লিভোফ্লক্সাসিন হেমিহাইড্রেট

নির্দেশনা

লিভোফ্লক্সাসিন মৃদু, মাঝারি এবং মারাত্মক সংক্রমন ঘটাতে পারে এমন অবস্থাগুলোর জন্য দায়ী নিম্নলিখিত সংবেদনশীল অনুজীবগুলোর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় নির্দেশিত-
  • স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েনজি অথবা মোরাক্সিলা ক্যাটারালিস এর কারণে তীব্র ম্যাক্সিলারি সাইনুসাইটিস।
  • ষ্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েনজি অথবা মোরাক্সিলা ক্যাটারালিস এর কারণে দীর্ঘদিনের ব্রংকাইটিসের হঠাৎ বৃদ্ধি।
  • ষ্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েনজি, ক্লেবসিয়েলা নিউমোনি, মোরাক্সিলা ক্যাটারালিস, ক্ল্যামাইডিয়া নিউমোনি, লেজিওনেলা নিউমোফিলা, অথবা মাইকোপাজমা নিউমোনি এর কারণে কমিউনিটি এ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া।
  • ইসচেরিসিয়া কোলাই, কেবসিয়েলা নিউমোনি অথবা স্ট্যাফাইলোকক্কাস স্যাফরোফাইটিকাস এর কারণে মূত্রনালীর জটিল এবং অজটিল সংক্রমন।
  • ইসচেরিসিয়া কোলাই এর কারনে বৃক্কের তীব্র প্রদাহ।
  • সাধারণতঃ ষ্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপটোকক্কাস পয়োজিনেস অথবা এনটারোকক্কাস ফিকালিস-এর কারণে ত্বক এবং নরম কলার জটিল এবং অজটিল সংক্রমনে (যেমনঃ এ্যাবসেস, সেলুলাইটিস, ফুরুনকুলস, ইমপেটিগো, পায়োডারমা, ক্ষতের সংক্রামন)।
  • এন্টারোব্যাক্টার এসপি, ইসচেরিসিয়া কোলাই, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর এসপি, ভিবরিও কলেরা, সিগেলা এসপি, সালমোনেলা এসপি দ্বারা আন্ত্রিক সংক্রমনে।

ঔষধের মাত্রা

লিভোফ্লক্সাসিন ট্যাবলেটের সাধারণ মাত্রা হলো ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ মি.গ্রা. অথবা ৫০০ মি.গ্রা. অথবা ৭৫০ মি.গ্রা. মুখে সেবনের জন্য। লিভোফ্লক্সাসিন ট্যাবলেট খাবার গ্রহণের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। লিভোফ্লক্সাসিন ওরাল সলিউশন খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে অথবা ২ ঘন্টা পরে খেতে হবে।

লিভোফ্লক্সাসিন ইনজেকশন শুধুমাত্র ইন্ট্রাভেনাস ইনফিউশনের মাধ্যমে দিতে হবে। এটি ইন্ট্রাথেকাল, ইন্ট্রামাসকুলার, ইন্ট্রাপেরিটোনিয়াল অথবা সাবকিউটেনিয়াস পথে দেয়া যাবে না। লিভোফ্লক্সাসিন ইনজেকশনের সাধারণ মাত্রা হলো প্রতি ২৪ ঘন্টায় ২৫০ মি.গ্রা. অথবা ৫০০ মি.গ্রা. যা ৬০ মিনিট ধরে অথবা ৭৫০ মি.গ্রা. যা ৯০ মিনিট ধরে ধীরে ধীরে ইনফিউশনের মাধ্যমে দিতে হবে। যেহেতু লিভোফ্লক্সাসিন ইনজেকশন শুধুমাত্র একবার ব্যবহারের জন্য, সুতরাং যেকোন অব্যবহৃত অংশ ফেলে দিতে হবে। অন্য যেকোন উপাদান অথবা ওষুধ লিভোফ্লক্সাসিন ইনজেকশনে যোগ করা যাবে না অথবা একই ইন্ট্রাভেনাস পথে দেয়া যাবে না।

প্রাপ্ত বয়ষ্কঃ
  • তীব্র সাইনুসাইটিসে: দৈনিক ৫০০ মি.গ্রা. করে ১০ থেকে ১৪ দিন অথবা দৈনিক ৭৫০ মি.গ্রা. করে ৫ দিন।
  • পুরানো ব্রোংকাইটিসের হঠাৎ বৃদ্ধিতে: দৈনিক ৫০০ মি.গ্রা. করে ৭ দিন, অথবা দৈনিক ৭৫০ মি.গ্রা. করে ৩ দিন (অজটিল ক্ষেত্রে), দৈনিক ৭৫০ মি.গ্রা. করে ৫ দিন (জটিল ক্ষেত্রে)।
  • কমিউনিটি এ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়াতে: দৈনিক একবার ৫০০ মি.গ্রা. করে ৭ থেকে ১৪ দিন অথবা দৈনিক ৭৫০ মি.গ্রা. করে ৫ দিন।
  • মূত্রনালীর অজটিল সংক্রমনে: দৈনিক ২৫০ মি.গ্রা. করে ৩ দিন।
  • মূত্রনালীর জটিল সংক্রমনে এবং একিউট পাইলোনেফ্রাইটিসে: দৈনিক ২৫০ মি.গ্রা. করে ৭ থেকে ১০ দিন।
  • ত্বক এবং নরম কলার অজটিল সংক্রমনে: দৈনিক ৫০০ মি.গ্রা. করে ৭ থেকে ১০ দিন।
  • ত্বক এবং নরম কলার জটিল সংক্রমনে: দৈনিক ৭৫০ মি.গ্রা. করে ৭ থেকে ১৪ দিন।
  • আন্ত্রিক জ্বরে: দৈনিক ৫০০ মি.গ্রা. করে ৭ থেকে ১৪ দিন।
  • ডায়রিয়া, কলেরা, সিগোলোসিস্‌ ও এন্টারাইটিস: মৃদু থেকে মাঝারি- ৫০০ মি.গ্রা. (একক মাত্রা)। মাঝারি থেকে তীব্র- দৈনিক ৫০০ মি.গ্রা করে ৩ দিন।
শিশুঃ
  • ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নীচে: ১০ মি.গ্রা./কেজি প্রতি ১২ ঘন্টা পর পর
  • ৫ বছরের উপরে: ১০ মি.গ্রা./কেজি প্রতি ২৪ ঘন্টায়।
প্রতিটি ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ধারাবাহিক চিকিৎসা (ইন্ট্রাভেনাস থেকে মুখে) দেয়া যেতে পারে।

সেবনবিধি

লিভোফ্লক্সাসিন ইনজেকশন ব্যবহারের নিয়মাবলী-
  • ভিতরের ব্যাগটি জোরে চাপ দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে পাত্রটির কোথাও কোন ক্ষুদ্র ছিদ্র আছে কিনা। যদি কোন ছিদ্র পাওয়া যায় অথবা অক্ষত না থাকে তবে সলিউশনটি ফেলে দিতে হবে।
  • যদি সলিউশনটি ঘোলাটে অথবা কোন অধঃক্ষেপ থাকে তাহলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
  • অন্য কোন সলিউশনের সাথে একই পথে দেয়া যাবে না।
  • প্রয়োগ যন্ত্রটির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্লাম্পটি বন্ধ করতে হবে।
  • পাত্রটির নিচে মুখটির খোলকটি খুলে ফেলতে হবে।
  • প্রয়োগ যন্ত্রটিতে যে ছিদ্র করার পিন আছে সেটি পেঁচিয় পেঁচিয় পাত্রটির নীচের মুখে ভালোভাবে প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে।
  • পাত্রটি হ্যাংগার দিয়ে ঝুলিয়ে দিতে হবে।
  • লিভোফ্লক্সাসিন ইনজেকশন ইনফিউশনের সময় ড্রিপ চেম্বারের ভিতরে তরলের সঠিক মাত্রা পাওয়ার জন্য চেম্বারটি চাপ দিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। 
  • প্রয়োগ যন্ত্র থেকে বাতাস বের করার জন্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্লাম্পটি খুলে দিতে হবে। এরপর ক্লাম্পটি বন্ধ করে দিতে হবে।
  • প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্লাম্প দিয়ে ইনজেকশনের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

কোন কুইনোলোনই মাল্টিভ্যালেন্ট ক্যাটায়ন যেমন, ম্যাগনেসিয়াম এর যেকোন দ্রবণের সাথে একই ইন্ট্রাভেনাস পথে নেয়া যাবে না। এন্টাসিড, আয়রন এবং এডজরবেন্টসঃ লিভোফ্লক্সাসিনের শোষন কমায়। এনএসএআইডি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে। ওয়ারফারিন রক্তপাতের আশংকা বৃদ্ধি করতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

যে সমস্ত রোগীদের লিভোফ্লক্সাসিন, ব্যাকটেরিয়া বিরোধী কুইনোলোন এজেন্ট অথবা লিভোফ্লক্সাসিন এর যে কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীলতার ইতিহাস আছে তাদের প্রতি ইহা প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

লিভোফ্লক্সাসিন সাধারণতঃ বেশ সহনীয়। তদুপরি ইহা দেয়ার ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। রেটিনার বিচ্যুতি ঝুঁকি আছে। অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর ভিতর বমি-বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং বিরল ক্ষেত্রে আলোক সংবেদনশীলতা (০.১%)। খুবই বিরল কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভিতর কাঁপুনি, বিষন্নতা, অস্থিরতা, মানসিক বিভ্রম।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় এবং দুগ্ধদান উভয় অবস্থাতেই লিভোফ্লক্সাসিন নির্দেশিত নয় কেননা গর্ভস্থ সন্তান অথবা দুগ্ধসেব্য নবজাতকের উপর ইহার কার্যকারিতা জানা নাই।

সতর্কতা

লিভোফ্লক্সাসিন দেয়ার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত-
  • লিভোফ্লক্সাসিন ইনজেকশন শুধুমাত্র ইন্ট্রাভেনাস ইনফিউশনের মাধ্যমে মাত্রা অনুযায়ী ৬০ অথবা ৯০ মিনিট ধরে ধীরে ধীরে দিতে হবে।
  • লিভোফ্লক্সাসিন দেয়ার সময় মূত্রের ঘনত্ব কমানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
  • বৃক্কের অসমকার্যকারিতা থাকিলে লিভোফ্লক্সাসিন এর মাত্রা পুনঃনির্ধারন করা উচিত।

মাত্রাধিক্যতা

লিভোফ্লক্সাসিন-এর হঠাৎ বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কম। তদুপরি মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে পাকস্থলী ধৌত করা উচিত। রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে এবং সঠিক হাইড্রেশন নিশ্চিত করা উচিত।

থেরাপিউটিক ক্লাস

4-Quinolone preparations

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names