কিটোটিফেন ফিউমারেট
নির্দেশনা
- হাঁপানীর প্রতিরােধমূলক চিকিৎসায়;
- এলার্জিক অবস্থা যেমন, রাইনাইটিস এবং কনজাংটিভাইটিস-এর লক্ষণযুক্ত চিকিৎসায়;
- নিউরােফাইব্রোমা জনিত চুলকানী, ব্যথা এবং স্পর্শ অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি উপসর্গ উপশমে;
- এলার্জি যেমন, হে-ফিভার, আর্টিকারিয়ার লক্ষণযুক্ত চিকিৎসায়।
ফার্মাকোলজি
কিটোটিফেন এর এন্টি-এলার্জিক গুণাবলী রয়েছে। হাঁপানী রােগের প্রতিরােধ চিকিৎসায় সােডিয়াম ক্রোমােগ্লাইকেট এর মত কিটোটিফেন ব্যবহৃত হয়। কিটোটিফেন এন্টিহিস্টামিন কার্যকারিতাও প্রদর্শন করে। কিটোটিফেন এর উল্লেখযােগ্য এন্টি-এ্যানাফাইল্যাকটিক গুণাবলী রয়েছে। কিটোটিফেন হাঁপানীর আক্রমণ প্রতিরােধে কার্যকর। কিটোটিফেন হিস্টামিনের কার্যকারিতা দীর্ঘসময় ধরে প্রতিহত করে, যা কিটোটিফেন এর এন্টি-এ্যানাফাইল্যাকটিক গুণাগুণ থেকে আলাদা। পরীক্ষামূলক গবেষণায় দেখা গেছে যে কিটোটিফেন মুখে সেবনের পর মাস্ট কোষ স্থিতকারী ইনহেলারের মতই কার্যকর। এসব পরীক্ষায় অন্যান্য এন্টিহিস্টামিন ওষুধগুলাে অকার্যকর বলে প্রমাণিত। হাঁপানী রোগীদের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এর প্রমান পাওয়া গেছে। কিটোটিফেন ব্যবহারে হাঁপানীর আক্রমণের সংখ্যা, তীব্রতা এবং স্থায়িত্ব কমে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে রোগী সম্পূর্ণ হাঁপানীর আক্রমণ থেকে দূরে থাকে। কিটোটিফেন ব্যবহারের ফলে কর্টিকোষ্টেরয়েড এবং / অথবা ব্রঙ্কোডাইলেটর এর ব্যবহারের মাত্র কমিয়ে দেয়া যেতে পারে। কিটোটিফেন এর প্রতিরােধী কার্যকারিতা প্রকাশ পেতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে। হাঁপানীর সুনির্দিষ্ট আক্রমণ কিটোটিফেন প্রতিহত করে না।
মাত্রা ও সেবনবিধি
৩ বছরের অধিক বয়স্ক শিশু: ১ মি.গ্রা. করে দিনে ২ বার আহারের সাথে সেব্য। খুব বেশী ঘুম পেলে চিকিৎসা শুরুর প্রথম কদিন রাতের বেলা খাবারের সাথে ০.৫ থেকে ১ মি.গ্রা. কিটোটিফেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
বার্ধক্য: পূর্ণবয়স্কদের অনুরূপ মাত্রা অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সতর্কতা
মাত্রাধিক্যতা
থেরাপিউটিক ক্লাস
সংরক্ষণ
রাসায়নিক গঠন
Molecular Formula : | C19H19NOS |
Chemical Structure : |