এ্যামলােডিপিন বিসাইলেট + এটিনোলল

নির্দেশনা

ইহা নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • যে সকল রোগীদের এসেনশিয়াল উচ্চরক্তচাপ আছে
  • যে সকল রোগীদের অ্যানজিনা পেক্‌টোরিস ও উচ্চরক্তচাপ উভয়ই বিদ্যমান
  • পোষ্ট এমআই-এর রোগীদের জন্য নির্দেশিত
  • নাইট্রেট দ্বারা চিকিৎসায় ব্যর্থ এমন রিফ্রাকটরী এনজিনার রোগীদের জন্য নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

ইহা একটি এ্যামলোডিপিন ও এ্যাটেনোলল এর ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন। এ্যামলোডিপিন একটি ডাইহাইড্রোপাইরিডিন ক্যালসিয়াম এ্যান্টাগোনিস্ট। ইহা রক্তনালীর পেশী ও হৃদপেশীর মধ্যে ক্যালসিয়াম আয়ন ঢুকতে বাধা দেয়। ইহার হৃদপেশীর তুলনায় রক্তনালীর পেশীর উপর বেশী প্রভাব রয়েছে। এ্যামলোডিপিন একটি পেরিফেরাল ভেসোডাইলেটর যা সরাসরি কাজ করে পেরিফেরাল ভাসকুলার রেজিসট্যান্স ও রক্তচাপ কমায়। এ্যামলোডিপিন আফটার লোড কমানোর মাধ্যমে টোন, করোনারি ভেসোরিঅ্যাকটিভিটি এবং কার্ডিয়াক ডিমান্ড কমায়।

এ্যাটেনোলল একটি কার্ডিওসিলেক্টিভ বিটা ব্লকার। এর কার্ডিওসিলেক্টিভিটি মাত্রাসম্পর্কিত, ইহা কার্ডিয়াক আউটপুট, প্লাজমা রেনিন ও সিএনএস-এর সিমপ্যাথেটিক আউটফ্লো কমানোর মাধ্যমে রক্তচাপ কমায়। এ্যাটেনোলল ঋনাত্মক ইনেট্রপিক এবং ঋনাত্মক ক্রোনেট্রপিক ক্রিয়ার মাধ্যমে মায়োকার্ডিয়াম এর অক্সিজেনের চাহিদা কমায়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

নির্দেশিত মাত্রা হলো এ্যামলোডিপিন ও এ্যাটেনোলল ৫/২৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট দৈনিক ১টি। প্রয়োজন হলে মাত্রা বাড়িয়ে দৈনিক ৫/২৫ মি.গ্রা. ২টি ট্যাবলেট করা যেতে পারে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশিত। প্রতি রোগীর ক্ষেত্রেই সঠিক মাত্রা সমন্বয় করা উচিত ৷

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ডিসোপাইরামাইড: এ্যাটেনোলল ডিসোপাইরামাইডের নির্গমণ শতকরা ২০ ভাগ কমিয়ে দেয় যার ফলে হার্টের উপর অতিরিক্ত ঋনাত্মক ইনোট্রপিক ইফেক্ট হতে পারে।

এ্যাম্পিসিলিন: ইহা ১ গ্রাম এবং এর বেশী মাত্রায় গ্রহণ করলে এ্যাটেনোলল এর পরিমাণ কমে যায়।

ওরাল অ্যান্টিডায়াবেটিক এবং ইনসুলিন: বিটা ব্লকারসমূহ টিস্যুর প্রতি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয় এবং ওরাল অ্যান্টিডায়াবেটিক ওষুধ খাওয়ার পর ইনসুলিনের নিঃসরণ বন্ধ করে, এ্যাটেনোলল এর কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।

প্রতিনির্দেশনা

ট্যাবলেট এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, সাইনাস ব্রাডিকার্ডিয়া, দ্বিতীয় ও উচ্চমাত্রার হার্টব্লকের ক্ষেত্রে, কার্ডিওজেনিক শক্, নিম্ন রক্তচাপ, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিউর, বাম নিলয়ের অসমকার্যকারিতায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এ্যামলোডিপিন ও এ্যাটেনোলল কম্বিনেশন সুসহনীয়। সর্বোপরি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ হলো ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, ইডিমা, বমি বমি ভাব, ঝিমুনি, উদ্বিগ্নতা ও বিষ্ণুতা।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

যদি কেবল মাত্র গর্ভস্থ বাচ্চার ঝুঁকির তুলনায় সম্ভাব্য সুবিধার পরিমাণ বেশী হয় তাহলে এই কম্বিনেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। স্তন্যদানকালে এই কম্বিনেশন ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি ব্যবহার করা প্রয়োজন হয় তবে স্তন্যদান থেকে বিরত থাকা উচিত।

সতর্কতা

ব্রঙ্কোস্পাজম: শ্বসনতন্ত্রের বাধার ক্ষেত্রে এই কম্বিনেশন বিশেষ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

রেচনতন্ত্রের অসমকার্যকারিতায়: রেচনতন্ত্রের অসমকার্যকরী রোগীদের ক্ষেত্রে এই কম্বিনেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। যাদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩০ মি.লি./মি. এর কম তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেয়া উচিত কারণ এ্যাটেনোলল এর নিঃসরণ এর সম্ভাবনা কমে যায়।

যকৃতের অসমকার্যকারিতায়: মারাত্মক যকৃতের অসুস্থতায় এই কম্বিনেশন বিশেষ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত কারণ এ্যামলোডিপিন এর অর্ধায়ু বেড়ে যায়।

ড্রাগ উইথড্রয়াল: যেহেতু কোন রকম সিম্পটম ছাড়াই করোনারী হার্ট ডিজিজ থাকতে পারে সুতরাং হঠাৎ করে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হলে তা ধীরে ধীরে সার্বক্ষনিক ত্বত্তাবধায়নে করা উচিত।

মাত্রাধিক্যতা

যদিও মাত্রাধিক্যের কোন তথ্য নেই তদুপরি নিম্নরক্তচাপ এবং কদাচিৎ কার্ডিয়াক ফেইলিউর হতে পারে। অপরিশোষিত ওষুধ গ্যাষ্ট্রিক ল্যাভেজ অথবা অ্যাকটিভেটেড চারকোল দিয়ে দুর করা যেতে পারে। লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Combined antihypertensive preparations

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names