এই আট অভ্যাস আপনার মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে
01 Oct, 2022
মাথাই তো সব। মস্তিষ্ক ছাড়া কি আর অস্তিত্ব থাকে? মস্তিষ্ক ১০০ বিলিয়ন কোষ দিয়ে তৈরি। মস্তিষ্ক যতই ব্যবহৃত হয়, ততই শক্তিশালী আর কার্যকর হয়। বয়স ৪০-এর পর মস্তিষ্ক ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে। তাই এ সময় পড়াশোনার ধার কমে আসে। বয়স ৬০-এর পর মস্তিষ্ক দ্রুত সংকুচিত হতে থাকে। তাই এ সময় অনেক স্মৃতি হারিয়ে যায়। অনেকে ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) ও আলঝেইমার রোগে ভোগেন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা জেনে না-জেনে এমন সব কাজ করি, যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। কী সেগুলো? বিজনেস গ্রোথ মেন্টর অনুসারে জেনে নেওয়া যাক।
অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা: অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। আমাদের ভেতর বিষণ্নতার সৃষ্টি করে। এ বিষণ্নতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর করে। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।
অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর দেখা, পড়া: অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব নেতিবাচক খবর মনের ওপর প্রভাব ফেলে। আর সেটা একসময় শরীর আর মস্তিষ্ককে আক্রান্ত করে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে।
উচ্চশব্দে গান শোনা বা শব্দদূষণে থাকা: ফুল ভলিউমে গান শোনা মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে একজনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শোনে, এমন ব্যক্তিদের আশপাশে কী ঘটছে বা যেকোনো কিছু বোঝার জন্য অন্যদের চেয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়।
বেশি সময় একা থাকলে মনের ওপর চাপ পড়ে: মানুষ সামাজিক জীব—এটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। দলবদ্ধভাবে থাকার বিষয়টি মানুষের ডিএনএতে নির্দেশ দেওয়া। ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার থেকে দু-একটি ভালো বন্ধু থাকা খুবই জরুরি। যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। আলঝেইমারের ঝুঁকিও কম থাকে।
বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানাদিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টেলিভিশনের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকা, ল্যাপটপে গেম খেলা বা ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় কাটানো অথবা নেটফ্লিক্স ছেড়ে উঠতে না পারা—এসবই মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ। এ ছাড়া আপনি অতিরিক্ত পর্দায় চোখ আটকে সময় কাটাচ্ছেন মানে হলো আপনি কথা কম বলছেন। অতিরিক্ত কম কথা বলাও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চিনি: অতিরিক্ত চিনি খাওয়া শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এদিকে বার্গার, ফ্রাই, পটেটো চিপস বা কোমল পানীয়ের মতো জাঙ্ক ফুড শিখন, স্মৃতি ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মস্তিষ্কের কার্যকর অংশগুলোকে ক্রমশ সংকুচিত করে ফেলে। অন্যদিকে সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ করে।
শরীরচর্চার অভাব: নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা বাড়ে। শুধু মস্তিষ্কের রোগই নয়, এর ফলে ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। আর এগুলো সবই আলঝেইমারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ছয় ঘণ্টার কম ঘুম মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর: ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানোও মস্তিষ্কের জন্য নানা দিক থেকে ক্ষতির কারণ। আট ঘণ্টা ঘুম সবচেয়ে ভালো।
Source: prothomalo.com
অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা: অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। আমাদের ভেতর বিষণ্নতার সৃষ্টি করে। এ বিষণ্নতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর করে। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।
অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর দেখা, পড়া: অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব নেতিবাচক খবর মনের ওপর প্রভাব ফেলে। আর সেটা একসময় শরীর আর মস্তিষ্ককে আক্রান্ত করে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে।
উচ্চশব্দে গান শোনা বা শব্দদূষণে থাকা: ফুল ভলিউমে গান শোনা মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে একজনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শোনে, এমন ব্যক্তিদের আশপাশে কী ঘটছে বা যেকোনো কিছু বোঝার জন্য অন্যদের চেয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়।
বেশি সময় একা থাকলে মনের ওপর চাপ পড়ে: মানুষ সামাজিক জীব—এটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। দলবদ্ধভাবে থাকার বিষয়টি মানুষের ডিএনএতে নির্দেশ দেওয়া। ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার থেকে দু-একটি ভালো বন্ধু থাকা খুবই জরুরি। যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। আলঝেইমারের ঝুঁকিও কম থাকে।
বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম: অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানাদিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টেলিভিশনের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকা, ল্যাপটপে গেম খেলা বা ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় কাটানো অথবা নেটফ্লিক্স ছেড়ে উঠতে না পারা—এসবই মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ। এ ছাড়া আপনি অতিরিক্ত পর্দায় চোখ আটকে সময় কাটাচ্ছেন মানে হলো আপনি কথা কম বলছেন। অতিরিক্ত কম কথা বলাও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চিনি: অতিরিক্ত চিনি খাওয়া শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এদিকে বার্গার, ফ্রাই, পটেটো চিপস বা কোমল পানীয়ের মতো জাঙ্ক ফুড শিখন, স্মৃতি ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মস্তিষ্কের কার্যকর অংশগুলোকে ক্রমশ সংকুচিত করে ফেলে। অন্যদিকে সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ করে।
শরীরচর্চার অভাব: নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা বাড়ে। শুধু মস্তিষ্কের রোগই নয়, এর ফলে ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। আর এগুলো সবই আলঝেইমারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ছয় ঘণ্টার কম ঘুম মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর: ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানোও মস্তিষ্কের জন্য নানা দিক থেকে ক্ষতির কারণ। আট ঘণ্টা ঘুম সবচেয়ে ভালো।
Source: prothomalo.com