Unit Price:
৳ 15.00
(4 x 10: ৳ 600.00)
Strip Price:
৳ 150.00
Also available as:
নির্দেশনা
কুইনক্স একক সংক্রমণ এবং দুই বা ততোধিক সংবেদনশীল অনুজীব দ্বারা সৃষ্ট মিশ্র সংক্রমণে নির্দেশিত। এ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড, পেনিসিলিনসমূহ এবং সেফালোসপরিনসহ অন্য এন্টিবায়োটিকে রেজিস্ট্যান্ট অনুজীব দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে। যেহেতু মুখে সেবনের পর কুইনক্স সেরামে, টিস্যুতে এবং মুত্রে ব্যাকটেরিয়া বিরোধী ঘনত্বে উপস্থিত থাকে, সেহেতু সংবেদশীল অনুজীব দ্বারা সৃষ্ট বহুবিধ সংক্রমণের চিকিৎসায় যথা মুত্রতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, গণোরিয়া, সেপটিসেমিয়া ইত্যাদিতে কুইনক্স নির্দেশিত হয়। টিস্যুতে ব্যাপক অন্তর্ভেদ এবং অধিকতর ব্যকটেরিয়া বিরোধী কার্যক্ষমতার জন্যে (সিডোমোনাস বিরোধী কার্যক্ষমতাসহ) কুইনক্সকে সেনসিটিভিটি পরীক্ষা ব্যাতিরেকেই এককভাবে বা এ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড/বিটা ল্যাকটাম এন্টিবায়োটিক সহযোগে, তীব্র নিউট্রোপেনিয়ায় ব্যবহার করা যায় অথবা ব্যাকটেরয়েডস ফ্রাজিলিস এর উপস্থিতি ধারণা করা হলে এ্যানারোব এর বিরুদ্ধে কার্যকরী এন্টিবায়োটিকের সাথেও কুইনক্স ব্যবহার করা হয়। কুইনক্স সংবেদশীল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট নিম্নলিখিত সংক্রমণ সমূহে নির্দেশিত হয়ঃ
তীব্র সিসটেমিক সংক্রমণ: সেপটিসেনিয়া, ব্যাকটেরিমিয়া, পেরিটোনাইটিস, হেমাটোলজিক্যাল অথবা কঠিন টিউমার সম্বলিত ইমিউনো সাপ্রেসড রোগীদের সংক্রমণে এবং ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে অবস্থিত রোগী যাদের নির্দিষ্ট কোন জটিলতা যথা সংক্রমিত ক্ষত রয়েছে এদের ক্ষেত্রে।
শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণ: লোবার নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া, তীব্র ও জটিল ব্রঙ্কাইটিস, সিসটিক ফাইব্রোসিসের জটিলতা, ব্রঙ্কিয়েকটেসিস এবং এমপায়িমা।
মূত্রতন্ত্র সংক্রমণ: জটিল এবং জটিল নয় এরূপ মূত্রনালীর সংক্রমণ, সিসটাইটিস, পাইলোনেফ্রাইটিস, প্রস্টেটাইটিস, ইপিডিডাইমিটিস।
ত্বক ও কোমল কোষ কলার সংক্রমণ: সংক্রমণযুক্ত আলসার, ক্ষতের সংক্রমণ, এ্যাবসেস, সেলুলাইটিস, ওটাইটিস এক্সটারনা, ইরিসিপেলাস, সংক্রমিত ক্ষত।
পাকান্ত্রিক সংক্রমণ: আন্ত্রিক জ্বর সংক্রমনজনিত ডায়ারিয়া।
বিলিয়ারীপথের সংক্রমণ: কলানজাইটিস, কলেসিসটাইটিস, গলব্লাডারে পুজসঞ্চায়ন।
অন্ত:উদরীয় সংক্রমন: পেরিটোনাইটিস, অন্ত: উদরীয় এ্যাবসেস।
অস্থি ও অস্থিসন্ধির সংক্রমণ: অষ্টিওমাইলাইটিস, সেপটিক আর্থ্রাইটিস।
পেলভিক সংক্রমণ: স্যালপিনজাইটিস, এন্ডোমেট্রাইটিস, পেলভিক ইনফ্লামেটরী ব্যাধি।
চোখ, নাক, কান ও গলার সংক্রমণ: ওটাইটিস মিডিয়া, সাইনুসাইটিস ম্যাসটয়ডাইটিস, টনসিলাইটিস।
গনোরিয়া: ইউরেথ্রাল, রেকটাল এবং ফ্যারিঞ্জিয়াল গনোরিয়াসহ বিটা ল্যাকটামেজ নি:সরণকারী জীবাণু বা পেনিসিলিনে মাঝারী ধরনের সংবেদনশীল জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট গনোরিয়া
মাইক্রোবায়োলজি: দেহ বহির্ভূত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে কুইনক্সের বাকটেরিয়া বিরোধী কার্যকারিতা, ব্যাকটেরিয়ার ডি.এন.এ জাইরেজ এর প্রশমনের দরুন হয়ে থাকে। কুইনক্সের কার্যকারিতার এই পদ্ধতি অন্যান্য এন্টিবায়োটিক যথা পেনিসিলিন, সেফালোসপরিন, এ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড এবং টেট্রাসাইক্লিনের তুলনায় ভিন্ন সুতরাং এসব এন্টিবায়োটিকে রেজিস্ট্যান্ট অনুজীব সমূহ সাধারনত: কুইনক্সের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে থাকে।
তীব্র সিসটেমিক সংক্রমণ: সেপটিসেনিয়া, ব্যাকটেরিমিয়া, পেরিটোনাইটিস, হেমাটোলজিক্যাল অথবা কঠিন টিউমার সম্বলিত ইমিউনো সাপ্রেসড রোগীদের সংক্রমণে এবং ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে অবস্থিত রোগী যাদের নির্দিষ্ট কোন জটিলতা যথা সংক্রমিত ক্ষত রয়েছে এদের ক্ষেত্রে।
শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণ: লোবার নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া, তীব্র ও জটিল ব্রঙ্কাইটিস, সিসটিক ফাইব্রোসিসের জটিলতা, ব্রঙ্কিয়েকটেসিস এবং এমপায়িমা।
মূত্রতন্ত্র সংক্রমণ: জটিল এবং জটিল নয় এরূপ মূত্রনালীর সংক্রমণ, সিসটাইটিস, পাইলোনেফ্রাইটিস, প্রস্টেটাইটিস, ইপিডিডাইমিটিস।
ত্বক ও কোমল কোষ কলার সংক্রমণ: সংক্রমণযুক্ত আলসার, ক্ষতের সংক্রমণ, এ্যাবসেস, সেলুলাইটিস, ওটাইটিস এক্সটারনা, ইরিসিপেলাস, সংক্রমিত ক্ষত।
পাকান্ত্রিক সংক্রমণ: আন্ত্রিক জ্বর সংক্রমনজনিত ডায়ারিয়া।
বিলিয়ারীপথের সংক্রমণ: কলানজাইটিস, কলেসিসটাইটিস, গলব্লাডারে পুজসঞ্চায়ন।
অন্ত:উদরীয় সংক্রমন: পেরিটোনাইটিস, অন্ত: উদরীয় এ্যাবসেস।
অস্থি ও অস্থিসন্ধির সংক্রমণ: অষ্টিওমাইলাইটিস, সেপটিক আর্থ্রাইটিস।
পেলভিক সংক্রমণ: স্যালপিনজাইটিস, এন্ডোমেট্রাইটিস, পেলভিক ইনফ্লামেটরী ব্যাধি।
চোখ, নাক, কান ও গলার সংক্রমণ: ওটাইটিস মিডিয়া, সাইনুসাইটিস ম্যাসটয়ডাইটিস, টনসিলাইটিস।
গনোরিয়া: ইউরেথ্রাল, রেকটাল এবং ফ্যারিঞ্জিয়াল গনোরিয়াসহ বিটা ল্যাকটামেজ নি:সরণকারী জীবাণু বা পেনিসিলিনে মাঝারী ধরনের সংবেদনশীল জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট গনোরিয়া
মাইক্রোবায়োলজি: দেহ বহির্ভূত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে কুইনক্সের বাকটেরিয়া বিরোধী কার্যকারিতা, ব্যাকটেরিয়ার ডি.এন.এ জাইরেজ এর প্রশমনের দরুন হয়ে থাকে। কুইনক্সের কার্যকারিতার এই পদ্ধতি অন্যান্য এন্টিবায়োটিক যথা পেনিসিলিন, সেফালোসপরিন, এ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড এবং টেট্রাসাইক্লিনের তুলনায় ভিন্ন সুতরাং এসব এন্টিবায়োটিকে রেজিস্ট্যান্ট অনুজীব সমূহ সাধারনত: কুইনক্সের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে থাকে।
ফার্মাকোলজি
সিপ্রোফ্লক্সাসিন একটি কুইনোলোন গ্রুপের একটি সংক্রমণ রোধী ওষুধ। সিপ্রোফ্লক্সাসিন একটি প্রশস্ত বর্ণালীর এন্টিবায়োটিক। ইহা বেশীর ভাগ গ্রাম-নেগেটিভ এরোবিক ব্যাকটেরিয়া যেমন এন্টারোব্যাকটেরিয়েসি, স্যুডোমোনাস এরোজিনোসা এর বিরুদ্ধে কার্যকরী। সিপ্রোফ্লক্সাসিন গ্রাম-পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন পেনিসিলিনেজ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া, যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া পেনিসিলিনেজ তৈরী করতে পারে না এবং মেথিসিলিন রেজিস্ট্যান্ট স্ট্যাফাইলোকক্কাই এর বিরুদ্ধে কার্যকরী, যদিও সিপ্রোফ্লক্সাসিন স্ট্যাফাইলোকক্কাই এর অনেক স্ট্রেইন এর বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্ট। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ডিএনএ জাইরেজ এনজাইমের সাথে যুক্ত হয়ে ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ সংশ্লেষনে বাধা দান করে।
মুখে খাবার পর সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্রুত ভালভাবে পরিপাকনালী থেকে বিশোষিত হয় এবং দেহ তন্ত্র ও দেহ রসে খুব ভাল ভাবে বিস্তৃত হয়। ইহার হাফ-লাইফ ৩.৫ ঘন্টা। মুখে খাওয়ার পর ৩০%-৫০% সিপ্রোফ্লক্সাসিন মুত্রের সাথে অপরিবর্তিত এবং কার্যকরী মেটাবোলাইট হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় দেহ থেকে নিঃসরিত হয়।
মুখে খাবার পর সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্রুত ভালভাবে পরিপাকনালী থেকে বিশোষিত হয় এবং দেহ তন্ত্র ও দেহ রসে খুব ভাল ভাবে বিস্তৃত হয়। ইহার হাফ-লাইফ ৩.৫ ঘন্টা। মুখে খাওয়ার পর ৩০%-৫০% সিপ্রোফ্লক্সাসিন মুত্রের সাথে অপরিবর্তিত এবং কার্যকরী মেটাবোলাইট হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় দেহ থেকে নিঃসরিত হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রচলিত সেবন মাত্রা: সংক্রমণের ধরন, তীব্রতা, রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংবেদনশীলতা এবং রোগীর বয়স, ওজন ও বৃক্কীয় কার্যকারিতার উপর নির্ভর করেই সাধারণত সিপ্রোফ্লক্সাসিনের সেবন মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ।
প্রাপ্ত বয়স্ক: এসব রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণ সেবন মাত্রা ১০০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার।
উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ: উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে তীব্রতা অনুযায়ী ২৫০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার।
স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের চিকিৎসায়: ৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার করে দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
গনোরিয়া: ২৫০ বা ৫০০ মি.গ্রা. এর একটি এককমাত্রা দেওয়া হয়। অন্যান্য অধিকাংশ সংক্রমণে ৫০০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার সেব্য।
সিসটিক ফাইব্রোসিস: নিম্ন শ্বাসনালীর সিডোমোনাস জনিত সংক্রমণে সাধারণ মাত্রা ৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার। যেহেতু সিসটিক ফাইব্রোসিসে রোগীদের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিনের ফার্মাকোকাইনেটিক্স অপরিবর্তিত থাকে সেহেতু সেবন মাত্রা নির্ধারণ করার আগে এসব রোগীদের স্বল্প দৈহিক ওজনের কথা বিবেচনা করা উচিত।
অপ্রতুল বৃক্কীয় কার্যকারিতার ক্ষেত্রে: তীব্র বৃক্কীয় অপ্রতুলতা ব্যতীত (যখন সেরাম ক্রিয়েটিনিন>২৬৫ মাইক্রোমোল/লিটার অথবা ক্রিয়েটিনিনের ক্লিয়ারেন্স <২০ মি.লি./মিনিট) মাত্রা পুন:নির্ধারণের তেমন প্রয়োজন হয় না। যদি মাত্রা নির্ধারণের প্রয়োজন হয় তা দৈনিক মোট মাত্রা অর্ধেক করার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে যদিও ওষুধের সেরাম পর্যবেক্ষণ করাই মাত্রা নির্ধারণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।
বয়ো:বৃদ্ধি: যদিও এসব রোগীদের সেরামে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অধিকতর পরিমাণে উপস্থিত থাকে তথাপি মাত্রা নির্ধারণের কোন প্রয়োজন হয় না।
শিশু ও কিশোর: এই শ্রেণীর অন্যান্য ওষুধের মত সিপ্রোফ্লক্সাসিনও অপরিণত জীবের ক্ষেত্রে ভারবহনকারী অস্থিসন্ধিতে অর্থোপ্যাথি সৃষ্টি করতে পারে। যদিও মানুষের ক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতা জানা নাই তা স্বত্ত্বেও শিশু, বাড়ন্ত শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সুপারিশযোগ্য নয়। যদি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপরোক্ত সম্ভাব্য ঝুঁকির তুলনায় বেশী গুরুত্ববাহী হয় তবেই এ ধরনের রোগীদেরকে এ ওষুধ দেয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ৭.৫-১৫ মি.গ্রা./কেজি/দিন ২টি বিভক্ত মাত্রায় দেয়া যেতে পারে।
চিকিৎসা মেয়াদকাল: চিকিৎসার স্থায়িত্বকাল সংক্রমন জনিত রেসপন্স এবং ব্যাকটেরিওলজিক্যাল পরীক্ষালব্ধ ফলের উপর নির্ভর করে। মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসার মেয়াদকাল সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন। সংক্রমণের চিহ্ন বা লক্ষণ দূর হবার পর আরও ৩ দিন পর্যন্ত সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
প্রাপ্ত বয়স্ক: এসব রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণ সেবন মাত্রা ১০০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার।
উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ: উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে তীব্রতা অনুযায়ী ২৫০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার।
স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের চিকিৎসায়: ৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার করে দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
গনোরিয়া: ২৫০ বা ৫০০ মি.গ্রা. এর একটি এককমাত্রা দেওয়া হয়। অন্যান্য অধিকাংশ সংক্রমণে ৫০০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার সেব্য।
সিসটিক ফাইব্রোসিস: নিম্ন শ্বাসনালীর সিডোমোনাস জনিত সংক্রমণে সাধারণ মাত্রা ৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার। যেহেতু সিসটিক ফাইব্রোসিসে রোগীদের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিনের ফার্মাকোকাইনেটিক্স অপরিবর্তিত থাকে সেহেতু সেবন মাত্রা নির্ধারণ করার আগে এসব রোগীদের স্বল্প দৈহিক ওজনের কথা বিবেচনা করা উচিত।
অপ্রতুল বৃক্কীয় কার্যকারিতার ক্ষেত্রে: তীব্র বৃক্কীয় অপ্রতুলতা ব্যতীত (যখন সেরাম ক্রিয়েটিনিন>২৬৫ মাইক্রোমোল/লিটার অথবা ক্রিয়েটিনিনের ক্লিয়ারেন্স <২০ মি.লি./মিনিট) মাত্রা পুন:নির্ধারণের তেমন প্রয়োজন হয় না। যদি মাত্রা নির্ধারণের প্রয়োজন হয় তা দৈনিক মোট মাত্রা অর্ধেক করার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে যদিও ওষুধের সেরাম পর্যবেক্ষণ করাই মাত্রা নির্ধারণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।
বয়ো:বৃদ্ধি: যদিও এসব রোগীদের সেরামে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অধিকতর পরিমাণে উপস্থিত থাকে তথাপি মাত্রা নির্ধারণের কোন প্রয়োজন হয় না।
শিশু ও কিশোর: এই শ্রেণীর অন্যান্য ওষুধের মত সিপ্রোফ্লক্সাসিনও অপরিণত জীবের ক্ষেত্রে ভারবহনকারী অস্থিসন্ধিতে অর্থোপ্যাথি সৃষ্টি করতে পারে। যদিও মানুষের ক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতা জানা নাই তা স্বত্ত্বেও শিশু, বাড়ন্ত শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সুপারিশযোগ্য নয়। যদি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপরোক্ত সম্ভাব্য ঝুঁকির তুলনায় বেশী গুরুত্ববাহী হয় তবেই এ ধরনের রোগীদেরকে এ ওষুধ দেয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ৭.৫-১৫ মি.গ্রা./কেজি/দিন ২টি বিভক্ত মাত্রায় দেয়া যেতে পারে।
চিকিৎসা মেয়াদকাল: চিকিৎসার স্থায়িত্বকাল সংক্রমন জনিত রেসপন্স এবং ব্যাকটেরিওলজিক্যাল পরীক্ষালব্ধ ফলের উপর নির্ভর করে। মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসার মেয়াদকাল সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন। সংক্রমণের চিহ্ন বা লক্ষণ দূর হবার পর আরও ৩ দিন পর্যন্ত সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
ম্যাগনেসিয়াম/এ্যালুমিনিয়াম জাতীয় এন্টাসিড, সুক্রালফেট অথবা ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং জিংক এর উপস্থিতি আছে এমন কোন ঔষধ কুইনক্সের সাথে সেবনযোগ্য নয়। এগুলো সেবনের ছয় ঘন্টা পূর্বে অথবা দুই ঘন্টা পর কুইনক্স সেবনযোগ্য। দুধ অথবা দুগ্ধজাত খাবারের সাথে কুইনক্স সেবনযোগ্য নয়। কারণ এতে করে কুইনক্স এর পরিশোষণ দারুণভাবে কমে যায়। খাদ্যের ক্যালসিয়াম কুইনক্সের পরিশোষণকে প্রভাবিত করে না।
প্রতিনির্দেশনা
সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং অন্যান্য কুইনোলোন গ্রুপের ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ দেয়া যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
পরিপাকতান্ত্রিক অসুবিধা যেমন- বমিভাব, ডায়রিয়া, বমি, হজমক্রিয়ায় গোলযোগ, তলপেটে ব্যথা। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অসুবিধা যেমন- মাথা ব্যথা, ঝিমুনি, বিভ্রান্তি, খিচুনি এবং রেটিনাল বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকি। অতিসংবেদনশীলতা যেমন- গায়ে ফুসকুড়ি (কদাচিৎ স্টিভেন-জনসন সিনড্রোম এবং টক্সিক এপিডারমাল নেক্রোলাইসিস), প্রুরাইটিস এবং সম্ভাব্য সিস্টেমিক বিক্রিয়া। অন্যান্য বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হলো- অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, যকৃত এনজাইম, বিলিরুবিন, ইউরিয়া অথবা ক্রিয়েটিনাইন-এর সাময়িক বৃদ্ধি। হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি। টেনডিনাইটিস ও টেনডন রাপচার এর ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
ইঁদুর, খরগোশ ইত্যাদির ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিন মুখে সেবনের পর এবং ইনজেকশন দেবার পর বংশ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে ভ্রুণের গঠন বিকৃতি, বংশ বিস্তার ক্ষমতার ক্ষতি হওয়া, প্রসবপূর্ব বা প্রসবোত্তর কালীন সময়ে বৃদ্ধির উপর এর কোন প্রভাব দেখা যায় নি। তবে অন্যান্য কুইনোলোনের মত সিপ্রোফ্লক্সাসিন অপরিণত জীবের ক্ষেত্রে আর্থোপ্যাথি সৃষ্টি করতে পারে এবং সে কারণে গর্ভকালীন অবস্থায় এর ব্যবহার নিদের্শিত নয়। ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় দেখা গেছে যে সিপ্রোফ্লক্সাসিন দুগ্ধে নিঃসৃত হয় কাজেই স্তন্যদানরত মায়েদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সুপারিশ করা হয় না।
সতর্কতা
যে সমস্ত রোগীর স্নায়ুতন্ত্রীয় অসুস্থতা যেমন: আর্টারিওসক্লেরোসিস অথবা এপিলেপসি অথবা সেইজর এবং খিঁচুনী হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে কুইনক্স সাবধানতার সাথে দিতে হবে।
কুইনক্স আহারের পূর্বে অথবা পরে খাওয়া যায়, সাথে প্রচুর পানীয় নেয়া প্রয়োজন।
ম্যাগনেসিয়াম / এলুমিনিয়াম এন্টাসিড, সুক্রালফেট অথবা ক্যালসিয়াম, আয়রণ এবং জিংক এর উপস্থিতি আছে এমন কোন ওষুধ কুইনক্সের সাথে সেবনযোগ্য নয়। এগুলো সেবনের ছয় ঘন্টা পূর্বে অথবা দুই ঘন্টা পর সেবনযোগ্য।
দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য এর সাথে কুইনক্স সেবনযোগ্য নয়। কারণ এতে করে কুইনক্স এর শোষণ দারুণভাবে কমে যায়। খাদ্যের ক্যালসিয়াম কুইনক্স এর শোষণকে প্রভাবিত করে না।
কুইনক্স আহারের পূর্বে অথবা পরে খাওয়া যায়, সাথে প্রচুর পানীয় নেয়া প্রয়োজন।
ম্যাগনেসিয়াম / এলুমিনিয়াম এন্টাসিড, সুক্রালফেট অথবা ক্যালসিয়াম, আয়রণ এবং জিংক এর উপস্থিতি আছে এমন কোন ওষুধ কুইনক্সের সাথে সেবনযোগ্য নয়। এগুলো সেবনের ছয় ঘন্টা পূর্বে অথবা দুই ঘন্টা পর সেবনযোগ্য।
দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য এর সাথে কুইনক্স সেবনযোগ্য নয়। কারণ এতে করে কুইনক্স এর শোষণ দারুণভাবে কমে যায়। খাদ্যের ক্যালসিয়াম কুইনক্স এর শোষণকে প্রভাবিত করে না।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলিতে কার্যকর হলেও কুইনক্স পেডিয়াট্রিক পপুলেশনে প্রথম পছন্দনীয় ঔষধ হিসেবে বিবেচিত নয়।
মাত্রাধিক্যতা
কুইনক্স এর মাত্রাধিক ব্যবহারে খিঁচুনী, মতিভ্রম, তলপেটের অস্বস্তি, বৃক্ক ও যকৃতের অকার্যকারীতা পাশাপাশি ক্রিষ্টালইউরিয়া, হেমাচুরিয়া এবং রিভারসিবল কিডনি বিষক্রিয়া ইত্যাদি।
থেরাপিউটিক ক্লাস
4-Quinolone preparations, Anti-diarrhoeal Antimicrobial drugs
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০°সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।