ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী অন্যের জন্য কতদিন বিপজ্জনক

25 Jan, 2022
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের দাপট তো আগে থেকেই ছিল, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। নতুন এ ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোভিডের যত ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, ওমিক্রন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। ভ্যাকসিন ওমিক্রন প্রতিরোধে যথেষ্ট না হওয়ায় মানুষ সহজেই এতে আক্রান্ত হচ্ছে।

তবে যারা কোভিড প্রতিরোধক টিকার দুই ডোজের আওতায় এসেছে, তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থ বা মৃত্যু ঝুঁকির মুখে পড়ছে না। ফলে হাসপাতালেও বাড়ছে না রোগীর চাপ। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু দেশে আক্রান্ত রোগীর বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকার সময়সীমা ৫ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

ওমিক্রন নিয়ে এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া গবেষণার ফলাফলে অনুযায়ী, অন্যান্য ভ্যরিয়েন্টগুলোর চেয়ে ওমিক্রন তুলনামূলক দুর্বল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন দেশের সরকারকে সতর্ক করে বলেছে, ওমিক্রনকে একদমই হেলাফেলা করা যাবে না। বিশেষ করে যারা এখনও টিকা নেয়নি তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।

করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার ৫-৬ দিন পর রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা যেতো। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে যা ছিল ৪ দিনের মতো। কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ওমিক্রনের উপসর্গ ৩ দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে পড়ছে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এ সময়সীমা গড়ে ৫ দিন।

স্পেনের লা রিওহা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভিসেন্তে সোরিয়ানো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, ওমিক্রন শরীরে প্রবেশের একদিনের মধ্যে তা কাজ করতে শুরু করে দিতে পারে। আর দুদিনের মধ্যে তা শনাক্ত করা যায়।


Source: dhakatribune.com