যুগান্তকারী ইনসুলিন আবিষ্কারের পেছনের গল্প
21 Aug, 2023
ডায়বেটিস এর মতো ভয়ংকর মরণব্যাধি সম্পর্কে সর্বপ্রথম ধারণা পাওয়া যায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে। ইজিপ্ট এর ইবাস পাপাইরাস শহরে এর ডকুমেন্ট পান রিসার্চাররা। যদিও তখন একে ডায়বেটিস নামে জানতো না মানুষ। প্রায় দুই হাজার ছয়শো বছর পূর্বে ইন্ডিয়া তথা ভারতে একে হানি ইউরিন নামে উল্লেখ করা হয়।
Apollonius of Memphis সর্বপ্রথম ডায়বেটিস শব্দটির ব্যবহার করেন। ডায়বেটিস একটি গ্রিক শব্দ। যা প্রায় ২৫০-৩০০ খ্রিস্ট পূর্বে সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন Apollonius of Memphis. তখন শুধু নাম পরিচিতি পেলেও এই রোগ সম্পর্কে কোনো ধারনা ছিলো কারো।এই রোগে আক্রান্ত হলে তখন নিশ্চিত মৃত্যু হিসেবে একে ধরে নিত প্রাচীন সভ্যতার মানুষ। চিকিৎসা শাস্ত্রে এই রোগের কোনো প্রতিকার আবিষ্কার সম্ভব হয়নি তখন। ডায়বেটিসে আক্রান্ত হলে, মানুষ দিন দিন রোগা হতে হতে একটা সময় মারা যেত। তখন এই রোগে আক্রান্ত হলে আয়ুষ্কাল খুবই নগন্য হতো। (কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাওয়া যায় ছয় মাস থেকে এক বছর।)
মানুষের ডায়াবেটিস হলে ডাক্তার রোগীকে একেবারে কম পরিমাণ শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিতেন। কিন্তু এভাবে টিকে থাকা ছিল খুবই মুশকিল। অনেক ডায়াবেটিস রোগী রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিতেন। ফলাফল হিসেবে দেখা যেত- রোগী না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, কিংবা কঙ্কালসার শরীর নিয়ে কোনোমতে বেঁচে আছেন। গ্রীক ফিজিশিয়ান Galen of Pergamon প্রথম দিকে ডায়বেটিস কে কিডনির রোগ হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন। তিনি খেয়াল করেন, ডায়বেটিস হলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়। যার কারণে তিনি ধারণা করেছিলেন, ডায়বেটিস বোধহয় কিডনি জনিত কোনো রোগ।
উনিশ শতকের আগে কোনো চিকিৎসাবিজ্ঞানী জানতেন না, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে অগ্ন্যাশয়ে উৎপন্ন হওয়া ইনসুলিন নামক হরমোনের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। Galen এর প্রায় এক হাজার সাতশো বছর পরে ১৮৮৯ সালের দিকে Oskarmin Kowski এবং Joseph Von mering আবিষ্কার করেন Pancreas বা অগ্ন্যাশয় এর সাথে ডায়বেটিস এর গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তি আছে।
পরীক্ষামূলক ভাবে তারা কুকুরের শরীর থেকে অগ্ন্যাশয় আলাদা করে দেখেন কুকুর গুলো ডায়বেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হন, অগ্ন্যাশয় থেকে এমন কোনো হরমোন উৎপন্ন হয়, যেটি আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
যখনই মানবদেহের অগ্ন্যাশয়ে সেই হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়, একপর্যায়ে এটি ডায়াবেটিসে রূপ নেয়। তখন পর্যন্ত ডায়বেটিস রোগের কোনো চুড়ান্ত প্রতিকার আবিষ্কার হয়নি। ভাবা যায় এতগুলো বছর ধরে ডায়বেটিসে আক্রান্ত মানুষ গুলো কোনো প্রকার সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছিলো?
জার্মান মিনকোভস্কি এবং ভন মেরিং তাদের যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগের সাথে অগ্ন্যাশয়ের সর্ম্পক নির্ধারণ করতে সক্ষম হলেও কোন অংশে সেই বিশেষ হরমোন উৎপন্ন হয়, এই সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি।
তবে ইংরেজ চিকিৎসাবিজ্ঞানী স্যার অ্যালবার্ট এডওয়ার্ড শার্পি-শেফার সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যিনি সঠিকভাবে ‘আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স’ নামক অংশের কিছু কোষের কথা বলেছিলেন, যেগুলো থেকে নির্গত হরমোন আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে।
তার প্রায় বিশ বছর পরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সম্ভাব্য উপায় আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে চুড়ান্ত সাফল্য আসে ১৯২০ থেকে ১৯২১ সালের দিকে Frederick Banting ও Charles Best এর হাত ধরে। Fredrick Banting ও Charles Best অগ্ন্যাশয় এর যে অংশ থেকে হরমোন তৈরি হয় তা থেকে নিঃসৃত পদার্থ কে ডায়বেটিস আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।
তারা সর্বপ্রথম কুকুরের উপর পরীক্ষা শুরু করেন। এই পরীক্ষায় অসংখ্য কুকুর এর বলিদান হয়। দুই বিজ্ঞানীর নিরলস প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমে অবশেষে তাদের সাফল্য আসে। ডায়বেটিসে আক্রান্ত সর্বপ্রথম কুকুর কে প্রায় সত্তুর দিনের মত ইনসুলিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা যায়।
পরবর্তী সময়ে দুই বিজ্ঞানীর সাথে যুক্ত হয় বায়োকেমিস্ট James Collip. তারা গরুর অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন Purify করে মানবদেহে প্রয়োগ করেন প্রথম বারের মত ১৯২২ সালে। মানব দেহে প্রথম বার ইনসুলিন প্রয়োগের পরে সেটা ব্যর্থ হয়। পরেরবার চেষ্টা করায় তারা প্রথম বারের মত সফল হন। যা মানব ইতিহাসের জন্য ছিলো যুগান্তকারী এক আবিষ্কার।
তারপর সেই ইনসুলিন সাড়া ফেলে দেয় পুরো পৃথিবীতে। বাজারে তখন ইনসুলিন এর ব্যপক চাহিদা। তখন ব্যবসায়িক ভাবে প্রথম বার ইনসুলিন বাজারে আসে। যেহেতু ইনসুলিন তখন বিভিন্ন পশুর শরীর থেকে তৈরি করা হচ্ছিলো তাই এর বেশকিছু সাইড এফেক্ট দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষ করে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা যায়।
১৯৪৯ সালের দিকে Fredrick Sengen ইনসুলিন এর প্রাইমারি স্ট্রাকচার আবিষ্কার করেন। তারপর ১৯৭৮ সালের দিকে রিকম্বিনেন্ট প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো পশু দেহের ইনসুলিন ছাড়া বিজ্ঞানীরা ইনসুলিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। যা এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোটি কোটি ডায়বেটিসে আক্রান্ত মানুষ কে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা করে চলেছে। আগে যেখানে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হলে আয়ুষ্কাল ছিল প্রায় এক বছরের মত, সেখানে এখন ইনসুলিন আবিষ্কার এর পর সেটা দাঁড়িয়েছে সত্তুর থেকে আশি বছরে।
মরণব্যাধি ডায়বেটিস কে প্রতিহত করতে ইনসুলিন এর যুগান্তকারী আবিষ্কার যে কোনো অংশে রুপকথার থেকে কম কিছু নয় সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন? ব্যান্টিং ও তার গবেষণার সুপারভাইজার জেমস ম্যাকলয়েডকে এই আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে পুরো বিশ্বে ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪২ কোটি। সেই হিসেবে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রতি বিশজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
Source: NCBI Gov, Diabetes Org
Apollonius of Memphis সর্বপ্রথম ডায়বেটিস শব্দটির ব্যবহার করেন। ডায়বেটিস একটি গ্রিক শব্দ। যা প্রায় ২৫০-৩০০ খ্রিস্ট পূর্বে সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন Apollonius of Memphis. তখন শুধু নাম পরিচিতি পেলেও এই রোগ সম্পর্কে কোনো ধারনা ছিলো কারো।এই রোগে আক্রান্ত হলে তখন নিশ্চিত মৃত্যু হিসেবে একে ধরে নিত প্রাচীন সভ্যতার মানুষ। চিকিৎসা শাস্ত্রে এই রোগের কোনো প্রতিকার আবিষ্কার সম্ভব হয়নি তখন। ডায়বেটিসে আক্রান্ত হলে, মানুষ দিন দিন রোগা হতে হতে একটা সময় মারা যেত। তখন এই রোগে আক্রান্ত হলে আয়ুষ্কাল খুবই নগন্য হতো। (কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাওয়া যায় ছয় মাস থেকে এক বছর।)
মানুষের ডায়াবেটিস হলে ডাক্তার রোগীকে একেবারে কম পরিমাণ শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিতেন। কিন্তু এভাবে টিকে থাকা ছিল খুবই মুশকিল। অনেক ডায়াবেটিস রোগী রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিতেন। ফলাফল হিসেবে দেখা যেত- রোগী না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, কিংবা কঙ্কালসার শরীর নিয়ে কোনোমতে বেঁচে আছেন। গ্রীক ফিজিশিয়ান Galen of Pergamon প্রথম দিকে ডায়বেটিস কে কিডনির রোগ হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন। তিনি খেয়াল করেন, ডায়বেটিস হলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়। যার কারণে তিনি ধারণা করেছিলেন, ডায়বেটিস বোধহয় কিডনি জনিত কোনো রোগ।
উনিশ শতকের আগে কোনো চিকিৎসাবিজ্ঞানী জানতেন না, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে অগ্ন্যাশয়ে উৎপন্ন হওয়া ইনসুলিন নামক হরমোনের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। Galen এর প্রায় এক হাজার সাতশো বছর পরে ১৮৮৯ সালের দিকে Oskarmin Kowski এবং Joseph Von mering আবিষ্কার করেন Pancreas বা অগ্ন্যাশয় এর সাথে ডায়বেটিস এর গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তি আছে।
পরীক্ষামূলক ভাবে তারা কুকুরের শরীর থেকে অগ্ন্যাশয় আলাদা করে দেখেন কুকুর গুলো ডায়বেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হন, অগ্ন্যাশয় থেকে এমন কোনো হরমোন উৎপন্ন হয়, যেটি আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
যখনই মানবদেহের অগ্ন্যাশয়ে সেই হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়, একপর্যায়ে এটি ডায়াবেটিসে রূপ নেয়। তখন পর্যন্ত ডায়বেটিস রোগের কোনো চুড়ান্ত প্রতিকার আবিষ্কার হয়নি। ভাবা যায় এতগুলো বছর ধরে ডায়বেটিসে আক্রান্ত মানুষ গুলো কোনো প্রকার সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছিলো?
জার্মান মিনকোভস্কি এবং ভন মেরিং তাদের যুগান্তকারী গবেষণার মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগের সাথে অগ্ন্যাশয়ের সর্ম্পক নির্ধারণ করতে সক্ষম হলেও কোন অংশে সেই বিশেষ হরমোন উৎপন্ন হয়, এই সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি।
তবে ইংরেজ চিকিৎসাবিজ্ঞানী স্যার অ্যালবার্ট এডওয়ার্ড শার্পি-শেফার সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যিনি সঠিকভাবে ‘আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্স’ নামক অংশের কিছু কোষের কথা বলেছিলেন, যেগুলো থেকে নির্গত হরমোন আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে।
তার প্রায় বিশ বছর পরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সম্ভাব্য উপায় আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে চুড়ান্ত সাফল্য আসে ১৯২০ থেকে ১৯২১ সালের দিকে Frederick Banting ও Charles Best এর হাত ধরে। Fredrick Banting ও Charles Best অগ্ন্যাশয় এর যে অংশ থেকে হরমোন তৈরি হয় তা থেকে নিঃসৃত পদার্থ কে ডায়বেটিস আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।
তারা সর্বপ্রথম কুকুরের উপর পরীক্ষা শুরু করেন। এই পরীক্ষায় অসংখ্য কুকুর এর বলিদান হয়। দুই বিজ্ঞানীর নিরলস প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমে অবশেষে তাদের সাফল্য আসে। ডায়বেটিসে আক্রান্ত সর্বপ্রথম কুকুর কে প্রায় সত্তুর দিনের মত ইনসুলিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা যায়।
পরবর্তী সময়ে দুই বিজ্ঞানীর সাথে যুক্ত হয় বায়োকেমিস্ট James Collip. তারা গরুর অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন Purify করে মানবদেহে প্রয়োগ করেন প্রথম বারের মত ১৯২২ সালে। মানব দেহে প্রথম বার ইনসুলিন প্রয়োগের পরে সেটা ব্যর্থ হয়। পরেরবার চেষ্টা করায় তারা প্রথম বারের মত সফল হন। যা মানব ইতিহাসের জন্য ছিলো যুগান্তকারী এক আবিষ্কার।
তারপর সেই ইনসুলিন সাড়া ফেলে দেয় পুরো পৃথিবীতে। বাজারে তখন ইনসুলিন এর ব্যপক চাহিদা। তখন ব্যবসায়িক ভাবে প্রথম বার ইনসুলিন বাজারে আসে। যেহেতু ইনসুলিন তখন বিভিন্ন পশুর শরীর থেকে তৈরি করা হচ্ছিলো তাই এর বেশকিছু সাইড এফেক্ট দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষ করে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা যায়।
১৯৪৯ সালের দিকে Fredrick Sengen ইনসুলিন এর প্রাইমারি স্ট্রাকচার আবিষ্কার করেন। তারপর ১৯৭৮ সালের দিকে রিকম্বিনেন্ট প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো পশু দেহের ইনসুলিন ছাড়া বিজ্ঞানীরা ইনসুলিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। যা এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোটি কোটি ডায়বেটিসে আক্রান্ত মানুষ কে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা করে চলেছে। আগে যেখানে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হলে আয়ুষ্কাল ছিল প্রায় এক বছরের মত, সেখানে এখন ইনসুলিন আবিষ্কার এর পর সেটা দাঁড়িয়েছে সত্তুর থেকে আশি বছরে।
মরণব্যাধি ডায়বেটিস কে প্রতিহত করতে ইনসুলিন এর যুগান্তকারী আবিষ্কার যে কোনো অংশে রুপকথার থেকে কম কিছু নয় সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন? ব্যান্টিং ও তার গবেষণার সুপারভাইজার জেমস ম্যাকলয়েডকে এই আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে পুরো বিশ্বে ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪২ কোটি। সেই হিসেবে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রতি বিশজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
Source: NCBI Gov, Diabetes Org