ফেনিটোইন সোডিয়াম
নির্দেশনা
ফেনিটোইন একটি খিচুনী বিরোধী ঔষধ যাহা গ্রান্ডমাল স্বভাবের ষ্ট্যাটাস ইপিলেপটিকাস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ইহা ছাড়াও ইহা নিউরোসার্জারী (স্নায়ু শৈল্য চিকিৎসা) চলাকালীন খিচুনীর চিকিৎসা ও প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রাপ্তবয়স্ক: প্রতিদিন ২০০মিঃ গ্রাঃ (২ ট্যাবলেট) বিভাজিত মাত্রায় যাহা ৪০০ মিঃ গ্রাঃ (সর্বোচ্চ ৬০০ মিঃ গ্রাঃ) পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাইতে পারে অথবা ৩-৪ মিঃ গ্রাঃ/কেজি প্রতিদিন বিভাজিত মাত্রায়। প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর (যাহার পূর্বে চিকিৎসা হয় নাই) ক্ষেত্রে একটি ট্যাবলেট দিনে ৩ বার অথবা চিকিৎসকের নির্দেশে সেব্য।
শিশু: প্রাথমিক ভাবে ৫ মিঃগ্রাঃ/কেজি শারিরীক ওজনের ভিত্তিতে দৈনিক দিনে ২-৩ বার সমভাবে বিভাজিত মাত্রায় দেওয়া হয়ে থাকে, রোগের প্রয়োজনে দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ মিঃগ্রাঃ পর্যন্ত সমভাবে বিভাজিত মাত্রায় দেওয়া যেতে পারে। সাধারন চলতি মাত্রা প্রত্যহ ৪-৮ মিঃগ্রাঃ/কেজি।
শিশু: প্রাথমিক ভাবে ৫ মিঃগ্রাঃ/কেজি শারিরীক ওজনের ভিত্তিতে দৈনিক দিনে ২-৩ বার সমভাবে বিভাজিত মাত্রায় দেওয়া হয়ে থাকে, রোগের প্রয়োজনে দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ মিঃগ্রাঃ পর্যন্ত সমভাবে বিভাজিত মাত্রায় দেওয়া যেতে পারে। সাধারন চলতি মাত্রা প্রত্যহ ৪-৮ মিঃগ্রাঃ/কেজি।
প্রতিনির্দেশনা
যে সব রোগীদের ফেনিটোইন ও অন্যান্য হাইডেনটোইন এর প্রতি অতি সংবেদনশীলতা প্রতীয়মান হয়েছে সেই সব রোগীর ক্ষেত্রে ফেনিটোইন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কিছু কিছু ক্ষেত্রে চামড়ায় ফুসকুড়ি হলে চিকিৎসা বন্ধ করলে তা অদৃশ্যমান হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিম্নতম মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। অসম্পূর্ণ ঘুম, বাক্যে অসংলগ্নতা, নার্ভাসনেস,মাথা ব্যথা প্রভৃতি হতে পারে।
সতর্কতা
ফেনিটোইন দিয়ে দীর্ঘদিনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে রক্তে ইহার মাত্রা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করা উচিত। চামড়ায় ফুসকুড়ি হলে মাত্রা কমানো উচিত। ফেনিটোইনের ইনসুলিনের উপর ইনহিবিটরী ইফেক্টের দরুন রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বৃদ্ধির রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এই ক্ষেত্রে ইনসুলিন ব্যবহারকারী রোগীদের সতর্কতার সহিত ফেনিটোইন ব্যবহার করা উচিত। গর্ভবর্তী এবং দুগ্ধদানরত মায়েদের ক্ষেত্রে সাবধানতার সহিত ব্যবহার করা উচিত।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Adjunct anti-epileptic drugs
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।