লোসারটান পটাসিয়াম

নির্দেশনা

উচ্চরক্তচাপ: লোসারটান পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসায় নির্দেশিত। এটা এককভাবে অথবা যৌথভাবে অন্যান্য উচ্চরক্তচাপরোধী ঔষধের (যেমন থায়াজাইড ডাইইউরেটিক) সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রোটিন ইউরিয়াসহ টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর কিডনী সুরক্ষা: লোসারটান পটাশিয়াম প্রোটিন ইউরিয়া যখন মূত্রের এলবুমিন ও ক্রিয়েটিনিন এর অনুপাত ৩০০ মিঃগ্রাঃ/গ্রাম এর বেশী থাকে এমন টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর কিডনী রোগের বিস্তার দীর্ঘায়িত করার জন্য নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

লোসারটান পটাশিয়াম একটি মুখে সক্রিয় প্রথম নন-পেপ্টাইড এনজিওটেনসিন II রিসিপ্টর ব্লকার। এটা অনেক টিস্যুর (যেমনঃ রক্ত নালীর মৃসণ পেশী, এডরেনাল গ্লান্ড, বৃক্ক ও হৃৎপিন্ড) AT1 রিসিপ্টরের সাথে যুক্ত হয় এবং কতকগুলো জৈবিক ক্রিয়া বিশেষ করে রক্ত নালীর সংকোচন এবং এলডোসটেরন নিঃসরণ কমিয়ে দেয় যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী।

মাত্রা ও সেবনবিধি

সাধারণত বেশীর ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও নিয়ন্ত্রিত মাত্রা ৫০ মিঃগ্রাঃ দিনে একবার। যদি ৫০ মিঃগ্রাঃ দিনে একবার ব্যবহার করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত না হয় তবে মাত্রা বাড়ানোর পূর্বে ২৫ মিঃগ্রাঃ দিনে দুইবার অনুমোদিত। যে সমস্ত রোগীর ইন্ট্রাভাস্কুলার ভলিউম কম (যেমনঃ উচ্চ মাত্রায় ডাইইউরেটিক ব্যবহার করেছে এমন) তাদের জন্য প্রাথমিক মাত্রা হল ২৫ মিঃগ্রাঃ দিনে একবার। লোসারটান পটাশিয়াম দিনে একবার বা দুইবার ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনের সর্বোচ্চ মাত্রা ২৫ মিঃগ্রাঃ থেকে ১০০ মিঃগ্রাঃ।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

রিফামপিসিন ও ফ্লুকোনাজল লোসারটান পটাশিয়ামের সক্রিয় মেটাবোলাইট কমিয়ে দেয়। একই সাথে লোসারটান পটাশিয়াম ও হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড ব্যবহার করলে রক্তচাপ কমানোর ক্ষমতা বেড়ে যায়। একই সাথে পটাশিয়াম স্পারিং ডাইইউরেটিক (যেমনঃ স্পাইরোনোল্যাকটন, ট্রাইএ্যামটেরিন, এমিলোরাইড), পটাশিয়াম সাপ্লিমেন্ট বা যে সমস্ত যৌগের মধ্যে পটাশিয়াম আছে সে গুলো সিরাম পটাশিয়ামকে বাড়িয়ে দেয়। লোসারটানের সাথে ননস্টেরয়ডাল এন্টিইনফ্লামেটরী ড্রাগ ইনডোমিথাসিন ব্যবহার করলে উচ্চরক্তচাপ কমানোর ক্ষমতা কমে যায়। একই সাথে ACE ইনহিবিটর, এনজিওটেনসিন রিসিপ্টর এন্টাগোনিষ্ট, ননস্টেরয়ডাল এন্টিইনফ্লামেটরী ড্রাগ এবং থায়াজাইড ডাইইউরেটিক ব্যবহার করলে বৃক্কের অকার্যকারিতা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

প্রতিনির্দেশনা

লোসারটান পটাশিয়াম গর্ভবতী মহিলা ও যে সমস্ত রোগীর লোসারটান পটাশিয়াম বা এর অন্য কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত। যে সমস্ত রোগীদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে এলিসকিরেন এর সাথে যৌথ ভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

লোসারটান পটাশিয়াম জনিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রকৃতি মৃদু ও ক্ষণস্থায়ী। যে সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে বেশী দেখা যায় সেগুলো হলঃ ঝিঁমুনি, ডায়রিয়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সর্দি, উচ্চ শ্বাসনালীর সংক্রমণ। অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো হল দূর্বলতা, ফুলে যাওয়া, পেটের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা এবং ফ্যারিংজাইটিস।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী 'D'। গর্ভবস্থায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে লোসারটান পটাশিয়াম ব্যবহার করলে নবজাতকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মাতৃদুগ্ধের সাথে লোসারটান পটাশিয়াম নিঃসৃত হয় কিনা জানা যায়নি, যেহেতু অনেক ঔষধ মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয় এবং দুগ্ধপোষ্য শিশুর উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে মায়ের উপর ঔষধের গুরুত্ব বিবেচনা করে স্তন্যদান বন্ধ করতে হবে অথবা ঔষধের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে লোসারটান পটাশিয়াম ব্যবহার করলে নবজাতকের বৃক্কীয় কার্যকারিতা মারাত্বকভাবে কমে যায় এবং নবজাতক ও Fetus নষ্ট বা মৃত্যু হার বেড়ে যায়। যে সকল রোগীর ইন্ট্রাভাস্কুলার ভলিউম কম (যেমনঃ উচ্চ মাত্রায় ডাইইউরেটিক ব্যবহার করেছে এমন) তাদের লক্ষণ জনিত নিম্নরক্তচাপ হতে পারে। সিরোটিক রোগীর ক্ষেত্রে লোসারটান পটাশিয়ামের রক্ত রস ঘনত্ব উলে­খযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। বৃক্কীয় অকার্যকরী রোগীর ক্ষেত্রে অকার্যকারিতা বেড়ে যেতে পারে বা বৃক্ক বিকল হতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Angiotensin-ll receptor blocker

সংরক্ষণ

আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names