বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স সতর্কতা সপ্তাহ
12 Jan, 2024
আমরা কতটুকু জানি, কী করনীয়?
চল্লিশে চালশে! মানে আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখার ক্ষমতাও কমতে থাকে। ষাট বছরে গিয়ে হয়তো একটা ডিমের সাইজের বস্তুও চশমা ছাড়া দেখতে কষ্ট হবে! ঠিক তেমনি করে চিন্তা করুনতো আপনি যখন সবচেয়ে ভালো দেখতেন বলে গর্ব অনুভব করতেন তখনও কোটি কোটি ব্যকটেরিয়া বা অনুজীবের একটা দলকে দেখতে পেতেন? না, পাননি। আমরা খালি চোখে যখন দেখিনা তখন চশমা নেই৷ চশমা যেমন যেকোন জিনিসকে কয়েকগুণ বড় করে দেখায়, অণুবীক্ষণ যন্ত্রও ব্যাকটেরিয়াকে লাখ লাখ গুন বড় করে দেখতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া যে আছে সেটা অনেকে আমরা বিশ্বাসই করিনা। ধরুন আপনি চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখলেন বাঘের খাঁচার দরজা খোলা, সব বাঘ বাইরে এসে হাঁটাহাঁটি করছে। আপনি নিশ্চয়ই সে রাস্তায় যাবেন না? তাহলে আপনি ব্যাকটেরিয়া ভয়ংকর জেনেও নোংরা পানি বা খাবার খাচ্ছেন কেন যেখানে ব্যাকটেরিয়ার ঘর বসতি? নোংরা ও অপরিষ্কার হাত নাকে মুখে দিচ্ছেন কেন? যেখানে সেখানে থুতু, কফ ফেলছেন কেন? আপনার ব্যবহার্য্য জিনিস বা কাপড়, বিছানা পরিস্কার রাখছেন না কেন? পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, পাবলিক টয়লেট পরিস্কার রাখছেন না কেন? ময়লা আবর্জনা যেখান সেখানে ফেলছেন কেন?
কারন ভয়ংকর জিসটা আমরা দেখিনা। এখানে দরকার মানসিকতার পরিবর্তন। আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে ব্যাকটেরিয়া বলে ক্ষতিকর কিছু আছে। ভালোকথা সব ব্যাকটেরিয়া কিন্তু খারাপ নয়। আমরা মূলত খারাপ ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কথা বলছি যারা রোগ তৈরি করে ও আমাদের ক্ষতি করে। ভালো ব্যাকটেরিয়াও কিন্তু আছে। যারা আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে। সেটা আরেকদিন বলা যাবে। আমরা শুধু ব্যাকটেরিয়ার কথা বললে ভুল হবে। মাইক্রোবস্ মানে কিন্তু শুধু ব্যাকটেরিয়া নয়। মাইক্রোসকোপে যা দেখা যায় তাই হলো মাইক্রোবস্। সে হিসাবে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও আরো অনেক এককোষী জীবকে বুঝায়।
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্ট বিষয়টা একটু জটিল। রেজিসট্যান্ট কি এবং কিভাবে মাইক্রোবস রেজিসট্যান্ট হয় তার জন্য একটু সময় নিয়ে কথা বলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা (WHO) ১৮-২৪ নভেম্বর বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স সতর্কতা সপ্তাহ পালন করছে। সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়েও উদযাপিত হচ্ছে সপ্তাহটি। “এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স বন্ধ করা সবারই সমন্বিত দায়িত্ব” এটাই হলো এবারের প্রতিপাদ্য।
মাইক্রোবস্ কি? এন্টিবায়োটিক কি? কিভাবে ব্যাকটেরিয়া রেজিসট্যান্ট হয়, ওষুধ অধিদপ্তর বিশেষ কি ব্যবস্থা নিয়েছে, ওষুধ কোম্পানিগুলো এখনও কেন এতটা সোচ্চার নয়, আমাদের কি করনীয় সে ব্যাপার পরে কয়েকটি ধারাবাহিক পর্বে আলোচনা করবো আশা করছি।
মো. রেজাউল করিম
এম.ফার্ম, এমবিএ
মার্কেটিং ম্যানেজার
ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি.
চল্লিশে চালশে! মানে আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখার ক্ষমতাও কমতে থাকে। ষাট বছরে গিয়ে হয়তো একটা ডিমের সাইজের বস্তুও চশমা ছাড়া দেখতে কষ্ট হবে! ঠিক তেমনি করে চিন্তা করুনতো আপনি যখন সবচেয়ে ভালো দেখতেন বলে গর্ব অনুভব করতেন তখনও কোটি কোটি ব্যকটেরিয়া বা অনুজীবের একটা দলকে দেখতে পেতেন? না, পাননি। আমরা খালি চোখে যখন দেখিনা তখন চশমা নেই৷ চশমা যেমন যেকোন জিনিসকে কয়েকগুণ বড় করে দেখায়, অণুবীক্ষণ যন্ত্রও ব্যাকটেরিয়াকে লাখ লাখ গুন বড় করে দেখতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া যে আছে সেটা অনেকে আমরা বিশ্বাসই করিনা। ধরুন আপনি চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখলেন বাঘের খাঁচার দরজা খোলা, সব বাঘ বাইরে এসে হাঁটাহাঁটি করছে। আপনি নিশ্চয়ই সে রাস্তায় যাবেন না? তাহলে আপনি ব্যাকটেরিয়া ভয়ংকর জেনেও নোংরা পানি বা খাবার খাচ্ছেন কেন যেখানে ব্যাকটেরিয়ার ঘর বসতি? নোংরা ও অপরিষ্কার হাত নাকে মুখে দিচ্ছেন কেন? যেখানে সেখানে থুতু, কফ ফেলছেন কেন? আপনার ব্যবহার্য্য জিনিস বা কাপড়, বিছানা পরিস্কার রাখছেন না কেন? পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, পাবলিক টয়লেট পরিস্কার রাখছেন না কেন? ময়লা আবর্জনা যেখান সেখানে ফেলছেন কেন?
কারন ভয়ংকর জিসটা আমরা দেখিনা। এখানে দরকার মানসিকতার পরিবর্তন। আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে ব্যাকটেরিয়া বলে ক্ষতিকর কিছু আছে। ভালোকথা সব ব্যাকটেরিয়া কিন্তু খারাপ নয়। আমরা মূলত খারাপ ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কথা বলছি যারা রোগ তৈরি করে ও আমাদের ক্ষতি করে। ভালো ব্যাকটেরিয়াও কিন্তু আছে। যারা আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে। সেটা আরেকদিন বলা যাবে। আমরা শুধু ব্যাকটেরিয়ার কথা বললে ভুল হবে। মাইক্রোবস্ মানে কিন্তু শুধু ব্যাকটেরিয়া নয়। মাইক্রোসকোপে যা দেখা যায় তাই হলো মাইক্রোবস্। সে হিসাবে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও আরো অনেক এককোষী জীবকে বুঝায়।
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্ট বিষয়টা একটু জটিল। রেজিসট্যান্ট কি এবং কিভাবে মাইক্রোবস রেজিসট্যান্ট হয় তার জন্য একটু সময় নিয়ে কথা বলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা (WHO) ১৮-২৪ নভেম্বর বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স সতর্কতা সপ্তাহ পালন করছে। সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়েও উদযাপিত হচ্ছে সপ্তাহটি। “এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স বন্ধ করা সবারই সমন্বিত দায়িত্ব” এটাই হলো এবারের প্রতিপাদ্য।
মাইক্রোবস্ কি? এন্টিবায়োটিক কি? কিভাবে ব্যাকটেরিয়া রেজিসট্যান্ট হয়, ওষুধ অধিদপ্তর বিশেষ কি ব্যবস্থা নিয়েছে, ওষুধ কোম্পানিগুলো এখনও কেন এতটা সোচ্চার নয়, আমাদের কি করনীয় সে ব্যাপার পরে কয়েকটি ধারাবাহিক পর্বে আলোচনা করবো আশা করছি।
মো. রেজাউল করিম
এম.ফার্ম, এমবিএ
মার্কেটিং ম্যানেজার
ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি.