নির্দেশনা

গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহের (৬৩ দিন) মধ্যে মাসিক নিয়মিতকরণ করতে এই কিট নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

মিফেপ্রিস্টোন: প্রোজেস্টেরন রিসেপ্টর সাইটে প্রােজেটেরনের সাথে প্রতিযােগী ক্রিয়ার মাধ্যমে মিফেপ্রিস্টোন প্রজেস্টেরন বিরোধী কার্যকারীতা দেখায়। কতিপয় প্রাণীতে বিভিন্ন মাত্রায় ওযুধটি দিয়ে দেখা গিয়েছে যে, মিফেপ্রিস্টোন এন্ডোজেনাস বা এক্সোজেনাস প্রােজেস্টেরনের ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে এবং মাসিক নিয়মিতকরণ ঘটায়। গর্ভকালীন সময়ে, ওষুমটি প্রােস্টাগ্ল্যান্ডিনের সংকোচনতে তরান্বিত করতে জরায়ু পেশীকে (মায়ােমেট্রিয়াম) উদ্দীপিত করে। এছাড়া মিফেপ্রিস্টোন এন্টিগ্লুকোকর্টিকয়েড ও কিছুটা এন্টিআ্যাড্রোজেনিক কার্যকারিতা দেখায়।

মিসোপ্রোস্টল: মায়ােমেট্রিয়াম কোষ এর নির্দিষ্ট রিসেপ্টরের সাথে প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রােস্টাগ্ল্যান্ডিন E1 মায়ােমেট্রিয়ামের সংকোচন ঘটায়। এই প্রতিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। প্রােস্টাগ্ল্যান্ডিন রিসেপ্টরের সাথে প্রতিক্রিযর মাধ্যমে মিসােপ্রােস্টল সারভিক্সকে নমনীয় করে এবং জরায়ুর সংকোচন করে। ফলে জরায়ুর উপাদানকে বের হতে সাহায্য করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

এই কিট কেবলমাত্র গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের সঠিক বয়স এবং একটপিক প্রেগন্যান্সি নির্ধারণে সক্ষম ডাক্তাররাই নির্দোশিত করতে পারবেন। ডাক্তারদের অবশাই অসম্পূর্ণ গর্ভপাত অথবা অতিরিক্ত রক্তপাত হলে সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার/এমভিএ (ম্যানুয়েল ভ্যাকুউয়াম এসপিরেশন) অথবা রােগীকে রক্ত প্রদান এবং রিসাসিটেশন করার সবধরণের সুয়্যোগ সুবিধা খাকতে হবে (যদি প্রয়োজন হয়)

দিন ১ (প্রথম ভিজিট): মিফেপ্রিস্টোন গ্রহণ: কোনো ক্লিনিক, মেডিকেল অথবা হাসপাতালে ডাক্তারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ১টি মিফেপ্রিস্টোন ট্যাবলেট মুখে খাবেন।

দিন ২ (দ্বিতীয় ভিজিট): মিসােপ্রোস্টল গ্রহণ: ২৪-৪৮ ঘন্টা পরা রােগী মিসােপ্রােস্টল ২০০ মাইক্রোগ্রামের ৪টি ট্যাবলেট বাক্কালি অথবা সাবলিঙ্গুয়ালি গ্রহণ করবে। মিসােপ্রােস্টল ট্যাবলেট রােগী নিজেই বাসায় খেতে পারবে (২টি করে ট্যাবলেট গাল ও মাড়ির মাঝখানে অথবা জিহবার নিচে)। ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মিসােপ্রোস্টল গ্রহণের পর রােগীর তলপেটে ব্যথা অথবা পরিপাক তন্ত্রের কোন সমস্যা জনিত করণে ঔষুধের দরকার হতে পারে। খুব বেশি অস্বস্তি, অতিরিক্ত রক্তপাত অথবা কোন প্রতিক্রিয়া ঘটলে কি করতে হবে তা জানিয়ে দিতে হবে অথবা ফোন নাম্বার দিয়ে দিতে হবে যদি মিসােপ্রস্টোল গ্রহনের পর তার কোনাে প্রশ্ন থাকে।

দিন ১০ থেকে ১৪ (তৃতীয় ভিজিট): চিকিতসা পরবর্তী পরীক্ষণ: রােগীকে ক্লিনিক, মেডিকেলে অথবা হাসপাতালে মিফেপ্রিস্টোন গ্রহণের ১০ থেকে ১৪ দিন পর আবার যেতে হবে। এই ভিজিটটি খুবই জরুরী কেননা ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণ অথবা আন্ট্রাসনােগ্রাফী করে কোন গর্ভাবস্থার টিস্য রয়ে গিয়েছে কিনা তা দেখা হয়। যারা তারপরও গর্ভবতী রয়ে যান তাদের ক্ষেত্রে ভ্রূন বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। মাসিক নিয়মিতকরণ চিকিৎসা সফল না হলে অস্ত্রোপচার এমভিএ করার কথা বলা আছে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

মিফেপ্রিস্টোন: যদিও নির্দিষ্ট কোন ওষুধ বা খাবারের সাথে মিফেপ্রিস্টোনের প্রতিক্রিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই ওষুধটির বিপাকক্রিয়া CYP 3A4 দ্বারা সম্পন্ন হয়। তাই কিটোকোনাজল, ইট্রাকোনাজল, ইরা থ্রোমাইসিন এবং আঙ্গুরের রস মিফেপ্রিস্টোনের বিপাকক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে (মিফেপ্রিস্টোনের মাত্র রক্তরসে বাড়িয়ে দেয়)।

মিসোপ্রোস্টল:  রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের প্রশমনে ব্যবহৃত অ্যাসপিরিনের সাথে মিসোপ্রোস্টল তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সেখায় না। অ্যাসপিরিনের নির্দেশিত মাত্রার শোষণ, রক্তে ওযুধের মাত্রা এবং প্লাটিলেট বিরােধী কার্যকারিতায় মিসোপ্রোস্টল কোন প্রভাব ফেলে না।

প্রতিনির্দেশনা

মিফেপ্রিস্টোন নিম্ন বর্ণিত অবস্থায় প্রতিনির্দেশিতঃ মিফেপ্রিস্টোন, মিসােপ্রােস্টল বা অন্যান্য প্রােস্টাগ্ল্যাডিনের প্রতি অতি সংবেদনশীল ব্যক্তির ক্ষেত্রে, নিশ্চিত বা অনুমিত জরায়ু বহির্ভূত গর্ভাবস্থা বা অপরীক্ষিত এডনেক্সাল মাস্‌, ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস (IUD), ক্রনিক অ্যাড্রেনাল ফেইলিওর, রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা কিংবা এন্টিকোয়াগুলেন্ট থেরাপির ক্ষেত্রে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

মিফেপ্রিস্টোন: যােনিপথের রক্তক্ষরণ (ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং) এবং জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে মাসিক নিয়মিতকরণ ঘটায়। সাধারণত মিফেপ্রিস্টোন ব্যবহারে যে সমস্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলাে হলােঃ বমিবমি ভাব, বমি, ডায়ারিয়া, পেলভিক পেইন, অজ্ঞান হওয়া, মাথা ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব ও দুর্বলতা।

মিসোপ্রোস্টল: পরিপাকতন্ত্রীয় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, বদহজম, মাথাব্যথা, বমি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য। এছাড়াও কাঁপুনি, হাইপার থারমিয়া, খুম খুম ভাব, জরায়ুর সংকোচনের ফলে ব্যাথা, তব্র রক্তপাত, শক্‌, পেলভিক পেইন ও ইউটেরাইন রাপচার হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার: মিফেপ্রিস্টোন মাসিক নিয়মিতকরণের (গর্ভধারণের ৬৩ দিনের মধ্যে) জন্য নির্দেশিত এবং গর্ভকালীন সময়ে মিফেপ্রিস্টোনের অন্য কোন ব্যবহার নির্দেশিত নয়।

দুগ্ধদান কালে ব্যবহার:
  • মিফেপ্রিস্টোন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা জানা যায় নি। যেহেতু বাচ্চাদের উপর মিফেপ্রিস্টোনের কোন প্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানা যায় নি, সেহেতু দুগ্ধদানকারী মা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করবেন যে, মিফেপ্রিস্টোন সেবনের পরবর্তী  কিছু দিন তিনি দুগ্ধদান থেকে বিরত থাকবেন কি না।
  • যেহেতু মিসোপ্রোস্টল মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি সেহেতু দুগ্ধদানকারী মায়েদের ওযুধ সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ মিসোপ্রোস্টল এসিডের নিঃসরণ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ঘটাতে পারে।

সতর্কতা

গর্ভবতী রােগী বাতীত অন্য কোন যােগীকে মিফেপ্রিস্টোন ও মিসােপ্রােস্টলের সময় দেয়া উচিত নয়। মিফেপ্রিস্টোন ও মিসােপ্রােস্টলের সমন্বয় কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কারণে রােগীকে দেয়া হয়, যা অন্য রোগীর ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসা নাও হতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী বা গর্ভবতী হতে চান এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হতে পারে। মিফেপ্রিস্টোন দিয়ে চিকিৎসা শুরুর পূর্বে যে কোন ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস (IUD) অপসারণ করা উচিত। মিফেপ্রিস্টোন ও মিসােপ্রােস্টলের সমন্বয় যদি মাসিক নিয়মিতকরণ ঘটাতে না পারে, তবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাসিক নিয়মিতকরণ ঘটাতে হবে। মিফেপ্রিস্টোন ব্যবহারের পর চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার পরও যদি গর্ভধারণ প্রক্রিয়া চলমান থাকে তবে বিকলাঙ্গ ভ্রূনের পরিস্ফুটন হতে পারে। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

যকৃতের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: যকৃতের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ রােগীদের ক্ষেত্রে মিসোপ্রোস্টল স্বল্পমাত্রায় সেবন করতে হবে।

কিডনীর কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ রােগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: বয়ােবৃদ্ধ বা কিডনীর কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ রােগীদের ক্ষেত্রে মিসোপ্রোস্টল মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়ােজন নেই। তবে স্বাভাবিক মাত্রায় সেবনের ফলে কোন সমস্যা দেখা দিলে ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দিতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

মিফেপ্রিস্টোন: মাসিক নিয়মিতকরণের জন্য ৬০০ মি.গ্রা. এর ৩ গুণ বেশী মাত্রায় মিফেপ্রিস্টোন গর্ভবতী নয় এমন মহিলাদের দিয়ে তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যদি কোন রােগী মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে তবে তার ক্ষেত্রে অ্যাড্রেনাল ফেইলিওর এর লক্ষণসমূহ দেখা যায়

মিসোপ্রোস্টল: মাত্রাতিরিক্ত মিসোপ্রোস্টল সেবনের ফলে সাধারণত যে সমস্ত লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলাে হলােঃ সুম ঘুম ভাব, কাঁপুনি, খিচুনী, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ্বর, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, নিম্ন রক্তচাপ অথবা ব্র্যাজিকার্ডিয়া। সাপাের্টিভ পদক্ষেপ এর মাধ্যমে এসব লক্ষলমূহের চিকিৎসা করা উচিত। যেহেতু মিসােপ্রােস্টলের বিপাক অনেকটা ফ্যাটি এসিডের মতােই, তাই মারাতিরিক্ত মিসোপ্রোস্টল ব্যবহারের চিকিৎসায় ডায়ালাইসিস কার্যকর নাও হতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Drugs acting on the Uterus, Prostaglandin analogues

সংরক্ষণ

আলাে থেকে দূরে, ঠান্ডা ও যুক্ত স্থানে রাখুন।
Pack Image of Femikit 200 mg Tablet Pack Image: Femikit 200 mg Tablet
Thanks for using MedEx!
How would you rate your experience so far?