপেপটিক সিম্পটম কমপেক্স (পাকস্থলী হতে খাদ্যের বিলম্বিত অপসারণ, গ্যাসট্রো-ইসােফেজিয়াল রিফ্লাক্স এবং ইসাফেগাইটিস এর ফলে সৃষ্ট):
  • পেটের উপরের ভাগে ফাঁপা বােধ, পেট ভার বােধ এবং পেটের উপরের অংশে ব্যথা।
  • ঢেকুর তােলা, পেট ফাঁপা, অল্প খাদ্যে তুষ্টি।
  • বমিবমি ভাব এবং বমি।
  • পাকস্থলী হতে খাদ্য উপরে উঠে আসা সহ বুক জ্বলা অথবা শুধু বুক জ্বলা।
  • আলসার বিহীন অজীর্ণ রােগ।
তীব্র বমিবমি ভাব এবং বমি: ফাংশনাল, জৈবিক, সংক্রমণজনিত বা খাদ্যাভ্যাস অথবা রেডিওথেরাপী বা ঔষধ সেবন মাইগ্রেন হতে উদ্ভুত তীব্র বমিবমি ভাব এবং বমির প্রতিরােধ ও লক্ষণাদির উপশমে।

পারকিনসনস্ রোগে: ডােপামিন-এগােনিষ্ট ব্যবহারে সৃষ্ট বমিবমি ভাব এবং বমির প্রতিরােধে।

রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষায়: রেডিওলজিক্যাল ফলো-থ্রু-পরীক্ষায় বেরিয়ামের সঞ্চালন ত্বরান্বিত করতে।

ফার্মাকোলজি

ডমপেরিডান একটি ডােপামিন প্রতিবদ্ধক, যার গ্যাসট্রোপ্রােকাইনােটিক (পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে) কার্যকারিতা রয়েছে। ডমপেরিডান মূলত: কেমােরিসেপ্টর ট্রিগার জোন এবং এবং পাকস্থলীতে অবস্থিত ডােপামিন রিসেপ্টরকে রুদ্ধ করে। যেহেতু ডমপেরিডান খুব অল্প পরিমাণে ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ারকে ভেদ করতে পারে, তাই মস্তিষ্কের ডােপামিনারজিক রিসেপ্টরের উপর কার্যত এর কোন ভূমিকা নেই। তাই ডমপেরিডান এর মানসিক উদ্দীপক এবং স্নায়বিক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। ডমপেরিডান অন্ত্রের উপরের অংশের স্বাভাবিক গতি ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, পাকস্থলীর খাদ্য অপসারণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, এন্ট্রাল ও ডিওডেনাল পেরিস্টালসিসকে বাড়িয়ে দেয় এবং পাইলােরাসের সংকোচনকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডমপেরিডান খাদ্যনালীর সঞ্চালনকে ত্বরান্বিত করে এবং খাদ্যনালীর নিম্নাংশে স্ফিংক্টার-চাপকে বাড়িয়ে দেয়। এভাবে ডমপেরিডান পাকস্থলী থেকে খাদ্যের উপরে উঠে আসা রােধ করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

ডমপেরিডান খাদ্য গ্রহণের ১৫-৩০ মিনিট পূর্বে এবং প্রয়োজনবােধে রাতে ঘুমাতে যাবার পূর্বে সেব্য।

মুখে খাবার অনন্য সাধারণ নির্দেশিত মাত্রা:
  • প্রাপ্ত বয়স্ক: ১০-২০ মি.গ্রা. ডমপেরিডন (১-২টি ট্যাবলেট অথবা ১০-২০ মি.লি. সাসপেনশন) প্রতি ৬-৮ ঘণ্টা অন্তর।
  • শিশু: ২-৪ মি.লি. সাসপেনশন/১০ কি.গ্রা. অথবা ০.৪-০.৮ মি.লি. ড্রপস/১০ কি.গ্রা.) শরীরের ওজন অনুসারে, প্রতি ৬-৮ ঘণ্টা অন্তর।
ডিসপেপটিক সিম্পটম:
  • গ্রাপ্ত বয়স্ক: ১০-২০ মি.গ্রা. (১-২ টি ট্যাবলেট অথবা ১০-২০ মি.লি. সাসপেনশন) প্রতি ৬-৮ ঘন্টা অন্তর।
  • শিশু: ০.২-০.৪ মি.গ্রা./কি.গ্রা. (২-৪ মি.লি. সাসপেনশন/১০ কি.গ্রা. অথবা ০.৪-০.৮ মি.লি. ড্রপস/১০ কি.গ্রা.) শরীরের ওজন অনুসারে, প্রতি ৬-৮ ঘণ্টা অন্তর।
তীব্র বমিবমি ভাব এবং বমির প্রতিরােধে (সর্বোচ্চ চিকিৎসাকাল ১২ সপ্তাহ)।
  • প্রাপ্ত বয়স্ক: ২০ মি.গ্রা. (২টি ট্যাবলেট অথবা ২০ মি.লি. সাসপেনশন) প্রতি ৬-৮ ঘন্টা অন্তর।
  • শিশু: ০.৪-০.৮ মি.গ্রা./কি.গ্রা. (২-৪ মি.লি. সাসপেনশন/১০ কি.গ্রা. অথবা ০.৪-০.৮ মি.গ্রা. ড্রপস/১০ কি.গ্রা.) শরীরের ওজন অনুসারে, প্রতি ৬-৮ ঘণ্টা অন্তর।
সাপোজিটরি:
  • প্রাপ্ত বয়স্ক অথবা বয়স্ক: প্রতি ৪-৮ ঘন্টা পরপর ৩০-৬০ মিলিগ্রাম।
  • শিশু: ১০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়মিত সর্বাধিক দৈনিক ডোজ ৩০ মিলিগ্রাম। প্রয়োজনে ডোজটি বিভক্ত মাত্রায় দেয়া যেতে পারে।
  • চিকিৎসার সর্বাধিক সময়কাল ১২ সপ্তাহ।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ডমপেরিডােন রক্তে ব্রোমােক্রিপটিনের প্রােল্যাকটিন কমানাের প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে। পরিপাকতান্ত্রিক কার্যকারিতায় আ্যান্টিমাসক্যারাইনিকস ও ওপিঅয়েড এনালজেসিকের মাধ্যমে ডমপেরিডােনের কার্যক্ষমতা ব্যহত হতে পারে। মনােআ্যামাইন অক্সাইডেজ ইনহিবিটরের সাথে ডমপেরিডােনের ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

প্রতিনির্দেশনা

ডমপেরিডােনের প্রতি অতিসংবেদনশীল রােগী এবং নবজাত শিশুদের (নিওনেট) ক্ষেত্রে ডমপেরিডােন ব্যবহার নিষিদ্ধ। গ্যাসট্রো-ইন্টেসটাইনাল হেমােরেজ, মেকানিক্যাল অবস্ট্রাকশন বা পারফোরেশনের মত গ্যাসট্রিক সমস্যায় ডমপেরিডোনের ব্যবহার অনুচিত। প্রােল্যাকটিন নিঃসরণকারী পিটুইটারী টিউমারে (প্রোল্যাকটিনােমা) ডমপেরিডােনের ব্যবহার নিষিদ্ধ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ডমপেরিডান রক্তে প্রােল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে (১.৩%)। এর ফলে দুগ্ধ নিঃসরণ এবং স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে, ক্ষতভাব দেখা দিতে পারে। ডমপেরিডােন সেবনের ফলে মুখের শুষ্কতা (১.৯%), পিপাসা, মাথাব্যথা (১.২%), নার্ভাসভাব, ঝিমুনী (০.৪%), পাতলা পায়খানা (০.২%), ত্বকের লালচেভাব ও চুলকানী (০.১%) হতে পারে। ক্লিনিকাল পরীক্ষায় এক্সটা-পিরামিডাল রিয়্যাকশন ০.০৫% রােগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ডমপেরিডানের ব্যবহারজনিত নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত নয় বলে এর ব্যবহার গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে অনুমােদিত নয়। তবে প্রাণীর উপর গবেষণায় ভ্রণের উপর ডমপেরিডানের কোন টেরাটোজেনিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ডমপেরিডান দুগ্ধ নিঃসরণ বৃদ্ধি করতে পারে এবং প্রসবােত্তর স্তনাদানের উন্নতি ঘটায়। মাতৃদুগ্ধে এটা খুব অল্প পরিমাণে নিঃসরিত হওয়ায় নবজাতকের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না।

সতর্কতা

বাচ্চাদের ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার অপরিণত অবস্থায় থাকায় এক্সট্রা-পিরামিডাল রিয়্যাকশনের সম্ভবনা বেশী থাকে। তাই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডমপেরিডােন অতি সতর্কতার সাথে বাবহার করা উচিত। যেহেতু ডমপেরিডোনের বিপাক মূলত যকৃতে ঘটে তাই যকৃতের সমস্যায় ডমপেরিডানের ব্যাবহার সতর্কতার সাথে করা উচিত।

মাত্রাধিক্যতা

মাত্রাধিক্যের কোন ঘটনা জানা যায়নি।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Motility Stimulants, Motility stimulants/Dopamine antagonist, Prokinetic drugs

সংরক্ষণ

আলাে ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০° সেঃ তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষন করন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে সেব্য।

রাসায়নিক গঠন

Molecular Formula : C22H24ClN5O2
Chemical Structure : Chemical Structure of Domperidone Maleate

Available Brand Names