এ্যালভেরিন সাইট্রেট

নির্দেশনা

এ্যালভেরিন সাইট্রেট নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমর
  • অন্ত্রের মধ্যে ছোট ছোট থলির (ডাইভারটিকুলার রোগ) কারণে অন্ত্রের আন্দোলনের ব্যাঘাত
  • ঋতুস্রাব জনিত পেঁটের ব্যথা (প্রাথমিক ডিসমেনোরিয়া)
  • অনৈচ্ছিক পেশীর খিঁচুনি সম্পর্কীয় বিভিন্ন অবস্থা থেকেও মুক্তি দেয়

ফার্মাকোলজি

এ্যালভেরিন সাইট্রেট মসৃণ পেশীকে শিথিল করে। মসৃণ পেশী এক ধরণের পেশী যা ঐচ্ছিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে; এ ধরণের পেশী পাওয়া যায় অন্ত্র এবং জরায়ুতে। এ্যালভেরিন সাইট্রেট অন্ত্রের পেশীতে সরাসরি কাজ করার মাধ্যমে এটিকে শিথিল করে। এটি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম এবং ডাইভারটিকুলার রোগের কারণে অন্ত্রের মধ্যে ঘটে থাকা পেশী খিঁচুনিকেও প্রতিরোধ করে। এ্যালভেরিন সাইট্রেট জরায়ুর মসৃণ পেশীকেও শিথিল করে। একারণে এটি ঋতুস্রাব জনিত ব্যথার চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয়, যা জরায়ুর পেশী খিঁচুনির কারণে হয়ে থাকে  (ডিসমেনোরিয়া)।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্ত বয়ঙ্ক: মুখে সেব্য: ৬০-১২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন ১-৩ বার।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

এখন পর্যন্ত এই ঔষধের সাথে অন্যান্য ঔষধের আন্তঃক্রিয়ার কোন প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

প্রতিনির্দেশনা

বাতব্যাধিগ্রস্থ অথবা যেকোনো উপাদানের প্রতি অত্যধিক সংবেদনশীল হলে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং এ্যালার্জি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

যদিও এখন পর্যন্ত টেরাটোজেনিক প্রভাবের কোন প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি, নিরাপত্তাজনিত ও সীমিত প্রি-ক্লিনিক্যাল গবেষণা থাকার কারণে গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার নির্দেশিত নয়।

সতর্কতা

আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা অথবা বাতব্যাধিগ্রস্থ রোগীদের এ্যালভেরিন সাইট্রেট পরিহার করা উচিত।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে ব্যবহার: ১২ বছরের নিচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার নির্দেশিত নয়।

মাত্রাধিক্যতা

নিম্ন রক্তচাপ এবং অ্যাট্রোপিন এর মতন বিষক্রিয়া করতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা অ্যাট্রোপিন বিষক্রিয়ার ব্যবস্থাপনার মত; সাথে নিম্ন রক্তচাপের সহায়ক চিকিৎসাও নিতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Anticholinergics

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ২৫°সে. এর নিচে সংরক্ষণ করতে হবে।