এ্যামলােডিপিন বিসাইলেট

নির্দেশনা

এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন: এ্যামলোডিপিন হাইপারটেনশন এর একক চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। ইহা অন্যান্য এন্টিহাইপারটেনসিভ ঔষধের সঙ্গে ব্যবহৃত হতে পারে।

এনজাইনা পেকটোরিস: এ্যামলোডিপিন পুরাতন ও স্থায়ী এনজাইনা পেকটোরিসের একক চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর ভাবে নির্দেশিত। ইহা অন্যান্য এন্টিএনজাইনাল ঔষধের সঙ্গে ব্যবহৃত হতে পারে।

ভেসোস্পাসটিক এনজাইনা: এ্যামলোডিপিন নিশ্চিত ও সন্দেহাতীত ভেসোস্পাসটিক এনজাইনাতে নির্দেশিত। ইহা ভেসোম্পাসটিক এনজাইনার একক চিকিৎসায় অথবা অন্যান্য এন্টিএনজাইনাল ঔষধের সঙ্গে ব্যবহৃত হতে পারে।

ফার্মাকোলজি

এ্যামলোডিপিন একটি ডাইহাইড্রোপিরিডিন ক্যালসিয়াম চ্যানেল প্রতিবন্ধক, যার কার্যকারিতা দীর্ঘস্থায়ী এবং হাইপারটেনশন ও এনজাইনা পেকটোরিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এ্যামলোডিপিন মায়োকার্ডিয়াল কোষ, যারা হৃদপিণ্ডের বিশেষ পরিবহণ তন্ত্রের অন্তর্গত এবং ভাসকুলার মাংসপেশীর নরম কোষগুলোকে প্রভাবিত করে। এ্যামলোডিপিন প্রয়োগে প্রাথমিকভাবে ভেসোডাইলেশন ঘটে, পেরিফেরাল রেজিসট্যান্স (আফটার লোড) ও রক্তচাপ হ্রাস পায়, করোনারী রক্তপ্রবাহ এবং হৃদসঞ্চালনের রিফ্রেক্স বৃদ্ধি পায়। এ ফলে হৃদপিন্ডে অক্সিজেন সরবরাহ ও কার্ডিয়াক আউটপুট বৃদ্ধি পায়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

হাইপারটেনশন: সাধারণত ৫ মি.গ্রা. দিনে একবার। সর্বোচ্চ প্রয়োগ মাত্রা ১০ মি.গ্রা. দিনে একবার। বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে বা যে সমস্ত রোগীর যকৃতের অসুবিধা আছে তারা ২.৫ মি.গ্রা. হিসাবে দৈনিক একবার করে খেতে পারেন; এই সেবনবিধি একই নিয়মে প্রচলিত থাকবে যখন এ্যামলোডিপিন অন্য উচ্চ রক্তচাপ নিবারক চিকিৎসার সাথে ব্যবহৃত হয়।

এনজাইনা (পুরাতন স্থায়ী এবং ভেসোম্পাসটিক): ৫ থেকে ১০ মি.গ্রা. বয়স্ক রোগীর এবং যে সকল রোগীর যকৃতের অসুবিধা আছে তাদের জন্য স্বল্প মাত্রা ব্যবহার্য। তবে বেশীরভাগ রোগীর জন্যই ১০ মি.গ্রা. ব্যবহার্য।

খাওয়ার আগে বা পরে গ্রহণযোগ্য।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অন্যান্য ঔষধের সাথে ক্রিয়া-

প্রবল ক্ষতিকর বিক্রিয়া: হৃদপিন্ডের বামদিকের অসুবিধা সম্বলিত রোগীর ক্ষেত্রে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। তবে এই সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রে এ্যামলোডিপিন এবং বিটা ব্লকার এর সমন্বিত ব্যবহার না করাই উচিৎ।

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বিক্রিয়া-
  • ডিজক্সিন: এ্যামলোডিপিন এবং ডিজক্সিন এর তেমন কোন বিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় নাই।
  • সিমেটিডিন: একটি অপ্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে দেখা গেছে যে, এ্যামলোডিপিন এবং সিমেটিডিন এর মধ্যে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য বিক্রিয়া হয় নাই।।
  • ওয়ারফেরিন: একটি অপ্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে দেখা গেছে যে, এ্যামলোডিপিন, ওয়ারফেরিনের প্রোথমবিন সময়কে পরিবর্তন করে না।
  • খাদ্য: ইহা এ্যামলোডিপিনের শোষণকে পরিবর্তন করে না।

প্রতিনির্দেশনা

ডাইহাইড্রোপিরিডিন জাত দ্রব্যের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীর ক্ষেত্রে। গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এ্যামলোডিপিনের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সাধারণত ভেসোডাইলেটরী ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, যেমন, ঘুমঘুমভাব, রক্তিমাভ মুখমন্ডল, মাথাব্যথা, হাইপোটেনশন এবং পেরিফেরাল এডেমা, পরিপাকতন্ত্রের অসুবিধা, বারবার প্রসাব করার ইচ্ছা, অলসতা, চোখের ব্যথা এবং মানসিক বিপর্যস্ততা ও দেখা যেতে পারে। চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে বুকে ব্যথা হতে পারে এবং কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে রক্তচাপ অত্যাধিক নেমে যায়, যা পরবর্তীতে মস্তিষ্ক বা হৃদপিন্ডের অসুবিধা ক্ষণস্থায়ী অন্ধত্বে রূপ নেয়। অতিসংবেদনশীলতার জন্য ফুসকুড়ি, জ্বর এবং যকৃতের অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী 'C'। গর্ভবতী মহিলাদের উপর এ্যামলোডিপিনের পর্যাপ্ত ও সুনিয়ন্ত্রিত গবেষণা নাই। কেবলমাত্র নবজাতকের ঝুঁকির চেয়ে উপকারিতা বেশী হলে এ্যামলোডিপিন ব্যবহার করা উচিত। মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয় কিনা জানা যায়নি। এই তথ্যের অনুপস্থিতির কারণে যখন এ্যামলোডিপিন খাওয়া হয় তখন স্তন্যদান বন্ধ করতে হবে।

সতর্কতা

যকৃতের অসুবিধা, গর্ভাবস্থা এবং দুগ্ধ প্রদানকালীন সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Calcium-channel blockers

সংরক্ষণ

সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। আলো থেকে দূরে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।

Available Brand Names