ফ্লুভক্সামিন মেলিয়েট

নির্দেশনা

ফ্লুভক্সামিন মেলিয়েট নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত
  • অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার
  • বিষন্নতা

বিবরণ

অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডারে ফ্লুভক্সামিন মেলিয়েট মস্তিষ্কের নিউরনের সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটরের সাথে যুক্ত বলে ধারণা করা হয়। প্রিক্লিনিক্যাল স্টাডিতে ইন-ভিট্রো এবং ইন-ভিভো উভয়ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ফুভক্সামিন সেরোটোনিন রিআপটেক ট্রান্সপোর্টারে শক্তিশালী ইনহিবিটর হিসেবে কাজ করে দেখা গেছে। ফ্লুভক্সামিন মেলিয়েট-এর ইন-ভিট্রো স্টাডিতে হিস্টামিনার্জিক, আলফা বা বিটা এড্রেনার্জিক, মাসকারিনিক বা ডোপামিনার্জিক রিসেপ্টরের প্রতি কোনো আকর্ষণ দেখা যায়নি। ধারণা করা হয়, এসব রিসেপ্টরের এন্টাগোনিজম বিভিন্ন ধরনের সিডেটিভ, কার্ডিওভাস্কুলার, এন্টিকোলিনার্জিক এবং সাইকোট্রপিক ড্রাগের এক্সট্রাপিরামিডাল প্রভাবের সাথে যুক্ত বলে ধারণা করা হয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার:
  • প্রাপ্ত বয়ষ্ক: প্রাথমিকভাবে দিনে ৫০ মি.গ্রা. সন্ধ্যায় ৩-৪ দিনের জন্য, যা প্রয়োজনে ৩০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় (১৫০ মি.গ্রা. এর উপরে বিভক্ত মাত্রায়)।
  • শিশু: ৮ বছরের উপরের শিশুদের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দিনে ২৫ মি.গ্রা., প্রয়োজনে ২৫ মি.গ্রা. করে ৩-৪ দিন পর বৃদ্ধি করে, সর্বোচ্চ ২০০ মি.গ্রা. বিভক্ত মাত্রায় সেবন করা যায়।
বিষন্নতা: 
  • প্রাপ্ত বয়ষ্ক: প্রাথমিকভাবে দিনে ৫০-১০০ মি.গ্রা. সন্ধ্যায়, প্রয়োজনে দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ মি.গ্রা. বৃদ্ধি করা যায় (১৫০ মি.গ্রা. এর উপরে বিভক্ত মাত্রায়)। সাধারণত মেইনটেন্যান্স মাত্রা দিনে ১০০ মি.গ্রা.।
  • শিশু: শিশুদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

মনো-অ্যামিন অক্সিডেজ ইনহিবিটর, ওয়ারফেরিন, বেনজোডায়াজেপিন, থিয়োফাইলিন, অ্যামাইনোফাইলিন, ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট এবং অ্যালকোহল এর সাথে সেবন করা উচিৎ নয়।

প্রতিনির্দেশনা

ম্যানিক পর্যায়ের কোন রোগীকে ফ্লুভক্সামিন মেলিয়েট দেওয়া উচিৎ নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পরিপাকতন্ত্রের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, ক্ষুধা-মন্দা এবং ওজন হ্রাস (কিছু ক্ষেত্রে ক্ষুধা এবং ওজন বৃদ্ধিও পরিলক্ষিত হয়), র‍্যাশ, আর্টিকারিয়া, অ্যানজিওইডিমা, সন্ধি বেদনা, পেশী বেদনা এবং আলোক-সংবেদনশীলতাসহ হাইপার-সেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশন। এছাড়া অন্যান্য পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে শুষ্ক মুখ, স্নায়ুবিক উত্তেজনা প্রবণতা, উদ্বিগ্নতা, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, যৌনক্ষমতা সংক্রান্ত জটিলতা, বুক ধড়ফরানি, হৃদপিন্ডের অস্বাভাবিক দ্রুত কার্য (বিপরীত অবস্থাও দেখা দিতে পারে), কদাচিৎ পোস্টারাল হাইপোটেনশন, দ্বিধা, পেশীসমূহের অসমক্রিয়া এবং যকৃতের পরীক্ষায় অস্বাভাবিকতা দেখা যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালীন সময়ে ফুভক্সামিন মেলিয়েট সেবন করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

সতর্কতা

ম্যানিয়ার ইতিহাস, মৃগীরোগ, আত্মহত্যার চেষ্টা, একইসাথে ইলেকট্রোকনভালসিভ থেরাপি, হৃদরোগ, বহুমূত্র রোগ, এ্যাঙ্গেল ক্লোজার গ্লুকোমা, রক্ত ক্ষরণের ইতিহাস (বিশেষ করে পরিপাকতন্ত্রের), যকৃত ও বৃক্কের দুর্বলতায় ফ্রুভক্সামিন মেলিয়েট ব্যবহারে সতর্কতা পালন করা উচিৎ। গাড়ী চালনার ক্ষেত্রে ফুভক্সামিন মেলিয়েট কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

মাত্রাধিক্যতা

লক্ষণসমূহ: অতিমাত্রায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে, গ্যাস্ট্রোইন্টে- স্টিনাল সমস্যা (যেমন- বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়রিয়া), সমনোলেন্স এবং মাথা ঘোরানো লক্ষণীয়। কার্ডিয়াক ইভেন্টস্ (যেমন- ট্যাকাইকার্ডিয়া, ব্র্যাডিকার্ডিয়া, হাইপোটেনশন), যকৃতের কাজের ব্যাঘাত, খিঁচুনি এবং কোমাও পরিলক্ষিত হয়।

চিকিৎসা: ফ্রভক্সামিনের কোনো নির্দিষ্ট এন্টিডোট নেই। তবে, অতিমাত্রার ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাকস্থলি খালি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সিস্টোম্যাটিক চিকিৎসা দিতে হবে। প্রয়োজনে অসমোটিক ল্যাক্সেটিভের সাথে মেডিসিনাল চারকোলের ব্যবহারের পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

SSRIs & related anti-depressant drugs

সংরক্ষণ

২৫° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। আলো থেকে দূরে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।