ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড
নির্দেশনা
পাকস্থলীয়, অন্ত্রীয় এবং পাইলোরিক খিঁচুনীতে পিত্ত পাথরী এবং খিঁচুনীজনিত কোষ্ঠকাঠিন্যে, আমাশয়ের জন্য মল ত্যাগে অসুবিধায়, কষ্টকর ঋতুস্রাবে, শরীরের বহির্ভাগস্থ রক্তনালীর বিকল অবস্থায় এবং হৃদযন্ত্রের অনিষ্টকারক ও নিম্ন রক্তচাপ মুক্ত হেতু ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড করোনারি ইনসাফিসিয়ানসি এবং এনজিনা পেকটোরিসের চিকিৎসায় অতি উত্তম।
ফার্মাকোলজি
ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড একটি নতুন সংশ্লেষিত ফলপ্রসূ খিঁচুনীরোধক ঔষধ, যাহা অন্ত্র দ্বারা শোষিত হয়। প্যাপাভেরিনের মত ইহা সরাসরি কোমল মাংসপেশীর অভ্যন্তরে কাজ করে-যা আদর্শ খিঁচুনীরোধক ঔষধের চাইতে ভাল। ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড এর বৈশিষ্ট্য এই যে, ইহা খুব দ্রুত কাজ আরম্ভ করে বলে বেদনাদায়ক খিঁচুনীতে সুবিধাজনক। খিঁচুনীরোধক এবং রক্ত নালীর প্রসারণ ছাড়াও ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড হৃদযন্ত্রের বিটা রিসেপ্টর নিয়ন্ত্রণ করার নির্দিষ্ট ক্ষমতা রাখে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
বয়স্কদের সাধারণতঃ প্রত্যহ ৩ বার ১-২ ট্যাবলেট। ১-৩ বার ২-৪ মিঃলিঃ ঔষধ ত্বকনিম্নস্থ অথবা অন্তপেশীতে অনুবিদ্ধ করা যাইতে পারে। জরুরী অবস্থায় যেমন তীব্র পাথরী শুল বেদনায় ২-৪ মিঃলিঃ শিরার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে অনুবিদ্ধ করা যাইতে পারে। দূরবর্তী ধমনী সংকোচনে অথবা প্রতিবন্ধকের ক্ষেত্রে ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড ধমনীর মধ্যে দিয়ে অনুবিদ্ধ করা যাইতে পারে। বাচ্চাদের স্বল্প মাত্রায়, এবং ওজন অনুযায়ী ঔষধ দিতে হইবে। বাচ্চাদের প্রত্যহ ১-২ বার ১/৪ হইতে ১/২ ট্যাবলেট, তুলনামূলক বড় বাচ্চাদের প্রত্যহ ১/২-১ টি ট্যাবলেট দেওয়া যাইতে পারে। পেপটিক আলসারে ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড এট্রোপিন জাতীয় ঔষধের সাথে একত্রে ব্যবহার সুবিধা জনক।
প্রতিনির্দেশনা
যে সব রোগীর ড্রোটাভেরিন হাইড্রোক্লোরাইডের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদেরকে দেয়া নিষেধ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কদাচিৎ বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Anticholinergics