মাল্টিভিটামিন [ওয়াটার এন্ড ফ্যাট সলিউবল] + ৫% ডেক্সট্রোকজ

নির্দেশনা

বয়স্ক ও ১১ বছর বা এর চেয়ে বড় শিশু: যারা প্যারেনটেরাল পুষ্টি গ্রহণ করছেন তাদের প্রাত্যহিক মাল্টিভিটামিনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য নির্দেশিত। এছাড়া যে সকল অবস্থায় শিরাপথে ওষুধ দেয়া প্রয়োজন সেখানেও ইহা নির্দেশিত যেমন- সার্জারি, অত্যধিক পোড়া, হাড় ভাঙ্গা, মাত্রাধিক সংক্রমিত রোগ, কোমা এবং অন্যান্য আঘাত যেখানে অত্যধিক চাপের কারণে শরীরের মেটাবোলিক চাহিদাতে পরিবর্তন হয় এবং যার ফলে টিস্যুতে পুষ্টি ঘাটতি দেখা দেয়।

উপাদান

প্রতিটি ভায়ালে রয়েছে: ভিটামিন এ বিপি ৩৫০০ আইইউ, ভিটামিন ডি৩ বিপি ২২০ আইইউ, ভিটামিন ই ইউএসপি ১১.২ আইইউ, এসকরবিক এসিড বিপি ১২৫ মিগ্রা, ভিটামিন বি১ বিপি ৩.৫১ মিগ্রা, ভিটামিন বি২ বিপি ৪.১৪ মিগ্রা, নিকোটিনামাইড বিপি ৪৬ মিগ্রা, প্যানটোথেনিক এসিড বিপি ১৭.২৫ মিগ্রা, ভিটামিন বি৬ বিপি ৪.৫৩ মিগ্রা, ভিটামিন বি১২ বিপি ৬ মাইক্রোগ্রাম, ফলিক এসিড বিপি ৪১৪ মাইক্রোগ্রাম, বায়োটিন বিপি ৬৯ মাইক্রোগ্রাম।

ফার্মাকোলজি

এই আইভি ইনজেকশন/ইনফিউশন তৈরির জীবাণুমুক্ত, লায়োফিলাইজড পাউডার যার মধ্যে ৯টি পানিতে দ্রবণীয় ও ৩টি ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন বিদ্যমান। ইহাতে দ্রবণীয় উপাদান হিসেবে মাইসেল এর মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে। ইহা জীবাণুমুক্ত, লায়োফিলাইজড পাউডার হিসেবে রয়েছে যা প্যারেনটেরাল পথে প্রয়োগের পূর্বে ৫ মিলি ওয়াটার ফর ইনজেকশন বা অন্য কোনো প্যারেনটেরাল তরল যেমন ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড অথবা ৫% গুকোজের সাথে মিশ্রিত করতে হবে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

বয়স্ক ও শিশুর বয়স ১১ বছর বা অধিক হলে- প্রতিদিন ১টি ভায়াল। প্রতিটি জোভিয়া ডি আইভি ভায়ালের উপাদানসমূহকে ৫ মিলি ওয়াটার ফর ইনজেকশন বা শিরাপথে ব্যবহার্য অন্য কোন তরল যেমন- ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড বা ৫% গুকোজ দ্রবণে মিশ্রিত করতে হবে। জীবাণুমুক্ত সিরিঞ্জ দিয়ে ৫ মিলি, লঘুকারককে প্রথমে ভায়ালের মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে এবং ভালভাবে মিশ্রিত করে লায়োফিলাইজড পাউডারকে দ্রবীভূত করতে হবে। তৈরিকৃত সম্পূর্ণ দ্রবণকে শিরাপথে ইনজেকশন মাধ্যমে (কমপক্ষে ১০ মিনিট ধরে) ধীরে ধীরে প্রয়োগ করতে হবে অথবা আরো লঘু করে শিরাপথে ইনফিউশন হিসেবে দিতে হবে। ভিটামিনের অপচয় রোধ করার জন্য প্রয়োগের ঠিক পূর্ব মূহর্তে লঘুকারকের সাথে মিশ্রিত করতে হবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

প্রোপ্রানোলোল, প্রায়োসিন এবং কুইনিডিনের মত যে সব ওষুধ এ১ এসিড গ্লাইকোপ্রোটিনের সাথে আবদ্ধ হয় সে সকল ওষুধের কার্যক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে। ফলিক এসিড কিছু অ্যান্টি-ইপিলেপটিক ওষুধ যেমন ফেনোবার- বিটাল, ফিনাইটয়িন এবং প্রাইমিডোনের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দিতে পারে। পাইরিডক্সিন, লিভোডোপা এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এসকরবিক এসিড ও রিবোফ্লাভিন, রিওমাইসিনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

যে সকল রোগীর পূর্ব থেকেই হাইপারভিটামিনোসিস আছে অথবা এই ওষুধের কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে জোভিয়া ডি আইভি নির্দেশিত নয়। যে সকল রোগী থায়ামিনের প্রতি সংবেদনশীল তাদের এই ওষুধ দেয়া যাবে না। অনুরূপভাবে, যে সকল রোগীর যকৃতের কার্যক্ষমতা ত্রুটিপূর্ণ তাদেরও এই ওষুধ দেয়া যাবে না। ক্যালসিয়ামের আধিক্যজনিত জটিলতার কারণে যারা হাইপারথাইরয়ডিজমে আক্রান্ত তাদের এই ওষুধ দেয়া যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

উচ্চমাত্রার থায়ামিন শিরাপথে দেওয়ার ফলে' অ্যানাফাইল্যাকটিক ক্রিয়া হতে পারে। আর্টিকেরিয়া ও র‍্যাশও হতে পারে। তবে এই ওষুধটি শিরাপথে ১-৪ মিনিট ধরে দেবার ফলে অ্যানাফাইল্যাকটিক ক্রিয়া হবার প্রতিবেদন খুবই কম দেখা গেছে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় এই ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে গর্ভাবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে জোভিয়া ডি আইভি দেয়া যেতে পারে। স্তন্যদানকালেও এই ওষুধের ব্যবহার নির্দেশিত নয়।

সতর্কতা

যে সকল রোগী এই ওষুধের উপাদান যেমন থায়ামিন (ভিটামিন বি১) এবং নিকোটিনামাইড এর প্রতি সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে অ্যানাফাইল্যাকটিক ক্রিয়া হতে পারে। মৃদু অ্যালার্জিক ক্রিয়া যেমন হাঁচি বা মৃদু এ্যাজমা, এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পুনরায় ইনজেকশন/ইনফিউশন দেওয়ার ফলে অ্যানাফাইল্যাকটিক শক হতে পারে। গ্লাইকোকোলিক এসিডের উপস্থিতির কারণে একাধিকবার ও অধিকতর সময় ধরে প্রয়োগের ক্ষেত্রে জন্ডিস এবং কোলেস্ট্যাটিস এ আক্রান্ত রোগীর যকৃতের কার্যক্ষমতার পরিবর্তন সতর্কতার সাথে লক্ষ রাখতে হবে। কিডনির কার্যক্ষমতা ত্রুটিপূর্ণ হলে ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন সমূহের পরিমাণ সতর্কতার সাথে লক্ষ রাখতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

উচ্চমাত্রায় ও বেশি দিন ধরে ব্যবহার করলে ভিটামিন এ ও ডি শরীরে জমা হতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Specific combined vitamin preparations

সংরক্ষণ

শিশুদের নাগালের বাইরে আলো থেকে দূরে এবং শুষ্ক স্থানে রাখুন। দ্রবণ মিশ্রণের পূর্বে: ২৫° সে. তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করতে হবে এবং হিমায়িত করা যাবে না। দ্রবণ মিশ্রণের পর: পুনর্গঠিত দ্রবণ সাথে সাথে ব্যবহার করে ফেলতে হবে অথবা ২° থেকে ৮° তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। মিশ্রিত দ্রবণের অবশিষ্টাংশ ফেলে দিতে হবে।