ফ্লুপেনটিক্সল + মেলিট্রাসিন

নির্দেশনা

ফ্লুপেনটিক্সল ও মেলিট্রাসিন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিস্তা
  • অবসন্নতা
  • উদাসীনতায়
  • সাইকোজেনিক ডিপ্রেশন
  • ডিপ্রেসিভ নিউরোসিস
  • মাস্কড ডিপ্রেশন
  • সাইকোসোমাটিক এ্যাফেকশন-এর সাথে সংশ্লিষ্ট দুশ্চিন্তা এবং উদাসীনতা
  • মেনোপজাল ডিপ্রেশন ও
  • অ্যালকোহল সেবনকারী এবং মাদকাসক্তদের ডিপ্রেশন এবং ডিসফোরিয়া।

ফার্মাকোলজি

এই প্রিপারেশনে আছে দুটি সু-পরিচিত এবং সু-প্রমাণিত যৌগঃ ফ্লুপেনটিক্সল-একটি নিউরোলেপ্টিক, স্বল্প মাত্রায় যার নিজস্ব দুশ্চিন্তা প্রশমনকারী এবং অবসন্নতাবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং মেলিট্রাসিন-একটি বাইপোলার থাইমোলেগ্রিক, স্বল্প মাত্রায় যার এ্যাকটিভিটিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যৌথভাবে, এই যৌগসমূহ এমন একটি প্রস্তুতি যা অবসন্নতাবিরোধী, দৃশ্চিত্তা প্রশমনকারী এবং এ্যাকটিভেটিং বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। ফ্লপেনটিক্সল মুখে গ্রহণ করার প্রায় চার ঘন্টা পর সিরামে সর্বোচ্চ ঘনত্বে পৌঁছায় এবং মেলিট্রাসিন মুখে গ্রহণ করার প্রায় চার ঘন্টা পর সিরামে সর্বোচ্চ ঘনত্বে পৌঁছায়। ফ্লপেনটিক্সল-এর বায়োলোজিক্যাল হাফ-লাইফ প্রায় ৩৫ ঘন্টা এবং মেট্রিাসিন-এর বায়োলোজিক্যাল হাফ-লাইফ প্রায় ১৯ ঘন্টা। ফ্লপেনটিক্সল এবং মেলিট্রাসিন-এর একত্র ব্যবহার, আলাদা আলাদা যৌগের ফার্মাকোকাইনেটিক বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে না।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্তবয়স্ক: সাধারণতঃ দিনে ২টি ট্যাবলেট (সকালে এবং দুপুরে)। মারাত্মক ক্ষেত্রে সকালের মাত্রা ২টি ট্যাবলেটে বাড়ানো যেতে পারে।

বৃদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে: সকালে ১টি ট্যাবলেট।

দীর্ঘমেয়াদী সেবনমাত্রা: সাধারণতঃ ১টি ট্যাবলেট সকালে। ইনসমনিয়া অথবা মারাত্মক অস্থিরতার ক্ষেত্রে এ্যাকিউট ফেজ-এ সিডেটিভ দ্বারা বাড়তি চিকিৎসা নির্দেশিত।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ফ্লুপেনটিক্সল-মেট্রিাসিন এ্যালকোহল, বারবিচুরেটস এবং অন্যান্য সিএনএস ডিপ্রেসেন্টস্-এর প্রতি প্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে। এমএও ইনহিবিটরস-এর সাথে একত্র ব্যবহার হাইপারটেনসিভ ক্রাইসিস ঘটাতে পারে। নিউরোলেপ্টিক সমূহ এবং থাইমোলেপ্টিক সমুহ এ্যাড্রেনালিন এবং নরএ্যাড্রেনালিন-এর কার্যকারিতাকে বাড়ায়।

প্রতিনির্দেশনা

  • মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন এর অব্যবহিত পরবর্তী আরোগ্য লাভের সময়ে।
  • বান্ডাল ব্রাঞ্চ পরিবহনের  সমস্যা।
  • চিকিৎসা করা হয়নি এমন ন্যারো এ্যাঙ্গল গ্লুকোমো।
  • তীব্র অ্যালকোহল, বারবিচুরেট এবং অপিয়েট বিষক্রিয়া।
  • দুই সপ্তাহের মধ্যে এমএও-ইনহিবিটর গ্রহণ করেছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্লুপেনটিক্সল মেলিট্রাসিন দেওয়া উচিৎ নয়।
  • উত্তেজিত হয় এমন অথবা ওভারএ্যাকটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয় কারণ এর এ্যাকটিভেটিং কার্যকারিতা এসব বৈশিষ্ট্যকে অধিকতর বাড়াতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

নির্দেশিত মাত্রায় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দূর্লভ। ক্ষণস্থায়ী অস্থিরতা এবং ইনসমনিয়া হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

সাধারণতঃ গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ফ্লুপেনটিক্সল মেলিট্রাসিন দেওয়া উচিৎ নয়।

সতর্কতা

যদি রোগীকে পূর্বে ট্রাঙ্কুইলাইজারস্-এর সিডেটিভ কার্যকারিতা দ্বারা চিকিৎসা করা হয়ে থাকে তাহলে এগুলো ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

লক্ষণসমূহ: মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে মেলিট্রাসিন দ্বারা বিষক্রিয়ার লক্ষণসমূহের বিশেষত অ্যান্টিকোলিনার্জিক প্রকৃতির প্রাধাণ্য দেখা যায়। ফ্লুপেনটিক্সল-এর কারণে অধিকতর এক্সট্রাপিরামিডান্স লক্ষণসমূহ ঘটতে পারে।

চিকিৎসা: সিম্পটোম্যাটিক এবং সাপোর্টিভ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ করা উচিৎ এবং অ্যাকটিভেটেড চারকোল প্রয়োগ করা যেতে পারে। রেসপিরেটরী এবং কার্ডিওভাস্কলার সিস্টেম সমূহকে সহায়তা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। এ ধরণের রোগীদের ক্ষেত্রে এপিনেফ্রিন (এ্যাড্রেনালিন) অবশ্যই ব্যবহার করা উচিৎ নয়। ডায়াজিপাম দ্বারা খিচুনী এবং বাইপেরিডেন দ্বারা এক্সট্রাপিরামিডাল লক্ষণ সমূহের চিকিৎসা করা যেতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Combined anxiolytics & anti-depressant drugs

সংরক্ষণ

শুষ্ক স্থানে ৩০°সে. তাপমাত্রার নীচে সংরক্ষণ করুন। আলো থেকে দূরে রাখুন। ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names