অ্যাসটাজেনথিন

নির্দেশনা

অ্যাসটাজেনথিনের ব্যবহারগুলি নিম্নরুপ:
  • শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে
  • হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় (অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে)
  • ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) বাড়াতে
  • ত্বকের সুরক্ষায় ও উন্নতি সাধনে
  • সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের সুরক্ষায় (ব্রণ, বলিরেখা ও বয়সের অন্যান্য ছাপ কমাতে)
  • মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সুস্বাস্থ্য রক্ষায়
  • পারকিনসন্স ডিজিজ, ডিমেনশিয়া ও অ্যালঝেইমারস্ ডিজিজ থেকে প্রতিরক্ষায়
  • চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় (ক্যাটারাক্ট ও ম্যাকুলার ডিজেনেরেশন)
  • দেহের প্রদাহ কমাতে (আরথ্রাইটিস)
  • ইনফারটিলিটি ঝুঁকি কমাতে
এছাড়াও, ডিএনএ-র অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে অ্যাসটাজেনথিন কার্যকর।

ফার্মাকোলজি

অ্যাসটাজেনথিন প্রধানত দুই ভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভূমিকা পালন করে। অ্যাসটাজেনথিন মূলত সিঙ্গলেট অক্সিজেন নিষ্ক্রিয় করে এবং লিপিড পারঅক্সিডেশন এ বাধা দেয়। এর ফলে শরীরে ক্ষতিকর ফ্রী রেডিকেলের পরিমান কমে। এর মাধ্যমে অ্যাসটাজেনথিন খুব কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যাসটাজেনথিন প্যাসিভ ডিফিউশনের মাধ্যমে ফ্যাটি এসিডের সাথে ইন্টেস্টিনাল এপিথেলিয়াম দিয়ে শোষিত হয়। এরপর লিপোপ্রোটিনের মধ্যে শোষিত হয়, লসিকা এবং রক্ত সংবহনের সাথে সাথে লিভারে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে পুনরায় আংশিক লিপোপ্রোটিনের সাথে ক্ষরিত হয়। ৭০% এর অধিক অ্যাসটাজেনথিন রক্তরসের মধ্যে থাকা হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনে সংরক্ষিত থাকে। অ্যাসটাজেনথিন ঘনত্ব সবচেয়ে বেশী ক্ষুদ্রান্তে, ক্রমান্বয়ে তুলনামূলক কম ঘনত্বে অবস্থান করে ত্বকের নিচের চর্বিস্তরে, পেটের উপরিভাগের চর্বিস্তরে, প্লীহা, যকৃত, হৃদপিন্ড, বৃক্ক এবং ত্বকে এবং সবচেয়ে কম ঘনত্ব মাংশপেশীতে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

১৮ বছর বা তার বেশী বয়স্কদের জন্য: দৈনিক ৪ মি.গ্রা.। সকালে নাস্তার সাথে অথবা নাস্তার ঠিক আগে নিলে ভাল।

৪ মি.গ্রা.: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে, হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় (অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে), ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) বাড়াতে।

৪-৮ মি.গ্রা.: ত্বকের সুরক্ষায় ও উন্নতি সাধনে, সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের সুরক্ষায় (ব্রণ, বলিরেখা ও বয়সের অন্যান্য ছাপ কমাতে), মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সুস্বাস্থ্য রক্ষায়, চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় (ক্যাটারাক্ট ও ম্যাকুলার ডিজেনেরেশন)।

৮-১২ মি.গ্রা.: দেহের প্রদাহ কমাতে (আরথ্রাইটিস)।

১৬ মি.গ্রা.: ইনফারটিলিটি ঝুঁকি কমাতে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অ্যাসটাজেনথিনের কার্যকারিতা কোলেস্টাইরামিন, কোলেস্টিপল, মিনারেল ওয়েল ও অরলিস্টাট দ্বারা প্রভাবিত হয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অ্যাসটাজেনথিনের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে অ্যাসটাজেনথিনের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

সতর্কতা

অ্যাসটাজেনথিনের প্রতি যাদের অতিসংবেদনশীলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে অ্যাসটাজেনথিন প্রতিনির্দেশিত।

মাত্রাধিক্যতা

মাত্রাধিক্যের কোন ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Supplements & adjuvant therapy

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names