এজিলাইক এসিড
নির্দেশনা
মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের ব্রণের চিকিৎসার জন্য এজিলাইক এসিড ক্রীম নির্দেশিত।
ফার্মাকোলজি
প্রোপাইওনিব্যাকটেরিয়াম এক্নি এবং স্টেফাইলোকক্কাস এপিডারমিডিস ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে এজিলাইক এসিড কার্যকর। এজিলাইক এসিড ব্যাকটেরিয়ার কোষীয় প্রোটিন সংশ্লেষণে বাঁধা দান করে। কেরাটিনাইজেশন স্বাভাবিক করার মাধ্যমে এজিলাইক এসিড এন্টি-কোমেডোনাল কার্যকারিতা প্রদর্শন করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে হালকা ও সম্পূর্ণভাবে সংক্রমিত স্থানে সকালে ও রাত্রে দিনে দু'বার এজিলাইক এসিড ক্রীম মালিশ করতে হবে। প্রয়োগের পরে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। ১২ বছরের নীচে শিশুদের ক্ষেত্রে ইহার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়নি। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহারযোগ্য।
প্রতিনির্দেশনা
এই ক্রীমের উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলদের ক্ষেত্রে এজিলাইক এসিড ক্রীম ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
চিকিৎসার শুরুতে ত্বকের স্থানিক উদ্দীপনা (যেমন ত্বকে লালচে ভাব, স্ক্যালিং, চুলকানী, জ্বালাপোড়া অনুভূতি) কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। অধিকন্তু, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই উদ্দীপনা মৃদু ধরণের এবং তা ধীরে ধীরে লোপ পায়।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
এফডিএ নির্দেশিত গর্ভকালীন ক্যাটাগরী বি। শুধুমাত্র সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োজন বিবেচিত হলে ব্যবহার করা উচিত। স্তন্যদানকালে সতর্কতার সাথে এই ক্রীম ব্যবহার করতে হবে ।
সতর্কতা
শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। যদি চোখে লাগে তবে প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি চোখে চুলকানী বেশীক্ষণ স্থায়ী হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Acne treatment preparations
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।